শান্তিবাহিনীর বিরুদ্ধে মুরংদের দুঃসাহসী অভিযান
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১
আশির দশকে পার্বত্য লামা ও আলীকদম উপজেলা ছিল শান্তি বাহিনীর অভয়ারণ্য। শান্তি বাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতন-নিপীড়ন, হত্যা-লুণ্ঠন ও চাঁদাবাজিতে এতদাঞ্চলের পাহাড়ি-বাঙ্গালীদের জীবনমান ছিল ওষ্ঠাগত। রাত-বিরাতে শান্তিবাহিনী হানা দিতো পাহাড়ি-বাঙ্গালী পাড়াগুলোতে। এ সময় সেনাবাহিনীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শান্তিবাহিনীকে রুখে দেয় মুরুং উপজাতির একটি সাহসী অংশ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেশ স্বাধীনের পর পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষিত ও উচ্চাবিলাসী কতিপয় উপজাতীয় নেতৃবৃন্দ পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলাদা অঞ্চল ঘোষণার দাবি তুলেছিলেন। তারা ১৯৭২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পার্বত্যাঞ্চলকে নিয়ে আলাদা একটি জাতি অঞ্চল গঠন ও পৃথক শাসনবিধির দাবি-দাওয়া নিয়ে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে সাক্ষাত করেন।
সদ্যস্বাধীন দেশে আলাদা একটি জাতি অঞ্চল গঠন ও পৃথক শাসনবিধি পরিকল্পনা বঙ্গবন্ধু কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হলে ১৯৭২ সালের ২৪ জুন ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি’ গঠিত হয়। যা সংক্ষেপে ‘জেএসএস‘ বলে পরিচিত। এ সংগঠনের সশস্ত্র শাখার নাম ‘শান্তিবাহিনী’।
শান্তিবাহিনী শুধু বাঙ্গালীদেরকেই নয় মুরংদেরও নানাভাবে অত্যাচার নির্যাতন করতো। বাঙ্গালীর পাশাপাশি হত্যা, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির শিকার হতে হতো মুরংদের।
আলীকদমের সাবেক মুরং বাহিনী কমান্ডার প্রয়াত মেনলে মুরংয়ের বক্তব্যে শান্তিবাহিনীর বিরুদ্ধে মুরংদের দুঃসাহসী অভিযানের কথা প্রথম জানা যায় সাংবাদিক আতিকুর রহমানের লেখা অনুসন্ধান: তৈনছড়ি ও আলীকদম এর ধারাবাহিক প্রতিবেদনে।
মেনলে মুরং জানান, ‘১৯৮৫ সাল। কাচিপিয়ার (কচ্ছপ্যা) লোংরা (রংরাও) পাড়ার ঝিন ঝিরিতে শান্তিবাহিনীর একটি আস্তানা ছিলো। আমরা গোপনে অনুসন্ধান করে পথঘাট ও আক্রমণের সুযোগ সুবিধা নির্ধারণ করে ওঁৎ পেতে থাকলাম। আমাদের অস্ত্র হলো দা, কুড়াল, লাঠিসোটা ও গাদা বন্দুক।
রাত শেষ প্রায়। অমনি ঝাঁপিয়ে পড়লাম শান্তিবাহিনীর ওই আস্তানায়। গাদা বন্দুকের একটি আওয়াজ হলেই শান্তিবাহিনীর সদস্যরা জেগে উঠে যে যেদিকে পারে দিলো ছুট। অল্পক্ষণে সবাই উধাও।
আমাদের দখলে এসে গেলো আস্তানাটি। তাতে পাওয়া গেলো ১টি রাইফেল, ২টি এসএলআর, ১টি এলএমজি ও ৭৫০টি গুলি। আমাদের প্রাথমিক অস্ত্র ভাণ্ডার গড়ে উঠলো। এই সাফল্যে উৎসাহিত হলেন অনেকে। তাতে আমাদের সদস্য সংখ্যাও বেড়ে গেলো।
মেনলে মুরংয়ের ধারণা, ‘মুরংদের এ অভিযানকে শান্তিবাহিনী সেনা আক্রমণ বলেই মনে করেছিলো। কিন্তু পরে তারা নিশ্চিত হয় যে, মুরংরাই এর হোতা। ফলে মুরংদের ওপর তাদের উৎপীড়ন বেড়ে যায়। আমরাও তা প্রতিরোধে দৃঢ় সংকল্প হই।’
আমাদের এই অভিযান ও সাফল্যের কথা পরে সেনাবাহিনীর গোচরীভূত হয় এবং তারা আমাদের সহযোগিতা দান শুরু করে। আমরা কাপিচিয়া (কচ্ছইপ্যা ঝিরি) অভিযানে অস্ত্র ছাড়াও শান্তিবাহিনীর গুদামজাত করা প্রায় ৫/৬ হাজার মন চাউল পেয়েছিলাম। আমাদের দ্বিতীয় অভিযানক্ষেত্র হলো মধুতে অবস্থিত শান্তিবাহিনীর আস্তানা।
মেনলে মুরং জানান, আমরা খবর পাই যে, সেখানে এতদাঞ্চলীয় শান্তিবাহিনীর সদস্যরা একটি মিটিং উপলক্ষে সমবেত হয়েছে। মুরং বাহিনীর ৯৩ জন সদস্য নিয়ে আমি ওই এলাকাটি ঘেরাও করে ফেলি। ফলে উভয় দলে সংঘর্ষ হয়। দু’জন শান্তিবাহিনীর সদস্য মারা যায় ও বাকিরা পালিয়ে আত্মরক্ষা করে। এবারও আমরা দু’টি অস্ত্র হস্তগত করি।
এরপর মধু রেংক্রং পাড়ায় শান্তিবাহিনীর সাথে আমাদের তৃতীয় মোকাবেলা হয়। সেখানে আমি নিজে হাতে, পায়ে ও মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হই। আমার দলের অপর একজন যোদ্ধা নিহত হন। তবে শত্রুপক্ষের দু’জন নিহত আর আহতের সংখ্যা অনেক।
আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য আমাকে চকরিয়ার মালুমঘাটে অবস্থিত ক্রিশিয়ান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যেখানে আমার একটি পা কেটে ফেলতে হয়। এই কাটা পা-ই বিদ্রোহী ও অত্যাচারী শান্তিবাহিনীর বিরুদ্ধে এবং দেশ ও জাতির পক্ষে পরিচালিত আমার সশস্ত্র সংগ্রামের সাক্ষী। পঙ্গু হলেও এই কাটা পা’র জন্য আমি গর্বিত। তবে আমি অতৃপ্ত এই কারণে যে, শারীরিক অক্ষমতা আমাকে শান্তিবাহিনী দমনে অধিক এগুতে দেয়নি।
ওই সাক্ষাতকারে মুরং নেতা মেনলে আক্ষেপ করে বলেন, সরকার মুরংদের অবমূল্যায়ন করছে দেখে আমি দুঃখ পাই। চুক্তি অনুযায়ী সরকার পার্বত্য জেলা পরিষদ আইনে মুরংদের নয়, তাদেরই ক্ষুদ্র শাখা সম্প্রদায় ম্রোদের উপজাতি ঘোষণা করেছেন। এটা কি জনসংহতি সমিতির বিরুদ্ধ প্রভাবের ফল?
