সব আয় নিয়ে যেতে পারবেন বিদেশীরা
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০২১
দেশে কর্মরত সব বিদেশী নাগরিক নিজ দেশে অর্থ পাঠাতে নীতিমালা শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে শর্তসাপেক্ষে শতভাগ নিট আয় দেশে নিতে পারবেন। তবে কোনো প্রশ্ন ছাড়াই আয়ের ৮০ শতাংশ নিতে পারবেন বছরের যে কোনো সময়ে। আর বাকি ২০ শতাংশ আয় করের প্রত্যয়ন নিয়ে বছরে একবার দেশে পাঠানো যাবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে গতকাল সোমবার এমনই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ব্যাংক নির্বাহীদের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, মুদ্রাপাচার প্রতিরোধ ও বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ সুসংহত রাখতে আগে দেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা সহজেই পাঠাতে পারতেন না বিদেশী নাগরিকরা। বাধ্যতামূলকভাবে তাদের আয়ের একটি অংশ ব্যয় করতে হতো। একই সাথে বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্জিত মুনাফা দেশে পাঠানোর ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি ছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক যাচাই-বাছাই করে অর্থ পাঠাতে অনুমোদন দেয়া হতো। কিন্তু গত বছর দেড়েক ধরে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন সহজ ও বিনিয়োগ বাড়ানোর নামে বৈদেশিক মুদ্রা নীতিমালা সহজ করা হচ্ছে।
সবশেষ গতকাল বিভিন্ন দূতাবাস, কোম্পানিতে কর্মরত বিদেশী নাগরিকদের অর্জিত আয় দেশে পাঠানোর নীতিমালা শিথিল করা হলো। আগে বিদেশী নাগরিকরা তাদের অর্জিত বেতন ভাতার ৭৫ শতাংশ দেশে পাঠাতে পারতেন। বাকি ২৫ শতাংশ পাঠানোর ক্ষেত্রে কড়াকড়ি ছিল। বলা ছিল কোনো বিদেশী নাগরিক একবারে নিজ দেশে ফিরে গেলে সেই ক্ষেত্রে তাদের অর্জিত আয় দেশে নিতে পারবেন। কিন্তু গতকাল তা শিথিল করে বছরের যে কোনো সময় নিট বেতন ভাতার ৮০ শতাংশ নিজ দেশে পাঠানোর অনুমোদন দেয়া হয়েছে। একই সাথে আয়কর রিটার্নের প্রত্যয়নপত্র নিয়ে বছরে একবার বাকি ২০ শতাংশ আয়ও দেশে পাঠাতে পারবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, যেকোনো নাগরিকের জীবন যাপনে অর্থ ব্যয় হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা শিথিলের কারণে ঘোষণাকৃত বেতনের পুরো আয় দেশে পাঠালে তারা জীপন-যাপনের অর্থ কিভাবে সংস্থান করবে সে প্রশ্ন থেকে যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, তাহলে তারা কি কর ফাঁকি দেয়ার জন্য নিট আয় কম দেখায়- এ প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই ওঠে।
এর আগে বৈদেশিক মুদ্রা নীতিমালা শিথিল করে বিদেশী মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই দেশীয় ব্যাংক থেকে স্থানীয় মুদ্রায় ঋণ নেয়ার অনুমোদন দেয়া হয়। বিদেশী মালিকানাধীন কোনো কোম্পানি স্থানীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হতো। এর কারণ হিসেবে, দেশে কার্যত বিদেশী কোম্পানিগুলো স্থানীয় মুদ্রায় ঋণ নিয়ে মুনাফা করে আবার বৈদেশিক মুদ্রায় মুনাফা বিদেশে নিয়ে যায়। অথচ অনুমোদন না দিলে বিদেশী মুদ্রায় মূলধন এনে থাকে কোম্পানিগুলো। এতে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বেড়ে যেতো।
অপর দিকে স্থানীয় মুদ্রায় ঋণ নিলে ওই কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে গেলে ওই কোম্পানির বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রার দায় সৃষ্টি হয়। এতে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ উভয় দিক থেকে দেশ ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এ কারণে কোনো বিদেশী মালিকানাধীন কোম্পানি স্থানীয় মুদ্রায় ঋণ নেয়ার আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হতো। কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনুমোদন দেয়ার আগে তা যাচাই-বাছাই করত। কোনো কোম্পানির সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না হলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির অনুমোদন দেয়া হতো না। কিন্তু নীতিমালা শিথিল করায় তার আর প্রয়োজন হচ্ছে না। গত বছরের ২১ জুলাই এই নীতি শিথিল করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বলা হয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই কোম্পানিগুলো তাদের ইচ্ছেমাফিক স্থানীয় মুদ্রায় ঋণ নিতে পারবে। এক্ষেত্রে শুধু তাদের প্রধান কোম্পানির লেনদেনকৃত ব্যাংকের গ্যারান্টি আনতে হবে। ওই গ্যারান্টিপত্র জামানত হিসেবে রেখে স্থানীয় যে কোনো ব্যাংক সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে ঋণ দিতে পারবে।
