মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ১০ কোটি গ্রাহকের মাইলফলক
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৬ মার্চ ২০২১
- দৈনিক লেনদেন হচ্ছে ১ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা
- প্রতারণার ঝুঁকি মোকাবেলায় সতর্ক থাকার পরামর্শ
রাবেয়া বেগম রাজধানীর মিরপুর ভাষানটেক এলাকার একটি গার্মেন্টস কারখানায় চাকরি করেন। চাকরির উপার্জিত অর্থের একটি অংশ প্রতিমাসের শুরুতেই গ্রামে থাকা বৃদ্ধা মা মর্জিনা বেগমকে পাঠান। মনসুরা বেগম জানান, ‘আগে আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে গ্রামে টাকা পাঠাতাম। এমনও সময় গেছে, খুব জরুরী সময়েও টাকা পাঠাতে পারিনি। এখন নিজের মোবাইল থেকে মায়ের মোবাইলে টাকা পাঠাই মুহূর্তেই।’ দেশে এই মুহূর্তে মনসুরা বেগমের মতো মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ কোটির মাইলফলক অতিক্রম করেছে। যা দেশের মোট জনসংখ্যার ৬৮ শতাংশ। বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দৈনিক গড়ে প্রায় ১ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকারও বেশি লেনদেন হচ্ছে। সে হিসেবে গত জানুয়ারি মাসে মোবাইলে আর্থিক লেনদেন হয়েছে ৫৭ হাজার কোটি টাকা। এ তো শুধু দেশের কথা, প্রতিদিন বিদেশ থেকেও মোবাইলে আসছে টাকা। বাংলাদেশে থাকা আত্মীয়স্বজনের কাছে বৈধ উপায়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। তেমনি একজন আবুল হোসেন। কাজ করছেন সৌদি আরবে। প্রতিমাসের সাংসারিক খরচ মেটাতে স্ত্রী রুমি বেগমকে টাকা পাঠান মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। রুমি বেগম জনকণ্ঠকে বলেন, ‘আগে ৩-৪ মাস পর পর ডাকযোগে স্বামীর টাকা আসত। তখন সাংসারিক খরচ মেটাতে সমস্যা হতো। এখন মোবাইল ব্যাংকিং থাকায় প্রতিমাসের টাকা প্রতিমাসেই পাই।’
জানা গেছে, মূলত সুবিধাবঞ্চিতদের ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং চালুর অনুমতি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ২০১১ সালের মার্চে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক প্রথমবারের মতো দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে। দেশের সরকারী-বেসরকারী ৫৮টি ব্যাংকের মধ্যে ২৮টি ব্যাংককে এই সেবা চালুর অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে ২০টি ব্যাংক সেবাটি চালু করতে পারলেও পরবর্তী সময় পাঁচটি ব্যাংক সেবাটি বন্ধ করে দেয়। ফলে বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা ব্যাংকের সংখ্যা ১৫টিতে নেমে এসেছে। এর মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘বিকাশ’, ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের ‘রকেট’ এ সেবায় সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমএফএস লেনদেনের সর্বশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী, একজন গ্রাহক তার এ্যাকাউন্টে দিনে পাঁচবারে ৩০ হাজার টাকা ক্যাশ ইন বা জমা করতে পারেন। মাসে ২৫ বার সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা ক্যাশ ইন করা যায়। আগে প্রতিদিন দুবারে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা জমা ও মাসে ২০ বারে এক লাখ টাকা ক্যাশ ইন করতে পারতেন গ্রাহকরা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দৈনিক গড়ে ১ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হচ্ছে। বর্তমানে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের মাধ্যমে ৮ ধরনের সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এগুলো হলোÑ ইনওয়ার্ড রেমিটেন্স, ক্যাশ-ইন ট্রানজেকশন, ক্যাশ আউট ট্রানজেকশন, পিটুপি ট্রানজেকশন, বেতন বিতরণ (বিটুবি), ইউটিলিটি বিল (পিটুবি), মার্চেন্ট লেনদেন ও সরকারী বিভিন্ন বিল পরিশোধ। জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর ড. আতিউর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, দরিদ্র ও ব্যাংকিং সেবাবহির্ভূত জনগণকে ব্যাংকিং সেবা প্রদান করার লক্ষ্যে এবং প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ দ্রুত, সহজ ও নিরাপদে গ্রামীণ এলাকায় বসবাসরত উপকারভোগীদের কাছে পৌঁছানোর জন্য ২০১০ সালে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের কার্যক্রম শুরু করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে তখন ব্যাপকভাবে সাড়া দেয় তফসিলি ব্যাংকগুলো। যার ফলে আজ মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহক সংখ্যা ১০ কোটির মাইলফলক অতিক্রম করেছে। ড. আতিউর রহমান বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং দেশের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাংকিং সেবা গ্রহণের একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। তিনি বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় খোলা ব্যাংক হিসাবগুলোকে ধরলে গ্রাহকের দিক দিয়ে প্রথম দিকে থাকবে বাংলাদেশ।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোঃ সিরাজুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেন রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়েছে। খুব অল্পসময়ে ১০ কোটি গ্রাহক বিস্ময়ের ব্যাপার। তিনি বলেন, সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে ব্যাংকিং চ্যানেল এখন অনেক সজাগ। বিশেষ করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ওপর। এ ক্ষেত্রে যেসব আইন রয়েছে তার পরিপালন নিয়ে কাজ করছি আমরা। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ সিপিডি’র অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক ড. গোলাম মোয়াজ্জেম জনকণ্ঠকে বলেন, যাদের লক্ষ্য করে এই ব্যাংকিংয়ের কথা বলা হচ্ছে, অর্থাৎ অল্প আয়ের মানুষ এবং স্বাভাবিকভাবেই স্বল্পশিক্ষিত মানুষের আওতায় ব্যাংকিং সেবার আসতে পারে অনায়াসেই। তিনি বলেন, ব্যাংকের শাখা খুলে মানুষকে আর্থিক সেবার আওতায় আনা ব্যয়বহুল এবং সময় সাপেক্ষ বিষয়। যা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সহজে এরং স্বল্প খরচেই সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত জানুয়ারি মাসে মোবাইলের মাধ্যমে পার্সন টু পার্সন বা এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১৭ হাজার ৪৫৯ কোটি টাকা। আগের মাস ডিসেম্বরে এই লেনদেন ছিল ১৬ হাজার ৯৮২ কোটি টাকা। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের একজন গ্রাহক মামুন-অর-রশীদ জনকণ্ঠকে জানান, দেশের সুপারশপগুলোতে এখন মোবাইলের মাধ্যমেই লেনদেন বেশি হয়। বিকাশ, রকেট, নগদসহ অন্যান্য ব্যাংক এখন ইন্টারনেট ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ক্যাশব্যাক অফার দেয়। এতে কেনাকাটার পাশাপাশি সাশ্রয়ও হয় কিছু টাকা। এসব লেনদেন ব্যক্তিগত হিসেবের মাধ্যমেই সম্পন্ন হয় বলে জানা গেছে। পার্সন টু পার্সন পেমেন্টস (পিটুপি) হলো একটি অনলাইন প্রযুক্তি। যার মাধ্যমে গ্রাহকরা তাদের ব্যাংক এ্যাকাউন্ট বা ক্রেডিট কার্ড থেকে অন্য ব্যক্তির এ্যাকাউন্টে ইন্টারনেট বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তহবিল স্থানান্তর করতে পারে।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে শুধু টাকা পাঠানো বা উঠানো নয়, কেনাকাটা, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, বেতনভাতা বিতরণ, সরকারী অনুদানপ্রাপ্তি, মোবাইলে তাতক্ষণিক ব্যালেন্স রিচার্জসহ বিভিন্ন সেবা এখন হাতের মুঠোয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের হেড অব কর্পোরেট কমিউনিকেশন্স শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম জনকণ্ঠকে বলেন, প্রতিদিনের আর্থিক লেনদেন সহজ, সাশ্রয়ী, নিরাপদ ও তাৎক্ষণিক করতে উদ্ভাবনী, সৃজনশীল এবং সময়োপযোগী সেবা সংযুক্ত করে চলেছে বিকাশ। এখন একজন গ্রাহক দেশের যেকোন স্থানে যে কোন সময় বিকাশ দিয়েই তার প্রতিদিনের প্রায় সব ধরনের লেনদেন সম্পন্ন করতে পারেন, যা বিকাশের প্রতি আস্থার স্বীকৃতি। বর্তমানে দেশে ৫ কোটি ১০ লাখের বেশি বিকাশ গ্রাহক রয়েছে। দেশের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ২৬টি ব্যাংকসহ ভিসা ও মাস্টার কার্ড থেকে অনায়েসে নিজের এবং প্রিয়জনের বিকাশে টাকা আনার সুযোগ রয়েছে। বিকাশ থেকেই থেকে পল্লী বিদ্যুত, নেসকো, ডেসকোসহ সব বিদ্যুত বিতরণ কোম্পানি, ওয়াসা, গ্যাস বিল, ইন্টারনেট বিল, বিটিসিএলসহ আরও নানা ধরনের বিল পরিশোধ করা যাচ্ছে। এছাড়া বিকাশ থেকে যখন তখন মোবাইল রিচার্জ, সব ধরনের টিকেট কেনা, বিদেশ থেকে রেমিটেন্স গ্রহণ করাসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা পাচ্ছেন গ্রাহকরা। তিনি আরও বলেন, আর্থিক লেনদেনে গ্রাহককে নিজের টাকা ব্যবহারে আরও সক্ষমতা ও স্বাধীনতা দিতে কাজ করে যাচ্ছি আমরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারি শেষে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৭ জনে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, জানুয়ারি মাস শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মোট লেনদেন হয়েছে ৫৭ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা। প্রতিদিন গড়ে ৯৬ লাখ ৫২ হাজার ৭৩২টি লেনদেন হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে আদান-প্রদান হয়েছে ১ হাজার ৮৪৬ কোটি ৮৭ টাকা। প্রতিবেদন অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসজুড়ে মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবগুলোতে টাকা জমা পড়েছে ১৭ হাজার ২১২ কোটি টাকা, যা আগের মাসের চেয়ে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ কম। জানুয়ারি মাসে অর্থ উত্তোলন হয়েছে ১৫ হাজার ৮০৭ কোটি টাকা, যা ডিসেম্বরের তুলনায় ২ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জানুয়ারি মাসে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ২ হাজার ১৮৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকার বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে; যা আগের মাসের তুলনায় বেড়েছে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। জানুয়ারি মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের আওতায় রেমিটেন্স এসেছে ১৮৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা; যা ডিসেম্বর মাসে ছিল ১৩৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। ফলে এক মাসের ব্যবধানে রেমিটেন্স বেড়েছে ৪০ শতাংশ। জানুয়ারি মাসে মার্চেন্ট পেমেন্ট (কেনাকাটার বিল) করা হয়েছে ১ হাজার ৯২৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা; যা আগের মাসের চেয়ে ১০ দশমিক ৪ শতাংশ কম। জানুয়ারি মাসে এ সেবার মাধ্যমে ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করা হয়েছে ৮০৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। আর সরকারী পেমেন্ট রেকর্ড পরিমাণে ২১৯ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩২ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
মোবাইল ব্যাংকিং বিপ্লব, আছে ঝুঁকি ও প্রতারণা ॥ মোবাইল ফোন থাকলেই যে কেউ ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন আর টাকা লেনদেন করতে পারেন বাংলাদেশের যে কোন স্থান থেকে। তাকে ব্যাংকের শাখায় যেতে হয় না। মোবাইল ফোনের কল রিচার্জ বা ‘ফ্লেক্সিলোড’ করেন যারা, তারাই এ্যাকাউন্ট খুলে দেন, ব্যাংকের হয়ে তারাই টাকা-পয়সা লেনদেন করেন। মোবাইল ফোন নম্বরটিই গ্রাহকের এ্যাকাউন্ট নম্বর। এই এ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই অন্য কোন মোবাইল ব্যাংক এ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে পারেন তিনি। নগদ টাকা তুলতে মাঝখানে থাকেন একজন এজেন্ট। তারা মূলত ছোট ব্যবসায়ী, যারা নিজের দোকান-ঘরেই লাইসেন্স