আমরা দেশপ্রেমিক ও বাংলাদেশী জাতির স্বপক্ষ। শান্তিবাহিনীর বিরুদ্ধে স্ব-উদ্যোগে পরিচালিত সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা তার প্রমাণ রেখেছি।
যদি প্রকৃত চরিত্রের ভিত্তিতে উপজাতি নির্ধারণ করা হয়, তাহলে অন্য অনেকের চেয়ে বাস্তব উপজাতি আমরাই। আমাদের সরাসরি উপজাতি স্বীকৃতি না দিয়ে ম্রোদের দলে ব্রেকেটভূক্ত করা সঠিক মূল্যায়ন নয়। সরকারের কাছে আমাদের আরো দাবি হলো, আমাদের শিক্ষা-দীক্ষা ও অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নেয়া হোক।
- থানচি সাংগ্রাইং মৈত্রী পানি বর্ষন উৎসব
- বাইশারীতে টিসিবির পণ্য পেয়ে মহা খুশি উপকারভোগীরা
- বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কোন সশস্ত্র সংগঠন থাকবে না - র্যাব মহাপরিচালক
- মুজিবনগর দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী
- মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ
- বেঁচে গেলেন শতাধিক যাত্রী
- অবৈধ অনলাইন পোর্টালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও সোয়া লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি
- ভারত প্রশিক্ষণে যাচ্ছেন পঞ্চাশ বিচারক
- ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে লালন করে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে হবে : শ্রিংলা
- বঙ্গবাজারে দশতলা মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু শিগগিরই
- ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ১০.৪৩ শতাংশ
- লামায় ইটভাটায় অভিযান জরিমানা আদায়
- রুমায় যৌথ অভিযানে কেএনএফ এর ৯ সদস্য আটক অস্ত্র উদ্ধার
- মিয়ানমারের আরও ১০ সেনা সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে দুই মিয়ানমার সেনা বাংলাদেশের আশ্রয়ে
- রেমিট্যান্সে সুবাতাস, ১২ দিনে এলো ৮৭ কোটি ডলার
- বিভেদ মেটাতে মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারা
- কিস্তির সময় পার হলেই মেয়াদোত্তীর্ণ হবে ঋণ
- প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপি জামায়াত নেতারাও
- নতুন যোগ হচ্ছে ২০ লাখ দরিদ্র
- কৃচ্ছ্রসাধনে আগামী বাজেটেও থোক বরাদ্দ থাকছে না
- চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৬.১ শতাংশ
- রাজধানীর অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৪৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন খালি করার নির্দেশ
- আপাতত মার্জারে যাচ্ছে ১০ ব্যাংক, এর বাইরে নয়: বাংলাদেশ ব্যাংক
- দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে ২ মে
- দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়েরই নয়, এটি সর্বজনীন উৎসব : প্রধানমন্ত্রী
- গ্লোবাল গেটওয়ের তহবিলে অংশীদার হওয়াই টার্গেট
- বিএনপির কথা কাজ সবই ধ্বংসাত্মক: প্রধানমন্ত্রী
- লামায় ইটভাটায় অভিযান জরিমানা আদায়
- রুমায় যৌথ অভিযানে কেএনএফ এর ৯ সদস্য আটক অস্ত্র উদ্ধার
- কিস্তির সময় পার হলেই মেয়াদোত্তীর্ণ হবে ঋণ
- প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপি জামায়াত নেতারাও
- আপাতত মার্জারে যাচ্ছে ১০ ব্যাংক, এর বাইরে নয়: বাংলাদেশ ব্যাংক
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে দুই মিয়ানমার সেনা বাংলাদেশের আশ্রয়ে
- বিভেদ মেটাতে মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারা
- নতুন যোগ হচ্ছে ২০ লাখ দরিদ্র
- রেমিট্যান্সে সুবাতাস, ১২ দিনে এলো ৮৭ কোটি ডলার
- কৃচ্ছ্রসাধনে আগামী বাজেটেও থোক বরাদ্দ থাকছে না
- দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে ২ মে
- রাজধানীর অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৪৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন খালি করার নির্দেশ
- চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৬.১ শতাংশ
- মিয়ানমারের আরও ১০ সেনা সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ
- বাইশারীতে টিসিবির পণ্য পেয়ে মহা খুশি উপকারভোগীরা
- মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কোন সশস্ত্র সংগঠন থাকবে না - র্যাব মহাপরিচালক
- ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ
- মুজিবনগর দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী
- ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ১০.৪৩ শতাংশ