সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১৫ ১৪৩১
|| ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০২১
২৫ আগস্ট বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের ৪ বছর পূর্তি হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে এক অনন্যসাধারণ মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে নিরস্ত্র রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা, ধর্ষণ, বাড়িঘরে আগুন দেওয়াসহ মানবতাবিরোধী অপরাধযজ্ঞ চলে। প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশ সীমান্তে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে।সেই থেকে আজ চার বছর ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতার কমতি রাখেন নি বাংলাদেশে সরকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর মানবিকতায় আজ রোহিঙ্গা আশ্রায়ণ সারা বিশ্বের কাছে প্রশংসার দাবী রেখে আসছে । বাংলাদেশ একটি বহুল জনসংখ্যার ছোট আয়তনের দেশ হওয়ার সর্তের রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ণের কোন প্রকার অপূর্নতা রাখেননি সরকার প্রধান।
বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের পররাষ্ট্র সচিবদের অংশগ্রহণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে সবশেষ ত্রিপক্ষীয় বৈঠকটি হয়েছিল গত ১৯ জানুয়ারি। দেড় ঘণ্টার ওই বৈঠকে কবে প্রত্যাবাসন শুরু হবে এর সমাধান আসেনি। উল্টো ভিন্ন ভিন্ন প্রস্তাব আসে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে। দেশটি রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার প্রতিশ্রুতি ভেঙেছে বারবার। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে নানামুখী সংকট। গত বছর শুরু হওয়া করোনা মহামারীর কারণে থমকে গেছে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার আলোচনাও। এ অবস্থায় রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে নিরস্ত্র রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা, ধর্ষণ, বাড়িঘরে আগুন দেওয়াসহ মানবতাবিরোধী অপরাধযজ্ঞ চলে। প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশ সীমান্তে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। রাখাইন রাজ্যের নাফ নদের তীরে যে মানবিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছিল, মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে আসে ত্রাণকর্তা হয়ে। সাময়িক আশ্রয় দেয় সহায়-সম্বলহারা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের। কক্সবাজারের ৩৪টি ক্যাম্পে আশ্রয় নেয় ১১ লাখ ৩৯ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা। সময়ের চাকায় চার বছর পার হয়েছে, এখনো দেশে ফিরতে পারেনি রাখাইনের ভূমিপুত্ররা। দ্বিপক্ষীয় থেকে বহুপক্ষীয় বিষয়টি জাতিসংঘে এমনকি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতেও গেছে। দুই দফা ভেস্তে গেছে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াও।
বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় সারাবিশ্ব বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বলেন, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও উন্নয়নের স্বার্থে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের আশ্রয় দান এবং তারা যাতে ফিরে যেতে পারে তার ব্যবস্থার জন্য আমরা কিন্তু কারও সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্বে লিপ্ত হইনি। তিনি বলেন, আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি, আলোচনার মাধ্যমে তারা তাদের নাগরিকদের যেন ফিরিয়ে নিয়ে যায়। একটা বন্ধুত্বসুলভ মনোভাব নিয়েই আমরা এ কাজ করে যাচ্ছি। ‘তবে যারা অন্যায় করছে, নিশ্চয়ই সেটি আমরা বলব। কিন্তু তার পরও তাদের নাগরিকদের তারা ফেরত নেবে, সেটি আমরা চাই।’ সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়; বঙ্গবন্ধুর দেওয়া এই পররাষ্ট্রনীতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই নীতিমালা অনুসরণ করেই আমরা আন্তঃরাষ্ট্রীয় সুসম্পর্ক বজায় রেখে এগিয়ে যাচ্ছি। আজকে কেউ-ই বলতে পারবে না যে, বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো দেশের বৈরী সম্পর্ক আছে। আমরা সবার সঙ্গে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে চলছি। ‘বর্তমানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ঐক্য উন্নয়নে বাংলাদেশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও গৌরবময় ভূমিকা রাখছে। অভ্যন্তরীণ সম্পদসহ নানাবিধ সীমাবদ্ধতা
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়