স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরের খতিয়ান
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২ মার্চ ২০২১
আমাদের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। এ স্বাধীনতার জন্য মানুষ রক্ত ঝরিয়েছে অনেক। লাখো নারী সম্ভ্রম হারিয়েছে। আজ স্বাধীনতার ৫০তম জন্মবার্ষিকীতে দাঁড়িয়ে স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে আমরা কী পেয়েছি আর কী পাইনি। পেয়েছি অনেক। একটি ভূখণ্ড। একটি পতাকা। জাতীয় সংগীত। সেই সঙ্গে আমাদের পূর্ণ স্বাধীনতা।
কিন্তু এ স্বাধীনতা আমাদের সব আশা পূর্ণ করেনি। দারিদ্র্যকে অনেকটা তাড়িয়েছে। দুর্নীতিকে তাড়াতে পারেনি। দুর্নীতি আরও বড় আকারে দেখা দিয়েছে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সন্ত্রাস। ৫০ বছরে আমাদের অনেক উন্নয়ন ঘটেছে। তার ফসল খেয়ে ফেলছে এ দুর্নীতি ও সন্ত্রাস। আগে যুদ্ধটা ছিল বিদেশি শাসক-শোষকদের বিরুদ্ধে। এখন তাদের স্থান দখল করেছে দেশি শাসক-শোষক। তারা আরও ভয়ংকর। পাকিস্তানে ২৩ পরিবার দুর্নীতির রাজা হয়ে উঠেছিল।
বাংলাদেশে ২৩ হাজার পরিবার জন্ম নিয়েছে। আগে ছিল একটি হাওয়া ভবন। এখন হাজার হাওয়া ভবনে দেশ ছেয়ে গেছে। এদের সঙ্গে যুদ্ধ করা আরও কঠিন। এরা টাকার জোরে এমপি হয়েছে, মন্ত্রী হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে সর্বত্র এদের রাজত্ব। ফলে স্বাধীনতার সুফল দেশের মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না।
তবু স্বাধীনতা দিবসে আমরা উৎসব করি। কারণ স্বাধীনতা বিদেশি শাসকের অত্যাচার ও শোষণ থেকে আমাদের মুক্ত করেছে। আমাদের এ স্বাধীনতার ভিত্তি চারটি। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদ। এ জাতীয়তাবাদের ভিত্তি আবার ভাষা। আমাদের বাংলাভাষা। স্বাধীনতার আগে এ ভাষার অস্তিত্ব রক্ষার জন্য আমাদের সংগ্রাম করতে হয়েছে। এ ভাষা হাজার বছর ধরেই লড়াকু ভাষা। এ ভাষা কখনো রাজদরবারের ভাষা ছিল না।
শাসকরা কখনো এ ভাষা পছন্দ করেননি। সেই আদি বাংলায় ব্রাহ্মণ্য শাসকরা এ ভাষাকে নরকের ভাষা আখ্যা দিয়ে তার সব বইপুস্তক পুড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। বৌদ্ধ পণ্ডিতরা এ ভাষার আদি নিদর্শন নিয়ে নেপালে পালিয়ে গিয়েছিল। পাঠান সুলতানদের আমলে এ ভাষা কিছুটা পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছিল।
তারপর ইংরেজ আমলে এ ভাষার পূর্ণ বিকাশ ঘটে। ইংরেজ মিশনারিরা খ্রিষ্টান ধর্ম প্রচারের জন্য এ ভাষার ব্যবহার শুরু করে এবং ওই আমলে বাংলা ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলা সংবাদপত্র বের হয়। এ সংবাদপত্রেই ইংরেজ শাসনের প্রথম বিরোধিতা শুরু হয়।
ইংরেজ আমলে বাংলাভাষার প্রভূত উন্নতি সত্ত্বেও এটি কখনো রাজভাষা হয়নি। বাংলা সাধারণ মানুষের ভাষা হিসাবে রয়ে গেছে। পাকিস্তান আমলে আবার এ ভাষার ওপর অত্যাচার শুরু হয়। পাকিস্তানি শাসকরা বাংলাভাষাকে হিন্দুদের ভাষা আখ্যা দেয়। এবং এর সংস্কৃতিকেও বিনাশ করার প্রয়াস চালায়।
বায়ান্নর ফেব্রুয়ারিতে রক্তদানের মধ্য দিয়ে বাঙালি উপলব্ধি করে স্বাধীনতা ছাড়া বাংলাভাষা টিকবে না; বাঙালির অস্তিত্ব থাকবে না। এ সময় এক নতুন নায়কের আবির্ভাব হলো। চেহারায়-চরিত্রে-ভাষায় যিনি খাঁটি বাঙালি। তার নাম শেখ মুজিবুর রহমান। তার এবং মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে তখনকার পূর্ব পাকিস্তানে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার সংগ্রাম শুরু হয়। এর কয়েকটি পর্যায় ছিল। ভাষা সংগ্রামের পর এলো ভাষার হরফ রক্ষার আন্দোলন।
