রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||
জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১
|| ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০১৯
অভিযোগে আমলযোগ্য উপাদান থাকা সত্ত্বেও মামলা গ্রহণ না করে, তাহা আমল অযোগ্য অপরাধ হিসেবে জিডি এন্ট্রি করায়’রাঙামাটির কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মীর জাহিদুল হক রনিকে আদালতে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাঙামাটির চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
এর আগে গত ১৯ নভেম্বর রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর একজন নারীর ভূয়া ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেক আইডির মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় ২২ নভেম্বর রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু,ভিডিওদৃশ্যে অভিনয় করা অজ্ঞাতনামা এক মহিলা এবং ভিডিওটি পোস্ট করা ভূয়া আইডি ‘ মোঃ সায়মন’ এর বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে বাদীর বিরুদ্ধে আক্রমনাত্মক,মানহানিকর,ভিত্তিহীন ও উস্কানিমূলক তথ্য উপাত্ত প্রকাশ করায় রাঙামাটির কোতয়ালি থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। কিন্তু থানা অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ না করে জিডি হিসেবে এন্ট্রি করে আদালতের নিকট অত্র মামলার তদন্তের অনুমতি প্রার্থনা করে।
আদালত সূত্র জানিয়েছে, সোমবার নথি পর্যালোচনা করে আদালত জানায় যে, কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ বাদীর অভিযোগে আমলযোগ্য অপরাধের উপাদান থাকা সত্ত্বেও তাহা আমল অযোগ্য অপরাধ হিসেবে অত্র অভিযোগটি জিডি নং ১০৬২,০২ মূলে এন্ট্রি করেন এবং অত্র জিডির বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতের নিকট তদন্তের অনুমতি প্রার্থনা করে। সাবির্ক বিষয় পর্যালোচনা করে চীফ জুডিসিয়াল আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসাদউদ্দিন মোঃ আরিফ আগামী ১৮ ডিসেম্বর কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মীর জাহিদুল হক রনিকে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে বাদীর এজাহারে আমলযোগ্য অপরাধের উপাদান থাকা সত্ত্বেও কেন তাহা জিডি আকারে গ্রহণ করা হল তাহা লিখিতভাবে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন এবং একই সাথে বাদী হাজী মুছা মাতব্বরকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন।
প্রসঙ্গত, রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে জেলায় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা সাধারন সম্পাদক পদ নিয়ে দুইভাবে বিভক্ত হয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাজী মুছা এবং হাজী কামাল এর পক্ষে বিপক্ষে নানান প্রচার ও অপ্রচার শুরু করে। এরই অংশ হিসেবে ১৯ নভেম্বর সম্মেলন স্থগিত হলে দুপুরের পর ফেসবুকে অজ্ঞাত এক মুখ বাঁধা নারী মুছা মাতব্বরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনৈতিক অভিযোগ আনছে এমন ১ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ছড়িয়ে দেয়া হয়। যা মোঃ সায়মন নামের একটি ভূয়া আইডি থেকে পোস্ট করার পর শেয়ার করেন সাবেক সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু। এর পর ২২ নভেম্বর চিনু,অজ্ঞাত ওই নারী ও মোঃ সায়মন নামের ওই ভূয়া আইডির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন মুছা মাতব্বর।
এই বিষয়ে কথা বলার জন্য ফোন করলেও ফোন ধরেননি ওসি মীর জাহিদুল আলম রনি। তবে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর জানিয়েছেন, ‘আমি বিষয়টি জেনেছি।’
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়