নাথান বম এখন কোথায়, কেএনএফের শক্তির উৎস কী
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১১ মে ২০২৪
অনটনের সংসারেই জন্ম এবং বেড়ে উঠেছিলেন নাথান বম। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার স্নাতক হন। ইউরোপের কয়েকটি দেশেও গেছেন। বন্ধুদের কাছে দাবি করতেন, ইংল্যান্ড থেকে তিনি চারুকলায় ডিপ্লোমাও করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাট শেষ করার পর আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তাতে ক্ষোভ জন্মে। ইংরেজি ভাষায় বইও লিখেছিলেন। পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। সেটাও লাভজনক হয়নি। একসময় একটি এনজিও করেন। এরই মধ্যে নানা মহলের সহযোগিতা নিয়ে সশস্ত্র সংগঠন গড়ে তোলেন। সেই সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এখন পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের কাছে বিভীষিকায় পরিণত হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, প্রত্যন্ত এক এলাকায় থেকে কীভাবে এই সশস্ত্র সংগঠন গড়ে তোলার রসদ পেলেন নাথান বম? তাঁর শক্তির উৎস কোথায়? এখন তিনি কোথায়ই–বা আছেন?
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের এই যুগে ক্ষুদ্র সশস্ত্র গোষ্ঠীর লড়াই বা ইনসারজেন্সি যখন প্রায় হারাতে বসেছে, সেখানে খুবই ক্ষুদ্র একটা এলাকায় এ ধরনের তৎপরতা চালানো কতটুকু বিবেচনাপ্রসূত, তা নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন আছে। অনেকেই নাথান বমের উচ্চাভিলাষী চরিত্রের দিকেও দিকপাত করেন।
‘ছেলেটা যথেষ্ট উচ্চাভিলাষী এবং অনেক ক্ষেত্রে হঠকারীও বটে। এটা অনেক আগে থেকেই টের পেতাম। কিন্তু নতুন রাজ্য তৈরির আন্দোলনের নামে এসব সন্ত্রাসী কাজ শুরু করলে বিষয়টা স্পষ্ট হলো আরও,’ পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের প্রধান নাথান বম সম্পর্কে কথাগুলো বলছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তাঁর দুই বছরের বয়সে বড় আরেক পাহাড়ি ব্যক্তি।
ওই ব্যক্তি নাথানের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে ভর্তিসংক্রান্ত প্রায় সব কাজে সহায়তা করেছিলেন। পিছিয়ে পড়া একটি জনগোষ্ঠীর একজন শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পাবেন পড়াশোনা করার, সেটা নিশ্চিত করতে যত সম্ভব সবকিছু সহযোগিতা করেন তিনি। তিনি আরও জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নাথানকে ভর্তির জন্য তৎকালীন উপাচার্য থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক প্রয়োজনের অতিরিক্ত সহযোগিতা করেন। ভর্তি হওয়ার পর নাথান একপর্যায়ে এই ব্যক্তির সঙ্গে আর তেমন কোনো যোগাযোগ রাখতেন না। কেএনএফ নামের সশস্ত্র সংগঠন গড়ার ঘটনা জানার পর তিনি লোক মারফত তাঁকে সাবধান করে দিলেও নাথান সেগুলোর দিকে কর্ণপাত করেননি।
নাথান বম পার্বত্য চট্টগ্রামের জনসংখ্যার বিচারে পঞ্চম বম জনগোষ্ঠীর সদস্য। এই জাতিগোষ্ঠীর প্রায় সবাই খ্রিষ্টধর্মাবলম্বী। বান্দরবানের রুমা উপজেলার এডেনপাড়া সড়কে নাথানের পৈতৃক নিবাস। পারিবারিক অবস্থা খুব ভালো ছিল না কখনোই। তারপরও এই পরিবার এবং জনসংখ্যায় কম একটি জাতিগোষ্ঠীর ভেতর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর পড়ার সুযোগ পাওয়া এলাকার অনেককেই গর্বিত করত।
নাথানের এলাকার অধিবাসী, সম্পর্কে নাথানের চাচা হন, এমন একজন বলছিলেন, ‘নাথান যে এত ভয়ানক একটা অবস্থানে চলে যাবে, সেটা কখনো ভাবেননি। তার কিছু কর্মকাণ্ড উদ্ভট লাগত। শুনতাম, এলাকার যুবকদের একত্র করে সে দল পাকাচ্ছে। শুরুতে খুব একটা পাত্তা দিইনি। কিন্তু যখন তার গতিবিধি একটু সন্দেহজনক মনে হলো, আমি ব্যক্তিগতভাবে তাকে অনুরোধ করেছিলাম এ পথে না যাওয়ার জন্য। কিন্তু সে বড় ধরনের অর্থের লোভ পেয়েছিল। সেটাই তাকে শেষ করে দিল। এখন তার জন্য পুরো বম জাতির মানুষ একটা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে।’
নাথান বম ছাত্রজীবনে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যুক্ত হন। জেএসএস–সমর্থিত এই ছাত্রসংগঠনের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাও ছিলেন। এর পাশাপাশি নিজের শিল্পকর্ম নিয়ে থাকতেন। খাগড়াছড়ির চেঙ্গি স্কয়ারে জেএসএসের প্রতিষ্ঠাতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার আবক্ষ মূর্তি নিম্নী দেওয়ানের সঙ্গে তৈরি করেন নাথান বম। তবে একপর্যায়ে জেএসসের সঙ্গও ছাড়েন তিনি।
মাধ্যমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে নাথানের পড়াশোনায় একাধিকবার বিঘ্ন ঘটে। তারপর শেষে স্নাতক হয়েছিলেন তিনি। এরপর যখন এলাকায় ফিরে যান, তখন পার্বত্য চট্টগ্রামে নতুন করে উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর নেতৃত্বে ছিল জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)। নাথান সেই প্রতিষ্ঠানে কাজ করার জন্য বেশ তদবির করেছিলেন। কিন্তু এই কাজ তিনি পাননি। এটা তাঁকে বেশ ক্ষুব্ধ করে। নাথানের ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু বলছিলেন, কয়েকজন চাকমা যুবক ওই চাকরি পেয়েছিলেন। নাথান মনে করতেন, তাঁর জাতিগোষ্ঠীর সংখ্যা কম বলে চাকরিটা তাঁকে দেওয়া হয়নি। চাকমারা সংখ্যায় বেশি, সে জন্য তাঁরা সুযোগ পেয়েছেন। এ জন্য নাথান চাকমাদের ওপর কিছুটা বিদ্বেষী হয়ে ওঠেন।
চাকরি না পেয়ে নাথান একটি রিসোর্ট করে তোলেন পাড়ার কাছে। সেই ব্যবসা কিছুদিন পর বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাঁকে অনেকেই দেখেছেন ধর্মীয় বইপুস্তক নিয়ে বেশ ঘাঁটাঘাঁটি করতে। এসব করতে গিয়ে মিজোরামের কিছু ধর্মীয় গুরুর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তাঁদের সহায়তায় ইউরোপেও যান নাথান। সেখানে দুটি ডিপ্লোমা করেছেন বলে বন্ধুদের জানান। তবে অনেকেই এর সত্যতা সঠিক করে বলতে পারেন না। একপর্যায়ে তিনি বিয়ে করেন।
নাথানের ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু বলছিলেন, কয়েকজন চাকমা যুবক ওই চাকরি পেয়েছিলেন। নাথান মনে করতেন, তাঁর জাতিগোষ্ঠীর সংখ্যা কম বলে চাকরিটা তাঁকে দেওয়া হয়নি। চাকমারা সংখ্যায় বেশি, সে জন্য তাঁরা সুযোগ পেয়েছেন। এ জন্য নাথান চাকমাদের ওপর কিছুটা বিদ্বেষী হয়ে ওঠেন।
কেএনডিও থেকে কেএনএফ
এডেনপাড়ায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (কেএনডিও) নামের একটি বেসরকারি সংগঠনেরও প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন নাথান বম। এই প্রতিষ্ঠানের অর্থের উৎস নিয়ে অনেকেরই ঔৎসুক্য থাকলেও তার রহস্য কখনো উন্মোচন করা যায়নি। নাথান সেই সময় তাঁর জাতিগোষ্ঠীর মানুষকে একত্র করার জন্য নানা রকম ভাবনা ভাবতে থাকেন। এ সময় ‘জো’ নামে ইংরেজি ভাষায় একটি বইও লিখে ফেলেন। এর দাম ৩০০ টাকা ছিল।
এ সংগঠনের আড়ালে তলেতলে নাথান কর্মী সংগ্রহ করতেন বলে স্থানীয়া লোকজন মনে করেন।