তারপর এলো রবীন্দ্র ও নজরুলের সাহিত্য রক্ষার সংগ্রাম। তারপর নির্বাচন আদায়ের লড়াই। ১৯৫৭ সালে আওয়ামী লীগের কাগমারী সম্মেলনে উচ্চারিত হলো পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের দাবি। ছয় দফা এলো আরও পরে। সেই সঙ্গে যুক্ত হলো ১১ দফা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্ত হলেন। তিনি ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে উচ্চারণ করলেন বাংলার স্বাধীনতার কথা।
লড়াই শুরু হলো। ৩০ লাখ শহিদের আত্মদানে আমরা পেলাম স্বাধীনতা। ২ লাখ রমণী সম্ভ্রম হারালেন এবং প্রাণ দিলেন। প্রায় শ-এর কাছাকাছি বুদ্ধিজীবীকে প্রাণ দিতে হলো। তারপর এলো স্বাধীনতা। আমাদের পরম আরাধ্য স্বাধীনতা। কিন্তু স্বাধীনতার ফুল না ফুটতেই তাকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল নতুন দানব। তারা স্বাধীনতার ভিত্তি সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে সংবিধান থেকে উচ্ছেদ করে দেশটাকে আবার নতুন পাকিস্তান বানানোর দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
১৯৭৫ সালে এ দানবরা বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে। দীর্ঘ ২১ বছর এদের শাসন ও শোষণ চলে। স্বাধীনতার ভাবমূর্তি নষ্ট করে দেওয়া হয়। এ সময় নেতৃত্বহীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার আবির্ভাব ঘটে। তিনি যেন বাঙালি জোয়ান অফ আর্ক। দানব বিনাশের শক্তি ও সাহস নিয়ে তিনি রাজনীতিতে এলেন। স্বাধীনতাকে শকুনের চঞ্চু থেকে মুক্ত করলেন। দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে উন্নতি ঘটালেন দক্ষিণ এশিয়ার একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে। সন্ত্রাসকেও হটিয়েছেন শেখ হাসিনা।
কিন্তু দুর্নীতির দানব রয়ে গেছে এবং আগের চেয়েও প্রবল আকার ধারণ করেছে। দুর্নীতি নেই এমন কোনো সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নেই। শেখ হাসিনা এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন। দুর্নীতির অনেক রাঘববোয়াল ধরাও পডেছে। কিন্তু দুর্নীতি রয়ে গেছে আমাদের সমাজ জীবনের সব স্তরে গোপনে এবং প্রকাশ্যে। এ দুর্নীতিকে হটাতে না পারলে আমাদের স্বাধীনতা অর্থহীন হয়ে যাবে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে এ আশঙ্কাই দেশের শুভাকাঙ্ক্ষীরা করছেন।
আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি এখন খুব ঘোলাটে। করোনার মতো বিশ্বগ্রাসী ভাইরাসের কবলে গোটা পৃথিবী এখন বিভীষিকাময়। এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন বেরিয়েছে। কিন্তু এ মহামারির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য বিশ্বব্যাপী ঐক্য গড়ে ওঠেনি। এ সময়ের একটি সুখবর আমেরিকা ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনমুক্ত হয়েছে।
এ ভদ্রলোকও ছিলেন করোনার মতোই সারা বিশ্বের জন্য এক বিরাট উপদ্রব। আমেরিকার প্রেসিডেন্টের পদ থেকে তার অপসারণের ফলে বিশ্ব শান্তি কিছুটা হলেও নিরাপদ হয়েছে। কিন্তু সমস্যা অনেক রয়ে গেছে। গ্লোবাল ক্যাপিটালিজম এখন পতনের মুখে। ব্রেক্সিট নিয়ে ইউরোপ ও ব্রিটেনের বিবাদ এখনো চলছে। মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের আধিপত্য বিস্তারে প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতা এখন শিকেয় ঝুলছে। উপমহাদেশে পাকিস্তান এখনো প্রকৃত গণতান্ত্রিক শাসন পায়নি।
সামরিক বাহিনী এখনো পরোক্ষভাবে শাসন ক্ষমতায়। মিয়ানমারে আবারও সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছে। তারা বাংলাদেশের ঘাড়ে রোহিঙ্গা সমস্যা চাপিয়ে রেখেছে। বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াত আবারও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে। এ ষড়যন্ত্রের সঙ্গে রয়েছে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক। সম্প্রতি আলজাজিরা টেলিভিশন থেকে বাংলাদেশ সম্পর্কে যে অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়েছে তাতে এ ষড়যন্ত্র ধরা পড়েছে। দেশের ভেতরেও মৌলবাদী শক্তি মাথা তোলার চেষ্টা করছে।
জাতির পিতার ভাস্কর্য তারা ভেঙেছে। সরকারের সামনে এখন বহুমুখী চ্যালেঞ্জ। আওয়ামী লীগের ভেতরেও চলছে অন্তর্দ্বন্দ্ব। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও তার ভাই কাদের মির্জার প্রকাশ্য বিবাদে ক্ষমতাসীন দলটির দুর্বলতা প্রকট হয়ে উঠেছে। শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা ও দক্ষতার ওপর বর্তমান সরকার দাঁড়িয়ে আছে। বাংলাদেশে কোনো গণতন্ত্রবিরোধী দল নেই। হাসিনা সরকারের বিকল্প হচ্ছে একটি সাম্প্র্রদায়িক ও ধর্মান্ধ গোষ্ঠী।
তারা আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে এবং এখনো তারা এ স্বাধীনতার মূল চেতনার বিরোধী। বাংলাদেশের ৫০ বছরের স্বাধীনতা তাই নানা রোগে জর্জরিত। মানুষ যে প্রত্যাশা নিয়ে এ স্বাধীনতাকে বরণ করেছিল, তা পূরণ হয়নি। দেশটির বিরাট অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটেছে, কিন্তু তার সামাজিক অবক্ষয় এক দারুণ অভিশাপের মতো। বায়ান্নর যে তারুণ্য ভাষার অধিকার ছিনিয়ে এনেছিল সেই তারুণ্য আজ বিপথগামী।
এ তারুণ্য সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও নানা অবক্ষয়ের দ্বারা অধঃপতিত। কে তাদের পথ দেখাবে, তাদের নৈতিক শক্তি উদ্ধার করবে তা আমাদের জানা নেই। জাতির পিতার ভাস্কর্য আজ প্রকাশ্যে ভাঙা হয়। এ দুর্বৃত্তদের শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা অথবা আগ্রহ সরকারের নেই। দেশের সামাজিক শক্তির যদি পুনর্গঠন করা না যায়, তাহলে উন্নতির সুফল দীর্ঘস্থায়ী হবে না। স্বাধীনতা আমাদের অনেক কিছুই দিচ্ছে। রাস্তাঘাটে উন্নতি, নতুন সেতু, দিচ্ছে শিক্ষার প্রসার ও উন্নত স্বাস্থ্যসেবা।
এ করোনার মহা-অভিশাপের সময়ও তাকে প্রতিহত করার ব্যাপারে সরকারের সাফল্য প্রশংসনীয়। এ করোনাও একদিন যাবে। কিন্তু যে সামাজিক অবক্ষয় জাতিকে ঘিরে ফেলেছে তার প্রতিকার কীভাবে হবে, কতদিনে হবে তা আমাদের জানা নেই। একটি আশার আলোক আমাদের নতুন প্রজন্মের মধ্যে দেখা দিচ্ছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা জানে। বঙ্গবন্ধুর সেই আদর্শের চেতনায় উজ্জীবিত। তাই সব ধ্বংসের মধ্যে এ সোনালি সূর্যের সম্ভাবনা আমাদের আশান্বিত করে।
