শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১৩ ১৪৩১
|| ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০২১
বসুন্ধারাা ৩১ কোটি টাকার হাসপাতাল উধাও! আসলে সত্য নাকি গুজব, আসুন জেনে নেয়।বাংলাদেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর গতবছর বসুন্ধরাসহ কয়েক টি জায়গায় কোভিড আক্রন্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার লক্ষ্যে অস্থায়ী হাসপাতাল ও আইসোলেশন সেন্টার খোলা হয়। সম্প্রতি বসুন্ধারার যেই হাসপাতাল টি উধাও হয়ে গেছে বলা হচ্ছে এটি মুলত হাসপাতাল ছিলনা। এটি ছিল একটি আইসোলেশন সেন্টার করোনা দূর্যোগ মোকাবেলা করার লক্ষ্যে ২০২০ সালের ১৭ মে বসুন্ধারা আর্ন্তজাতিক কনভেনশন সেন্টার কে সরকার চুক্তি ভিত্তিক মাসিক ৬০ লক্ষ টাকা ভাড়া নিয়ে সেটিকে আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে প্রস্তুত করে। পৃথিবীর আর কোন দেশ এত অল্প সময়ে এত বড় আইসোলেশন সেন্টার তৈরী করতে পারেনি। পরবর্তীতে কোভিড আক্রান্ত রোগীরা নিজ বাসাতে কোয়ারেন্টাইন যাওয়ার কারণে এই আইসোলেশন সেন্টার অলস পড়ে থাকে। র্অথাৎ চালু হওয়ার পর থেকে একজন রোগীও সেখানে যায়নি।অন্যদিকে আইসোলেশন স্টোরটি অলস পড়ে থাকায় সরকার বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুক্ষিন হচ্ছিল।
আপনি কি মনে করেন বসে বসে সরকারের এই আর্থিক ক্ষতি গুণা উচিত ছিল? বসুন্ধারা আইসোলেশন সেন্টার টিতে ১৫০জন চিকিৎসক,যন্ত্রপাতি খরচ,পানি,বিদ্যুৎ,গ্যাস মিলিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকা বিল দিতে হতো। রোগী না পাওয়ার এবং অপচয় রোধে সেপ্টাম্বরের ২৪ তারখি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপ-সচিব ড. বিলকিছ বেগম এর স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বসুন্ধারার আইসোলেশন সেন্টার টি বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং ঐ আইসোলেশন সেন্টারের বেডসহ অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং জনবল সারাদেশের বিভিন্ন জেলা এবং মেডিকেল হাসপাতালে সরবরাহ ও বন্টণ করা হয়। একেই ভাবে মহাখালীর ডিএনসিসি মার্কেটের ইনিসেফ এর অথায়নে ডাক্টারদের জন্য যে ২শত বেডের হাসপাতালটি নির্মাণ করা হয়েছিল কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি ও আক্রান্তের হার কমে আসায় সেটিও পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়।পরবর্তীতে করোনা মহামারী প্রকোপ আবার বৃদ্ধি পেলে সরকার ডিএনসিসি মার্কেটের এই হাসপাতালটিকে পুনরায় আবার চালু করে এর সক্ষমতা বৃদ্ধিও সিন্ধান্ত গ্রহণ করে। যার ধারাবাহিকতায় বর্তমানে সরকারি অর্থায়নে সেখানে হচ্ছে ১ হাজার শয্যার হাসপাতাল সেই সাথে একেই ভবণে বিশ^ ব্যাংকের অর্থায়নে হচ্ছে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল। হাসপাতালটি তৈরীতে ইউনিসেফ,ইউএনএফপিসহ জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে সহায়তা করছে। জরুরী পরিস্তিতিতে সেবা দেয়ার জন্য অস্থায়ী প্রয়েজন ফুরিয়ে গেলে সেটি আবার ভেঙ্গে ফেলাটা স্বাভাবিক চর্চা। এই যখন পরিস্থিতি তাহলে গায়েব বা উধাওয়ের মত গাজাখুর তত্ব আসে কিভাবে? ৭১টিভির বিএনপি বিটের সাংবাদিক শফিক আহমেদ তার রির্পোটে তিনি দাবী করেছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সেখানে দাড়িয়ে কথা বলছেন তার উপরে ডিএনসিসির একটি হাসপাতাল পরিত্যাক্ত হয়ে পড়ে আছে। যেটি একটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত ডাহা মিথ্যা কথা। কারণ বাস্তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী যেখানে দাড়িয়ে কথা বলছিলেন,তার উপর ছিল ছাদ। আর যেখানে দাড়িয়ে কথা বলছিলেন সেটিই হচ্ছে ডিএনসিসি মার্টেকের সেই ২০০ত শয্যার হাসপাতাল। যেটিকে সরকার ১হাজার শয্যায় উন্নতির কাজ করছে। যা থেকে স্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে আইসোলেশন সেন্টার এবং হাসপাতালের পার্থক্য না জানা এই সাংবাদিক শফিক আহমেদ কোন বিশেষ এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্যই কি এই মিথ্যা প্রতিবেদন টি প্রকাশ করেন।
কি হতে পারে সেই এজেন্ডা? কেনই বা তার এই মিথ্যাচার? কেই বা এই সাংবাদিক শফিক আহমেদ?
চলুন দেখে নেয়া ঝাক................ ৭১ টিভির বিএনপি বিটের সাংবাদিক শফিক আহমেদ। ছাত্রজীবনে জড়িত ছিল বিএনপির রাজনীতির সাথে । ২০১৪-২০১৫ সালে বিএনপির জ¦ালাও -পোড়াও আন্দোলনের সময় বিএনপির সিনিয়ন যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী যখন লাদেন স্টোইলে পার্টি অফিসের ভিতর থেকে ভিড়িও বার্তা দিতো তখন তার সাথে থাকা এক সাংবাদিক আটক হয়েছিল। নিশ্চয় মনে আছে আপনাদের ? এই সেই সাংবাদিক শফিক আহমেদ। যে মোটা অংকের টাকা লেনদেনের বিনিময়ে সরকারের বিরুদ্ধে মানুষ কে খেপিয়ে তুলতে ভূয়া প্রতিবেদন তেরি করে জনগণ কে বিভ্রান্ত করছে।তাই আসুন করোনা মহামারী প্রতিরোধে গুজবে কান না দিয়ে সচেতন হই।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়