নাথানের ওই চাচা বলছিলেন, নাথান অর্থের হাতছানি পেয়েছিল কোনো গোষ্ঠীর কাছ থেকে। ২০১৮ সালে সে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছিল। কিন্তু সেই মনোনয়নপত্র বৈধ হয়নি। নাথানের আর নির্বাচনও করা হয়নি। তবে সশস্ত্র আন্দোলন করার প্রচেষ্টা তখন থেকেই চলছিল।
২০১৮ সালের শেষ দিকে নাথানসহ বেশ কয়েকজন মিয়ানমারের চিন রাজ্যে গিয়ে অস্ত্রের প্রশিক্ষণ নেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। এরপর তিনি এলাকায় ফিরে আসেন। ফিরে আসার পর নাথানের কর্মকাণ্ড অনেকের চোখেই সন্দেহের সৃষ্টি করে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা তাঁর কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের দিকে নাথান এবং তাঁর সঙ্গীসাথিরা এক ধর্মীয় পাস্তরকে তাঁদের সেই এনজিওর অফিসে তুলে বেধড়ক মারধর করেন। আহত অবস্থায় তাঁকে ফেলে দেওয়া হয়। এর পরপরই নাথান এলাকা ত্যাগ করেন। তিনি মিয়ানমারের কিছু অংশ এবং ভারতের মিজোরামে প্রায়ই যাতায়াত করতেন বলে অনেকে জানান।
২০১৮ সালের শেষ দিকে নাথানসহ বেশ কয়েকজন মিয়ানমারের চিন রাজ্যে গিয়ে অস্ত্রের প্রশিক্ষণ নেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। এরপর তিনি এলাকায় ফিরে আসেন। ফিরে আসার পর নাথানের কর্মকাণ্ড অনেকের চোখেই সন্দেহের সৃষ্টি করে
কেএনএফের সশস্ত্র তৎপরতা
নাথানের দল কেএনএফের প্রচারের একটা বড় অংশ ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল জেএসএস এবং চাকমাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক অবস্থান নেওয়া। অনেকেই মনে করেন, জেএসসের বিরুদ্ধে একটা সশস্ত্র দলের অবস্থান পার্বত্য চট্টগ্রামের হোক, এটা যাঁরা চাইতেন, তাঁরাই নাথানকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন।
২০২২ সালের দিকে ফেসবুকে একটি আলাদা রাজ্য গঠনের ঘোষণা, সশস্ত্র দলের নানান ছবি ইত্যাদি দিয়ে কেএনএফের কর্মকাণ্ড জাহির করলেও স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তখনো কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ২০২২ সালের মে মাসে প্রথম আলোতেই কেএনএফের অস্তিত্বের কথা তুলে ধরে প্রতিবেদন ছাপা হয়। সেই সময় এই প্রতিবেদক রুমা থানার ওসি এবং বান্দরবানের তৎকালীন পুলিশ সুপারের সঙ্গেও কথা বলেন। তাঁরা এই সব কর্মকাণ্ড নিয়ে স্পষ্ট করে কোনো বক্তব্য দেননি। তবে এরপর একাধিক সশস্ত্র অভিযানে নিরীহ মানুষকে হত্যার অভিযোগ ওঠে কেএনএফের বিরুদ্ধে। অক্টোবরের দিকে র্যাবের বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে কেএনএফের যোগাযোগের বিষয়টি তখন গণমাধ্যমকে জানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপরই কেএনএফের বিরুদ্ধে অভিযান দ্রুততার সঙ্গে পরিচালিত হতে থাকে। পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে উঠলে স্থানীয় গণ্যমান্য অনেক ব্যক্তি মিলে একটি শান্তি কমিটিও তৈরি করেন।
নাথান এখন কোথায়
এই শান্তি কমিটির সঙ্গে ইতিমধ্যে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। সর্বশেষ বৈঠক হয় গত ৫ মার্চ। সেখানকার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ২২ এপ্রিল। কিন্তু তার আগেই একাধিক ব্যাংকে হামলা, থানায় হামলাসহ নানা কর্মকাণ্ড শুরু করে দিল কেএনএফ। নাথানের এই তৎপরতার ফলে শান্তিপ্রক্রিয়া থেকে নিজেদের সরে আসার কথা জানান শান্তি কমিটির নেতারা। এই কমিটির সদস্যসচিব জারলাম বম প্রথম আলোকে বলেন, ‘জাতিসত্তার মানুষের দিকে চেয়ে সব ভয়ভীতি উপেক্ষা করে শুধু শান্তির জন্য চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সেটা ব্যর্থ হয়ে গেল। শান্তিপ্রক্রিয়ার মাঝখানে কেএনএফ কেন এই কাজ করল, তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না।’