১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস। লড়াই করে আমরা রণক্ষেত্রে জয়ী হয়েছিলাম, কিন্তু স্বাধীনতার শত্রুদের সঙ্গে রাজনীতির ক্ষেত্রে জয়ী হতে পারিনি। তারা ধীরে ধীরে অনুপ্রবেশ করেছে আমাদের সামাজিক জীবনে। ধর্মের বুলিতে মানুষকে প্রতারিত করেছে। তারপর একদিন অস্ত্র হাতে জাতির পিতাকে হত্যা করেছে। হত্যা করেছে জাতীয় নেতাদের। এবং কলুষিত করতে চেয়েছে স্বাধীনতার চেতনাকে। বাংলাদেশের হাজার বছরের অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ধর্মান্ধতা দ্বারা তারা আচ্ছন্ন করতে চেয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার তাদের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে পেরেছে।
কিন্তু স্বাধীনতার সূর্যকে অমলিন করতে পারেননি। স্বাধীনতার সূর্য সেদিন অমলিন হবে যেদিন দুর্নীতিমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। বাংলাদেশের মন্ত্রী ও এমপিরা লুটপাট করবে না। ক্ষমতার অপব্যবহার করবে না। বঙ্গবন্ধুর শোষিতের গণতন্ত্রের ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
দেশে এ মুহূর্তে একটি গণতান্ত্রিক বিরোধী দল দরকার। যারা বিএনপি ও জামায়াতের মতো বাংলাদেশের মূল ভিত্তিকে ধ্বংস করতে চাইবে না। যারা আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করবে, কিন্তু জাতীয় চার মূলনীতির বিরোধিতা করবে না। তার ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে তারা নতুন রাজনৈতিক কর্মসূচি দেবে। একদলীয় শাসন কখনোই শুভ ফল দেয় না। বাংলাদেশে গণতন্ত্র এসেছে, কিন্তু তার পা দুটির বদলে একটি, তাই সে খুঁড়িয়ে হাঁটছে। সফলভাবে হাঁটতে পারছে না।
বাংলাদেশের গণতন্ত্রের এ পঙ্গুত্ব দূর করার জন্য একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক বিরোধী দল চাই। একটি দল দীর্ঘকাল ক্ষমতায় থাকলে তার ভেতর ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রবণতা দেখা দেয়। দুর্নীতি জন্ম নেয়। বাংলাদেশে আজ সেই অবস্থা। এ অবস্থা থেকে দেশকে উদ্ধারের একমাত্র পথ গণতন্ত্রের পঙ্গুত্ব দূর করা এবং স্বাধীনতার মূল আদর্শগুলো ধর্মান্ধদের কবল থেকে মুক্ত করা। এ লক্ষ্যের পথে আমাদের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ধীরে ধীরে চেতনা জাগ্রত হচ্ছে এটাই আশার কথা। স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমরা কী পেলাম আর কী পেলাম না তার খতিয়ান দরকার।
সেই খতিয়ানের পর আমাদের চাওয়া-পাওয়ার শূন্যস্থানগুলো পূরণের জন্য ঐক্যবদ্ধ জাতীয় প্রচেষ্টা দরকার। ২০২০ ছিল মুজিববর্ষ। ২০২১ সাল স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি। এ দুই বছরে তরুণ প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতা এবং শেখ মুজিবের রাজনৈতিক আদর্শের অনেক বাণী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
আশা করা যায়, আমাদের তারুণ্য আবার জাগবে, স্বাধীনতার ৫০ বছরে যে আলোক শিখা জ্বলছে তা থেকে পথনির্দেশ পেয়ে আবার এক তারুণ্যের অভ্যুত্থান ঘটাবে বাংলাদেশে। অর্থনৈতিক বৈষম্য কমে আসবে। ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির জয় হবে। আমরা স্বাধীনতার সূর্যের পরিপূর্ণ আলো আবার দেখতে পাব।
- বান্দরবান চাঁদের গাড়ি উল্টে ১২ পর্যটক আহত
- বান্দরবানে কেএনএফ`র অপ তৎপরতার প্রতিবাদে ১১টি জনগোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দ
- বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই
- শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী
- জাতিসংঘে উঠল পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে অর্জিত অগ্রগতির কথা
