স্মার্ট বাংলাদেশ গড়াই হবে জাতির জনকের ঋণ শোধ:প্রধানমন্ত্রী
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারি ২০২৩
ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়াই জাতির জনকের রক্তের ঋণ শোধ করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীর পিতা দেশের অধীকার প্রতিষ্ঠা, দেশের মানুষের মুক্তি চেয়েছিলেন, শোষিত, বঞ্চিত মানুষের রাজনৈতিক অধীকার , অর্থনৈতিক অধীকার প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছিলেন। এই বঞ্চিত মানুষগুলোর মুখে দু বেলা দু মুঠো ভাত তুলে দিতে চেয়েছিলেন। পাকিস্তান সরকার ভাষার ওপর আঘাত আনলো, তিনি ভাষার অধিকার ফিরিয়ে আনতে ভাষা অন্দোলন শুরু করেন এবং সেই পথ ধরেই কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা অর্জন।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কিন্তু সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু ইয়াহিয়া খান ও পাকিস্তানী চক্রান্ত ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। অভুতপূর্ব সাড়া দেয় সবাই। এই অত্যাচারের পরে ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী দেশের মানুষের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে নির্বিচারে গণহত্যা চালায়। বঙ্গবন্ধু তা আগে থেকেই জানতেন, সেজন্য তিনি ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বলেন, যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে, ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। এমনকি এ কথাও তিনি বলেছিলেন, আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি তোমরা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়বে। যার যা কিছু শত্রুর মেকাবিলা করতে। তিনি সে সময় স্বাধীনতার ঘোষণাও দেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতিটি পদক্ষেপ সুচতুরভাবে নিয়েছিলেন তিনি। তারই নির্দেশনা মতো আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ভারতে আশ্রয় নিয়ে সরকার গঠন করে।
সংসদে শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘ নয়মাস বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি কারাগারে বন্দি থাকেন। তাকে ফাঁসি দেবার জন্য কারাগারে কবর খোড়া হয়। তবে আমাদের এ যুদ্ধ কিন্তু জনযুদ্ধ ছিল। সেই সঙ্গে ভারতের মিত্র বাহিনীও আমাদের সাথে সাথে যুদ্ধ করেছে, হাজার হাজার ভারতীয় সেনাও মারা যান। তিনি বলেন, ভুট্টো তার নিজের সার্থে টিকে থাকার জন্য এবং ভারতীয় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধিপৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রধানদের পাকিস্তানকে বঙ্গবন্ধুর মুক্তিদর জন্য চাপ সৃষ্টির কথাও বলেন। তারই পরে ৮ জানুয়ারী বঙ্গবন্ধু মুক্তি পান। এবং প্রথমেই লন্ডনে যান। আমার মা শুধু মাত্র বলতে পেরেছিলেন.. ‘তুমি কি বেচে আছো’ আর কোন কথা মা বলতে পারেননি। ১০ জানুয়ারি ভারত ঘুরে দেশে ফিরে এসে প্রথমে পরিবারের কাছে না গিয়ে জনগণের কাছে যান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, মানুষের ভোট ও ভাতের অধীকার ফিরিয়ে দেন বঙ্গবন্ধু, তিনি ক্ষমতা গ্রহনের মাত্র তিন বছর পরে ১৯৭৩ সালে তিনি নির্বাচন দিয়ে জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, তিনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন জাতীয় ঐক্য, মানুষের উন্নয়ন, তিনি চেয়েছিলেন দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ দেশ, এদেশের মানুষ যাতে দু বেলা দু মুঠা ভাত ডাল ভাত খেয়ে বেঁচে থাকে। তিনি বলেন, অসাংবিধানিক ভাবে ক্ষমতায় এসেছিলেন এরশাদ, জিয়া, মোস্তাক। কই তারা তো মানুষের উন্নয়ন দেশের উন্নয়ন করে যেতে পারে নি। অথচ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দেশের মানুষ খেতে পায়, দেশের উন্নয়ন করে চলেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন সাবেক মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধু না জম্মালে আমরা বাংলাদেশ নামক ভুখণ্ড পেতাম কিনা জানি না। তার ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষনেই তিনি দেশবাসীকে সব বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু পাকিস্তান সরকার কোন কিছু না মেনে ২৫ মার্চ কাল রাত্রিতে গণহত্যা চালায়। বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানী বাহিনী সে দেশে নিয়ে গিয়ে বন্দী করে রাখে। কিন্তু তাকে প্যারোলে মুক্তি দিতে চাইলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। কিন্তু স্বাধীনতার পরে স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করে অসাংবিধানিক সরকারগুলো। এখনো তারা স্বাধীনতা-সার্বভৈৗমিত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে চলেছে। এই অশুভ শক্তিকে প্রতিহতের আহ্বান জানান তিনি।