জারলাম বম জানান, গত বছরের নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে তাঁর সঙ্গে নাথানের কথা হয়েছিল। নাথান তখন জানিয়েছিলেন, তিনি মিজোরামে আছেন। এরপর শান্তিপ্রক্রিয়ায় তিনি কেএনএফের অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। নাথানের সঙ্গে এরপর আর কোনো যোগাযোগ হয়নি।
জাতিসত্তার মানুষের দিকে চেয়ে সব ভয়ভীতি উপেক্ষা করে শুধু শান্তির জন্য চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সেটা ব্যর্থ হয়ে গেল। শান্তিপ্রক্রিয়ার মাঝখানে কেএনএফ কেন এই কাজ করল, তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না।
শান্তি কমিটির সদস্যসচিব জারলাম বম
নাথান কি সত্যিই মিজোরামে ছিলেন কখনো? এমন প্রশ্নের জবাবে বম জাতিগোষ্ঠীর এক প্রবীণ সদস্য বলেন, ‘আমার মতো অনেকেই জানেন, নাথান মিজোরামের লংটলাই জেলার মুনাউন গ্রামে থাকতেন। এটা বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে। তবে নিশ্চিত করে কেউই কিছু বলতে পারছেন না।’
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বলিপাড়ার অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তৈমুর হোসেন খান বলেন, ‘নাথানের অবস্থান কোথায়, এটা আসলে নিশ্চিত করে বলা যায় না। তবে একটা শান্তিপ্রক্রিয়ার মধ্যে তারা কীভাবে হঠাৎ আবার হামলার ঘটনা ঘটাল, সেটা একটা বড় প্রশ্ন। আমরা এ নিয়ে তদন্ত করছি। ব্যাংকের হামলা যে তারা ঘটিয়েছিল, এ ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত। তবে বৃহস্পতিবার রাতে থানায় কারা হামলা করেছিল, সে ব্যাপার এখন নিশ্চিত করে বলা যায় না।’
মিজোরামের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক কর্মকর্তার কথা হয়। তাঁরা কেউই তাঁদের নাম প্রকাশ করতে চাননি। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মিজোরাম শাখার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ‘নাথান বম কোথায় আছেন, সেটা আমরা অবগত নই। তবে এখন এত বড় বড় অপারেশন বাংলাদেশে হচ্ছে, সেখানে এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর বড় নেতা, অর্থাৎ নাথান যে কাছে থেকেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন, এটা ধরে নেওয়া যায়। কারণ, এত বড় অভিযানে মূল নেতা দূরে থাকবেন, এটা বোধ হয় ঠিক নয়।
- বান্দরবানে রিসোর্টের মালিককে অপহরণ
- ঘুমধুমে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
- কোটা আন্দোলনে মুক্তিযোদ্ধাদের কটুক্তি করায় বান্দরবানে মানববন্ধন
- আদালতের রায় আসা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ২১ জুলাই স্পেন যাবেন প্রধানমন্ত্রী
- শাটডাউনে চলবে মেট্রোরেল, বাস চালানোর নির্দেশনা
- মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর ফলে সংঘর্ষ ও প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেছে: পলক
- ঢাকার নিরাপত্তায় ১৬ প্লাটুন আনসার ব্যাটালিয়ন মোতায়েন
- ঢাকায় বৃহস্পতিবার মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের ডাক
- ঢাকাসহ সারা দেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
- বিএনপি-জামায়াতের লাশের রাজনীতিতে মানুষ নিহত হয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার সারাদেশে কমপ্লিট শাটডাউন??
- মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দেখাতে হবে
- কোটার রায় বাতিল চেয়ে লিভ টু আপিল রাষ্ট্রপক্ষের
- যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্যকে ভিত্তিহীন, উসকানিমূলক বলল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
- আদালতকে পাশ কাটিয়ে সরকার কিছুই করবে না
- আজ পবিত্র আশুরা
- ধ্বংসাত্মক কাজ করলে ছাড় নয়
- সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের বিক্ষোভ-মানববন্ধন
- টেন মিনিট স্কুলে ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ বাতিল
- প্রশ্ন ব্যবস্থাপনায় থাকছেন না পিএসসির কর্মকর্তারা
- পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ২৫% থেকে কমে ৫.৬%
- মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার তিন মাস অন্তর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ
- রোয়াংছড়িতে ধসে পড়া সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেন বাসিন্দারা
- নিজেদের রাজাকার বলতে তাদের লজ্জাও লাগে না : প্রধানমন্ত্রী
- শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস আজ
- মাতারবাড়িতে সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবে ইন্দোনেশিয়া
- রাজাকারের চেতনা ধারণকারীরাও রাজাকার
- নিজেদের রাজাকার বলা রাষ্ট্রদ্রোহিতা ছাড়া কিছু নয়
- আদালত সম্পর্কে বিচারপ্রার্থীদের মনে সংশয় যেন সৃষ্টি না হয়
- আলীকদমের মারায়ংতং পাহাড়ে পর্যটকের মৃত্যু
- ধুতাঙ্গ বিমুক্তি বিহারের প্রধান ভান্তে গলায় ফাঁস দিয়ে ‘আত্মহত্যা’
- বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় আরও একজন গ্রেপ্তার, ছয়জনের রিমান্ড
- বৈষম্যমূলক উপজাতি কোটা বাতিলের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান পিসিসিপি`র
- কেএনএফে’র প্রধান নাথাম বমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী গ্রেপ্তার
- থানচিতে নৌকাডুবির ৭ দিন পর শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
- এমন ১০টি দেশ, যেখানে পাহাড়-পর্বতের রাজত্ব
- পর্যটক সংকট কাটেনি বান্দরবানে
- ছাড়ের পরও পর্যটক নেই বান্দরবানে
- যৌতুকের টাকা না পেয়ে ৪ সন্তানসহ ঘর থেকে তাড়িয়ে দিলেন স্ত্রীকে
- বান্দরবানে দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন
- দেশি-বিদেশি আমে জমজমাট বান্দরবান বাজার
- শঙ্খ নদীর দূষিত পানিই ভরসা কানাজিও পাড়ার অর্ধশতাধিক পরিবারের
- বান্দরবানে ডেঙ্গুতে শিশুর মৃত্যু
- আলকিদমে স্কুল ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অীভযোগে শিক্ষক গ্রেফতার
- বান্দরবান সরকারি মহিলা কলেজের একাডেমিক ভবন নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন
- ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার সারাদেশে কমপ্লিট শাটডাউন??
- ৬০টি হারানো মোবাইল ও নগদ টাকা হস্তান্তর করলো ২ এপিবিএন
- দুই দিনের সফরে শুক্রবার টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- থানচি নৌকা ডুবির ঘটনায় মুত্যুবরণকারী স্কুল শিক্ষার্থীর পরিবারের পশে উপজেলা প্রশাসন