- বন্ধুত্ব ও শ্রদ্ধাবোধ রাশিয়া-বাংলাদেশের সম্পর্কের প্রধান ভিত্তি: রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী বাড়ছে যুক্ত হচ্ছে স্বাধীনতা দিবস ভাতা
- দেশের মধ্যে ভ্রমণে আগ্রহ বাড়ছে
- কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি ব্যয় নেমেছে অর্ধেকে
- চাষাবাদ সহজ করতে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়াচ্ছে সরকার : সুনামগঞ্জে কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ
- দেশব্যাপী ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
- মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের ই-পাসপোর্ট সেবা শুরু
- বিআরটিএর অভিযানে ৪০৫ মামলা, ১০ লাখ টাকা জরিমানা
- লামা ফাসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১২ ইউপি সদস্যদের অনাস্থা
- রুমা ও বিলাইছড়ি উপজেলা সীমান্তে গোলাগুলি
- বান্দরবানে অপহৃত সেই ব্যাংক ম্যানেজারকে চট্টগ্রামে বদলি
- প্রাণী ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাত এগিয়ে আসুক
- মন্ত্রী-এমপির প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ
- চালের বস্তায় জাত, দাম উৎপাদনের তারিখ লিখতেই হবে
- ৫০ বছরে দেশের সাফল্য চোখে পড়ার মতো
- সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আসছেন আরও ৪ লাখ মানুষ
- বঙ্গবন্ধু টানেলে পুলিশ-নৌবাহিনী-ফায়ার সার্ভিসের জরুরি যানবাহনের টোল মওকুফ
- বাংলাদেশে দূতাবাস খুলছে গ্রিস
- রাজস্ব ফাঁকি ঠেকাতে ক্যাশলেস পদ্ধতিতে যাচ্ছে এনবিআর
- কাতারের আমির আসছেন সোমবার
- এবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল যাবে পাইপ লাইনে
- কেএনএফ সদস্যদের আদালতে হাজির-দুই দিন করে চার দিনের রিমান্ড
- মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- মুজিবনগর দিবস : সব অপশক্তিকে প্রতিহত করার অঙ্গীকার
- কেএনএফ সদস্যদের আদালতে হাজির-দুই দিন করে চার দিনের রিমান্ড
- থানচি সাংগ্রাইং মৈত্রী পানি বর্ষন উৎসব
- লামা ফাসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১২ ইউপি সদস্যদের অনাস্থা
- লামায় ইটভাটায় অভিযান জরিমানা আদায়
- রুমা ও বিলাইছড়ি উপজেলা সীমান্তে গোলাগুলি
- বঙ্গবন্ধু টানেলে পুলিশ-নৌবাহিনী-ফায়ার সার্ভিসের জরুরি যানবাহনের টোল মওকুফ
- বান্দরবানে অপহৃত সেই ব্যাংক ম্যানেজারকে চট্টগ্রামে বদলি
- রুমায় যৌথ অভিযানে কেএনএফ এর ৯ সদস্য আটক অস্ত্র উদ্ধার
- বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কোন সশস্ত্র সংগঠন থাকবে না - র্যাব মহাপরিচালক
- বেঁচে গেলেন শতাধিক যাত্রী
- কিস্তির সময় পার হলেই মেয়াদোত্তীর্ণ হবে ঋণ
- মন্ত্রী-এমপির প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ
- প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপি জামায়াত নেতারাও
- অবৈধ অনলাইন পোর্টালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
- বাইশারীতে টিসিবির পণ্য পেয়ে মহা খুশি উপকারভোগীরা
- জলবিদ্যুতে বাংলাদেশকে বিনিয়োগের আহ্বান নেপালের
- আপাতত মার্জারে যাচ্ছে ১০ ব্যাংক, এর বাইরে নয়: বাংলাদেশ ব্যাংক
- এবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল যাবে পাইপ লাইনে
- ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ১০.৪৩ শতাংশ
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে দুই মিয়ানমার সেনা বাংলাদেশের আশ্রয়ে