নিয়ে থাকেন ব্যাংকের কাছ থেকে। অর্থাৎ মোবাইল ব্যাংকিং মানুষের সময় বাঁচিয়ে দিয়েছে, কমিয়েছে ভোগান্তি। এ কারণেই এ পদ্ধতি এত দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। তবে যারা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করেন, অনেকের আবার নিজেদের কোন এ্যাকাউন্ট নেই। তারা এজেন্টদের মাধ্যমেই টাকা লেনদেন করেন। তবে মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব খোলার প্রক্রিয়া সহজ হওয়ার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যক্তিগত হিসাব বেড়েছে।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ১ হাজার টাকা থেকে শুরু পাঁচ হাজার টাকার লেনদেনই বেশি। সাধারণত যারা অল্প আয়ের মানুষ এবং যারা ব্যাংকে গিয়ে এ্যাকাউন্ট খোলার মতো দক্ষ নন, তাদের একটি বড় অংশ এই ব্যাংকিং সেবার দিকে ঝুঁকছেন। তাছাড়া এই সেবায় যখন তখন টাকা পাঠানো এবং গ্রহণ করা যায়, যা এই সেবা জনপ্রিয় হওয়ার অন্যতম কারণ। দিনে পাঁচবারে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা লেনদেন করা যায়। তবে কেউ চাইলে একাধিক এজেন্ট বা এ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আরও টাকা লেনদেন করতে পারেন। এজেন্টের মাধ্যমে করলে যার কাছে টাকা পাঠানো হয়, তার মোবাইল নম্বর ছাড়া আর কোন তথ্যই থাকে না।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলের বাসিন্দা মাসুদ রানা একজন বেসরকারী চাকরিজীবী। একদিন সকালে শনির আখড়ার একটি দোকান থেকে তার গ্রামীণফোন নম্বরের বিকাশ এ্যাকাউন্টে ৭ হাজার টাকা ক্যাশ ইন করেন। কিছুক্ষণ পর একটি নম্বর থেকে ফোনে কল পান মাসুদ। মহাখালীর বিকাশের প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তা জাহিদ হাসান পরিচয় দিয়ে ফোনে ওই ব্যক্তি বলেন, আপনার এ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কারণ, আপনার এনআইডি দিয়ে আরও চারটি বিকাশ এ্যাকাউন্ট চালানো হচ্ছে। আপনি তিনটি তথ্য দিলে আপনার এ্যাকাউন্ট আবার আমরা চালু করে দেব। না হলে এটি বন্ধ থাকবে। এনআইডি কার্ডের নাম, নম্বর ও পিন নম্বর জানতে চান ওই ব্যক্তি। মাসুদ তথ্য দিতে অস্বীকার করলে তিনি বলেন, তথ্য না দিলে এ্যাকাউন্ট বন্ধ থাকবে। এ পর্যায়ে প্রতারকেরা বিকাশের হেল্পলাইনের নম্বর ১৬২৪৭ স্পুফিং করে কয়েকবার কল দেন। ওই কল রিসিভ করেননি মাসুদ রানা। এরপরই তিনি বিকাশ এ্যাকাউন্টে প্রবেশ করে দেখেন পিন নম্বর নিচ্ছে না। পিন নম্বর দিলে লেখা উঠছে ‘দ্য এ্যাকসেস চ্যানেল ইজ ডিজ্যাবল ফর দ্য ইউজার’। পরে বিকাশের হেল্পলাইনে ফোন করলে সেখান থেকে জানানো হয়, এ্যাকাউন্টে পিন নম্বর পরপর তিনবার ভুল দেয়ায় এ্যাকাউন্ট ব্লক হয়ে গেছে। এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় একটি জিডি করেন তিনি।
বিকাশের এক উর্র্ধতন কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, সবচেয়ে বেশি যে অভিযোগ আসছে, সেটা হলো বিকাশ কর্তৃপক্ষের সহায়তার জন্য ব্যবহৃত ১৬২৪৭ নম্বরের অনুকরণে ফোন নম্বরে +১৬২৪৭ (পার্থক্য শুধু + চিহ্ন) নম্বরে ফোন আসে। বিকাশ কর্তৃপক্ষের পরিচয় দিয়ে সমস্যার কথা বলে এবং সমাধানের জন্য পিন নম্বর চায়। মানুষ নম্বর দেখে মনে করে বিকাশ থেকেই এসেছে। আসলে সেটা মাস্কিং নম্বর। এজন্য সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে। কোনভাবেই পিন বা অটিপি নম্বর কারও কাছে শেয়ার না করার পরামর্শ দিলেন এ কর্মকর্তা।
সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের দেয়া তথ্য মতে, গত চার মাসে ১৪৯টি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণার অভিযোগ এসেছে। এরমধ্যে ৪২টি মামলা হয়েছে। ১৫টি অভিযোগের সমাধান হয়েছে। বাকিগুলোর তদন্ত চলছে। জানতে চাইলে সিআইডির উর্ধতন এক কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, ‘মোবাইল ব্যাংকিংয়ে হাজার রকম প্রতারণা হচ্ছে। প্রতারকরা নতুন নতুন কৌশল বের করছেন। এই চক্রের সঙ্গে শুধু দেশের প্রতারকরাই নয়, বিদেশী প্রতারকদের সন্ধান মিলেছে।’