তোফায়েল আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু না জম্মালে আমরা এ দেশ পেতাম না, স্বাধীন পতাকা পেতাম না। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মনে করতেন এদেশ (পূর্ব পাকিস্তান) বাঙালিদের না। সে জন্য তিনি বার বার বাঙালী জাতিকে সব দিক থেকে মুক্ত করতে চেয়েছিলেন। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষনে তিনি দেশের মানুষের মুক্তির জন্য যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাপিয়ে পড়তে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারই নির্দেশে বাঙারী জাতি যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। তার পরে ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হয়। তার ২৪ দিন পরে পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়, তিনি ১০ জানুয়ারী ১৯৭২ সালে দেশে ফিরে এলে দেশর জনগণ পূর্ণ স্বাধীনতার সাদ উপলব্ধি করে।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ ও দেশের মানুষ বড় ভালবাসতেন। তিনি বলতেন, মানুষের ওপর বিশ্বাস না হারাতে। সেই আপন ভাবা মানুষই তাকে শেষ পর্যন্ত হত্যা করে।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তান সরকার জেল খানায় বন্দী করে হত্যা করার চেষ্টা করে। কিন্তু ভারতসহ বিশ্ব জনমতের চাপে তারা সেটা করতে পারিনি। তারপরে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাতে হত্যা করে এই বাঙারীরাই। এর পরে অসাংবিধানিক ভাবে ক্ষমতা দখলের করে দেশকে পিছিয়ে নেয়া হয়।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন তার মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যুদ্ধ করার বিভিন্ন স্মৃতি চারণ করেন।
রাশেদ খান মেনন মৃুক্তিযুদ্ধের পেক্ষাপটের বিষয়ে আলোচনায় আনেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষকে খুব বিশ্বাস করতেন। আর তার সেই বিশ্বাসের মূল্য দিতে হয় তাকে জীবন দিয়ে। মেনন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মনন ও দুরদর্শিতার প্রশংসা করেন।
হাসানুল হক ইনু বলেন, বিএনপি জামাত জোট মিমাংসিত বিষয়কে অমিমাংসিত করার চক্রান্ত করে চলেছে। এরাই ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে, তারা এখনো দেশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না, এদের বিষদাত এখুনি ভেঙে দেবার আহ্বান জানান তিনি।
কাজী ফিরোজ রশীদ ও সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে মারার রাস্তা তৈরি করেন তারই কাছের মানুষেরা। একদল বিপথগামী স্বাধীনতা বিরোধী গোষ্টি দেশী বিদেশী চক্রান্ত করে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে।
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ওপর আরো আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের বর্ষিয়ান নেতা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম নাহিদ, জাপার এমপি রওশন আরা মান্নান।
- রোহিঙ্গা মামলা চালাতে আর্থিক সহায়তার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- মেয়াদোত্তীর্ণ ইউনিয়নে বসবে প্রশাসক
- প্রত্নসম্পদের ক্ষতি করলে ১০ বছর কারাদণ্ড
- ৩০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে আবাসন সুবিধা দেবে সরকার
- প্রবাস আয় বাড়ানোর জন্য রেমিট্যান্স কার্ড প্রবর্তনের সুপারিশ
- সংশোধিত বাজেটে কৃষি খাতে ভর্তুকি ৮ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে
- সুদের হার বাজারভিত্তিক করা হবে গভর্নর
- সংকটেও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশ রোল মডেল
- হাওরে ধান কাটা হলো সারা, কৃষক পরিবারে স্বস্তির হাসি
- অবশেষে ‘অবৈতনিক’ হচ্ছে নিম্ন মাধ্যমিক স্তর
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত ৩ জন
- উপজেলা নির্বাচন উৎসবমুখর দেখতে চাই - প্রধানমন্ত্রী
- দক্ষিণে বাড়ল কমিউটার ট্রেন যাত্রী পরিবহন শুরু আজ
- জুনে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাচ্ছে দ্বিতীয় ইউনিট
- বন্দিদের সুস্থ রাখতে নানা উদ্যোগ কারাগারে
- সরকারিকরণ হলো জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর
- আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তি ৭০ কোটি ডলার মিলবে জুনে
- চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এখন দৃশ্যমান
- নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউটে যুক্ত হচ্ছে আরও ৫০০ শয্যা
- চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৮ শতাংশ
- রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে প্রণোদনার সুপারিশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
- অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সেনাবাহিনী
- ভুল তথ্যে প্লট কেনা ও হস্তান্তরে বরাদ্দ বাতিল
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বান্দরবানে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার
- বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট আলীকদমে
- বান্দরবানে রাজার মাঠে মঞ্চ তৈরি বন্ধে জেলা প্রশাসককে রাজার চিঠি
- এনআইওতে চোখের চিকিৎসা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
- খাদ্য নিরাপত্তায় ২০ লাখ টন গম কিনছে সরকার
- মেয়র আতিক বললেন বস্তিবাসীর জন্য ৯ কুলিং জোন করবে ডিএনসিসি
- বাংলাদেশ ও গাম্বিয়া রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে আশাবাদী
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বান্দরবানে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত ৩ জন
- অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে- জেলা প্রশাসক
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরছেন
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- বান্দরবানে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ
- রুমায় সেনা অভিযানে দুই কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত
- বান্দরবান পৌর এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
- স্বামী সংসার স্বাভাবিক করতে সহযোগিতা চায় রুনা ত্রিপুরা
- আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে?
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন চহ্লামং মারমা
- বান্দরবানে কেএনএফের আরও দুই সদস্য কারাগারে