মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর ২০২৪ ||
কার্তিক ৬ ১৪৩১
|| ১৭ রবিউস সানি ১৪৪৬
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২৪
ঈদের টানা ছুটিতেও পর্যটকের দেখা নেই পাহাড়কন্যা বান্দরবানে। ছাড় দেয়ার পরও হোটেল-মোটেল, রিসোর্টগুলোতে নেই কোনো বুকিং। প্রতিবছর ঈদের ছুটিতে পর্যটকের ঢল নামলেও, পাহাড়ের ‘অস্থিতিশীল’ পরিবেশের কারণে এবার পর্যটক না আসায় হতাশ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
পাহাড়ের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে সারা বছরই পর্যটকের ভিড় লেগে থাকে বান্দরবানের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে। ঈদের টানা ছুটিতে ভিড় বেড়ে যায় আরও কয়েকগুণ। হোটেল-মোটেল আর রিসোর্টগুলো থাকে কানায় কানায় পূর্ণ। পর্যটকদের পদচারণায় একদিকে যেমন সরব হয়ে ওঠে পর্যটন স্পটগুলো, তেমনি সচল হয় পর্যটন শিল্পের চাকা। কিন্তু এ বছর পাহাড়ের ‘অস্থিতিশীল’ পরিবেশ ও যৌথ অভিযানের কারণে ঈদের টানা ছুটিতেও পর্যটক নেই বান্দরবানে।
ঈদের ভরা মৌসুমেও পর্যটক না আসায় হতাশ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। হোটেল গ্রান্ড ভ্যালীর ম্যানেজার ইসমাইল হোসেন সুমন বলেন, টানা ছুটিতে পর্যটকের আগাম বুকিং থাকত, কিন্তু এবার তা একেবারেই কমে গেছে। মানুষ যেসব এলাকা ভ্রমণে যেতে চায়, সেখানে অভিযান চলমান থাকায় নিরাপত্তার ভয়ে যেতে পারছেন না। পরিবহন শ্রমিক নেতা বাহাদুর বলেন, পর্যটক পরিবহনের জন্য চার শতাধিক চাঁদের গাড়ি রয়েছে। কিন্তু পর্যটক না আসায় গাড়িচালকরা সবাই বেকার হয়ে পড়েছেন। গত দুই ঈদের মতো এবারও তেমন একটা বুকিং নেই, পর্যটকও আসছে না। তাই বাধ্য হয়ে অনেকে পেশাও পরিবর্তন করেছেন।
এদিকে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে হোটেল-মোটেল, রিসোর্টগুলোতে দেয়া হয়েছে বিভিন্ন ধরনের অফার। চলছে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। তারপরও পর্যটকের সাড়া মিলছে না। হোটেল মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, পাহাড়ের পর্যটন দিন দিন অধপতনের দিকে যাচ্ছে। ঋণগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা খুব বিপদে আছেন। ব্যবসা না থাকায় অনেকে কর্মী ছাঁটাই করে দিয়েছেন। অনেকের আবার হোটেল বন্ধ করে দেয়ার উপক্রম হয়েছে। পাহাড়ের নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে এ শিল্প একেবারে ধ্বংস হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, বান্দরবানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ২০ হাজারের বেশি মানুষ পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত। জেলায় পর্যটকদের জন্য গড়ে উঠেছে ছোট-বড় শতাধিক হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়