- বান্দরবান চাঁদের গাড়ি উল্টে ১২ পর্যটক আহত
- বান্দরবানে কেএনএফ`র অপ তৎপরতার প্রতিবাদে ১১টি জনগোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দ
- বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই
- শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী
- জাতিসংঘে উঠল পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে অর্জিত অগ্রগতির কথা
- বন্ধুত্ব ও শ্রদ্ধাবোধ রাশিয়া-বাংলাদেশের সম্পর্কের প্রধান ভিত্তি: রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী বাড়ছে যুক্ত হচ্ছে স্বাধীনতা দিবস ভাতা
- দেশের মধ্যে ভ্রমণে আগ্রহ বাড়ছে
- কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি ব্যয় নেমেছে অর্ধেকে
- চাষাবাদ সহজ করতে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়াচ্ছে সরকার : সুনামগঞ্জে কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ
- দেশব্যাপী ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
- মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের ই-পাসপোর্ট সেবা শুরু
- বিআরটিএর অভিযানে ৪০৫ মামলা, ১০ লাখ টাকা জরিমানা
- লামা ফাসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১২ ইউপি সদস্যদের অনাস্থা
- রুমা ও বিলাইছড়ি উপজেলা সীমান্তে গোলাগুলি
- বান্দরবানে অপহৃত সেই ব্যাংক ম্যানেজারকে চট্টগ্রামে বদলি
- প্রাণী ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাত এগিয়ে আসুক
- মন্ত্রী-এমপির প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ
- চালের বস্তায় জাত, দাম উৎপাদনের তারিখ লিখতেই হবে
- ৫০ বছরে দেশের সাফল্য চোখে পড়ার মতো
- সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আসছেন আরও ৪ লাখ মানুষ
- বঙ্গবন্ধু টানেলে পুলিশ-নৌবাহিনী-ফায়ার সার্ভিসের জরুরি যানবাহনের টোল মওকুফ
- বাংলাদেশে দূতাবাস খুলছে গ্রিস
- রাজস্ব ফাঁকি ঠেকাতে ক্যাশলেস পদ্ধতিতে যাচ্ছে এনবিআর
- কাতারের আমির আসছেন সোমবার
- এবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল যাবে পাইপ লাইনে
- কেএনএফ সদস্যদের আদালতে হাজির-দুই দিন করে চার দিনের রিমান্ড
- মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- মুজিবনগর দিবস : সব অপশক্তিকে প্রতিহত করার অঙ্গীকার
- কেএনএফ সদস্যদের আদালতে হাজির-দুই দিন করে চার দিনের রিমান্ড
- থানচি সাংগ্রাইং মৈত্রী পানি বর্ষন উৎসব
- লামা ফাসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১২ ইউপি সদস্যদের অনাস্থা
- লামায় ইটভাটায় অভিযান জরিমানা আদায়
- রুমা ও বিলাইছড়ি উপজেলা সীমান্তে গোলাগুলি
- বঙ্গবন্ধু টানেলে পুলিশ-নৌবাহিনী-ফায়ার সার্ভিসের জরুরি যানবাহনের টোল মওকুফ
- বান্দরবানে অপহৃত সেই ব্যাংক ম্যানেজারকে চট্টগ্রামে বদলি
- রুমায় যৌথ অভিযানে কেএনএফ এর ৯ সদস্য আটক অস্ত্র উদ্ধার
- বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কোন সশস্ত্র সংগঠন থাকবে না - র্যাব মহাপরিচালক
- বেঁচে গেলেন শতাধিক যাত্রী
- কিস্তির সময় পার হলেই মেয়াদোত্তীর্ণ হবে ঋণ
- মন্ত্রী-এমপির প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ
- প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপি জামায়াত নেতারাও
- অবৈধ অনলাইন পোর্টালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
- বাইশারীতে টিসিবির পণ্য পেয়ে মহা খুশি উপকারভোগীরা
- জলবিদ্যুতে বাংলাদেশকে বিনিয়োগের আহ্বান নেপালের
- আপাতত মার্জারে যাচ্ছে ১০ ব্যাংক, এর বাইরে নয়: বাংলাদেশ ব্যাংক
- এবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল যাবে পাইপ লাইনে
- ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ১০.৪৩ শতাংশ
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে দুই মিয়ানমার সেনা বাংলাদেশের আশ্রয়ে