শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৫ ১৪৩০
|| ১৮ রমজান ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০২১
ধর্মের নামে ঘৃণা ছড়ানো আর উস্কানি দিতে দক্ষ মামুনুল হক। ২০১৩ সালের শাপলা চত্বর থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ইস্যু, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সব সময়ই তিনি সহজ সরল নিরীহ ধর্মপ্রাণ মানুষকে ধর্মের নামে বিভিন্ন ধ্বংসাত্মক কাজের উস্কানি দিয়ে গেছেন। তার ইন্ধন ও পরিকল্পনায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় নাশকতা করেছে হেফাজতে ইসলাম, হয়েছে সাম্প্রদায়িক হামলাও। মামুনুল হকের অপকর্মের ফিরিস্তি নিয়ে এসেছে দৈনিক বান্দরবানের বিশেষ নিউজ টিম। মাওলানা মামুনুল হক জানেন হয়রত মুহাম্মদ (সা:) কিভাবে কথা বলতেন। তা করেও দেখাতে পারেন ভক্ত ও সমর্থকদের। এই বিষয়ে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা মিছবাহুর রহমান বলেন, এটা চরম ধৃষ্টতা এবং চরম ভারে ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত করার নামান্তর। এটা রাসুল (সা:) এর ভীষণ অবমাননা। অবশ্যই এটা ধর্মেরও অবমাননা।
মরহুম শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হকের ছোট ছেলে মামুনুল হক প্রথমে স্পট লাইটে আসেন ২০১৩ সালের ৫মে হেফাজতের তান্ডবকে ঘিরে। এরপর সুপ্রীম কোর্টের গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্য সরানোর ইস্যুতে ও সরব ছিলেন মামুনুল। তবে একক ভাবে মামুনুল হক আলোচনায় আসেন হেফাজতের সাবেক র্শীষনেতা আল্লামা আহমদ শফি এর মৃত্যুকে ঘিরে। আল্লামা শফির চিকিৎসায় বাধা দেয়ার পেছনে মামুনুল হকের আদেশ ছিল। শুধু তাই নয় আল্লামা শফির দাফন কে ঘিরে হেফাজতের প্ল্যাটফর্মে শিবিরের অনুপ্রবেশের লবিং টাও ঐ মামুনুলের। এরপর ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ইস্যু। ধর্মপ্রাণ বাঙ্গালীর অন্তরে সাম্প্রদায়িকতার বিষ বাষ্প ছড়াতে ইসলামের নামে একের পর এক উস্কানিমূলক আর বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে গেছেন মামুনুল হক।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এই হেফাজত নেতার প্ররোচনায় মাদ্রাসার কোমল মতি ছাত্রদের মাঠে নামিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং হাটহাজারিসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক সংঘাত-সংঘর্ষ, ভাংচুর-তান্ডব, সহিংসতা হয়েছে।
হামলা হয়েছে অমুসলিমদের বাড়িতেও। স্বাধীন বাংলার পুলিশ স্টেশন কিংবা রেল স্টেশনের মত রাষ্ট্রীয় সম্পত্তিতে দেয়া হয়েছে আগুন। পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে আনার মত রাষ্ট্রদ্রোহী কাজ করা হয়েছে তাকে ঘিরেই। বর্তমান হেফাজত কমিটির আমির জুনায়েদ বাবুনগরী এবং নুর হোসেন কাশেমীকে বাগিয়ে অনেক বয়োজ্যেষ্ঠ ত্যাগী এবং পরীক্ষিত হেফাজত নেতাদের কে ডিঙিয়ে হেফাজতের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসেছেন মামুনুল হক।
অভিযোগটা তার দলের ভেতরের লোকজনের। আগের দিন বায়তুল মোকাররমের সামনে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফর কে ঘিরে নেতা-কর্মীদের মাঠে নামিয়ে দিয়ে, তাদের আহত-নিহত হওয়ার কারণ হয়ে, রির্সোটে নারী নিয়ে ফুর্তি করতে যাওয়া মামুনুল যেই জামিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেফতার হলেন সেটাও দখল করে চালাচ্ছেন এমন সংবাদ ও এসেছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ।
এহেন বীভৎস চরিত্র যেই লোকের, তার কাছে ইসলাম কি হেফাজতে থাকবে? অসহায় তালাক প্রাপ্তা নারীদের সামান্য ভরণপোষণের বিনিময়ে যথেচ্ছ ব্যাবহার করতো যে বিকৃতরুচির কাপুরুষ, যেই লোক নিজের চরিত্র হেফাজত করতে ব্যার্থ, সে ইসলামের হেফাজত কিভাবে করবে? যার কাছে ধর্মপ্রাণ মানুষের জানমালের কোন মূল্য নেই, রাষ্ট্রীয় সম্পদের হেফাজতের পরওয়া যে করে না, তার কাছ থেকে ইসলামের হেফাজতের আশা করা যায় না। বরং, এমন পশু মানব সমাজে না থেকে খাঁচায় বন্দী থাকাই ভালো। এমন পশু খাঁচায় বন্দী থাকলেই হেফাজতে থাকবে ইসলাম, হেফাজতে থাকবে বাংলাদেশ।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়