সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||
ভাদ্র ২৪ ১৪৩১
|| ০৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০২৩
ডোপ টেস্টের (মাদকাসক্ত শনাক্তকরণ পরীক্ষা) নাম বদলে হচ্ছে ‘ড্রাগ অ্যাবিউজ টেস্ট’। একই সঙ্গে শুধু চাকরিতে প্রবেশের সময় নয়, সন্দেহ হলে যে কোনো সময় সরকারি চাকরিজীবীদের ড্রাগ অ্যাবিউজ টেস্ট করা হবে। গতকাল বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সন্দেহ হলে যে কোনো সময় সরকারি চাকরিজীবীদের মাদক পরীক্ষা করা হবে। আগে সিদ্ধান্ত ছিল- চাকরিতে প্রবেশের সময় ডোপ টেস্ট হবে। তবে একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে, ৭২ ঘণ্টা পর পরীক্ষা করলে মাদকাসক্ত কিনা বোঝা যায় না। সেজন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে চাকরিরত যারা আছেন, সন্দেহজনক হলে যে কোনো সময় তাদের ডোপ টেস্ট করা হবে। টেস্টের নামটিও পরিবর্তন করা হচ্ছে। ড্রাগ অ্যাবিউজ টেস্ট নাম দেয়া হবে। এজন্য নতুন নীতিমালা তৈরি করা হবে। মন্ত্রী বলেন, এখন নির্বাচনের সময়, বাইরে থেকে দেশে অস্ত্র আসতে পারে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেজন্য বিজিবিসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, হুন্ডি ব্যবসার কারণে দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়েছে। এই ব্যবসা বন্ধ করার জন্য আরো তৎপর হওয়া এবং কীভাবে বন্ধ করা যায়- সে বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। জুয়ার মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার হচ্ছে। এজন্য অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অল্প সংখ্যক এনজিওকে দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি উল্লেখ করে মোজাম্মেল হক বলেন, বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় তাদের যে কর্মকাণ্ড সেটি খুব উদ্বেগের। রোহিঙ্গাদের কিন্তু মিয়ানমার নিতে আগ্রহী ছিল, আমরা পাঠাতে রাজি হয়েছি। বিদেশিরাও কিছুটা কনভিন্স (বোঝানো) করেছে। তবে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে- কিছু এনজিও তাদের নিরুৎসাহিত করছে। গুজব রটাচ্ছে- সেখানে গেলে নিগৃহীত হবে, আবার নির্যাতন করা হবে। এ অপপ্রচারের কারণে ফেরত যাওয়ার ক্ষেত্রে নেগেটিভ প্রভাব পড়েছে। গুজব রটনাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। বিদেশে থেকে সাইবার ক্রাইম করছে, তা বন্ধ করা যাচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, বিদেশ থেকে মিথ্যাচার ও গুজব রটানো হচ্ছে। এনটিএমসিকে আরো সক্রিয় হয়ে গুজবের পাল্টা জবাব দেয়ার জন্য বলা হচ্ছে। সত্যি ঘটনা তুলে ধরে প্রচার কতে বলা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের কিছু সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে এখনো কার্যকর হয়নি। সরকারি সংস্থাগুলো যাতে এগুলো মনিটর করে সেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। উৎপাদনকারীরা যে দাম পায় আর ভোক্তারা যে দামে তা কেনে- এর মধ্যে অনেক তারতম্য। মাঝে যাদের কারণে দাম বাড়ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়