আগে বিদেশী কোম্পানিগুলো তাদের অর্জিত মুনাফা দেশে পাঠানোর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনের প্রয়োজন হতো। মুনাফা দেশে নেয়ার আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যাচাই-বাছাই করতো। কেউ ভুয়া মুনাফার ভিত্তিতে লভ্যাংশ যাতে নিজ দেশে নিতে না পারে সে জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক তদারকি করতো। কিন্তু এক পর্যায়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ নীতিমালা শিথিল করে দেয়। তখন বলা হয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই মুনাফা দেশে নিতে পারবে। তবে তার প্রতিবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকে দাখিল করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো কোম্পানি ভুয়া মুনাফার ভিত্তিতে ডিভিডেন্ড দেশে নিয়ে গেলে তা যাচাই-বাছাই করা হতো। যাচাই বাছাইয়ে এমন অভিযোগ প্রমাণিত হলে মুনাফা বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনতে হতো। না হয়, পরের বছরের মুনাফার সাথে তা সমন্বয় করা হতো। এ যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষমতাও এর আগে হারায় বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক নির্দেশে বলা হয়, এখন কোনো বিদেশী কোম্পানি মুনাফা নেয়ার পর আর তা যাচাই-বাছাই করা হবে না। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে পৃথক দু’টি সার্কুলার জারি করা হয়।
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত ৩ জন
- উপজেলা নির্বাচন উৎসবমুখর দেখতে চাই - প্রধানমন্ত্রী
- দক্ষিণে বাড়ল কমিউটার ট্রেন যাত্রী পরিবহন শুরু আজ
- জুনে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাচ্ছে দ্বিতীয় ইউনিট
- বন্দিদের সুস্থ রাখতে নানা উদ্যোগ কারাগারে
- সরকারিকরণ হলো জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর
- আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তি ৭০ কোটি ডলার মিলবে জুনে
- চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এখন দৃশ্যমান
- নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউটে যুক্ত হচ্ছে আরও ৫০০ শয্যা
- চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৮ শতাংশ
- রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে প্রণোদনার সুপারিশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
- অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সেনাবাহিনী
- ভুল তথ্যে প্লট কেনা ও হস্তান্তরে বরাদ্দ বাতিল
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বান্দরবানে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার
- বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট আলীকদমে
- বান্দরবানে রাজার মাঠে মঞ্চ তৈরি বন্ধে জেলা প্রশাসককে রাজার চিঠি
- এনআইওতে চোখের চিকিৎসা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
- খাদ্য নিরাপত্তায় ২০ লাখ টন গম কিনছে সরকার
- মেয়র আতিক বললেন বস্তিবাসীর জন্য ৯ কুলিং জোন করবে ডিএনসিসি
- বাংলাদেশ ও গাম্বিয়া রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে আশাবাদী
- বে টার্মিনাল প্রকল্পে গতি
- ‘মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’
- সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের
- খুলনায় লবণাক্ত জমিতে বছরজুড়েই ফলছে ফসল
- আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা
- র্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া
- অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে- জেলা প্রশাসক
- বান্দরবানে কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত ৯০০ বসতঘর
- কালবৈশাখী ঝড়ে লামায় সহস্রাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত
- আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে?
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বান্দরবানে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার
- অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে- জেলা প্রশাসক
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরছেন
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- বান্দরবানে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ
- রুমায় সেনা অভিযানে দুই কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত
- বান্দরবান পৌর এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
- স্বামী সংসার স্বাভাবিক করতে সহযোগিতা চায় রুনা ত্রিপুরা
- আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে?
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন চহ্লামং মারমা
- বান্দরবানে কেএনএফের আরও দুই সদস্য কারাগারে
- প্রচারণা বন্ধ করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে আশার ইঙ্গিত বর্তমান চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীরের