ফরিদপুরের ঘটনায় জড়িতদের ছাড় নেই
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০২৪
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেছেন, ফরিদপুরের মধুখালীর ঘটনায় কেউ ছাড় পাবে না। ইতোমধ্যে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে গ্রেপ্তারে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলছে। ফরিদপুরের রাজনীতির দুষ্টু গ্রহ নির্মূলে অভিযানে কোনো ছাড় নয়।
গতকাল সকালে সাভারে বিসিএস লাইভ স্টক একাডেমিতে ৪১তম মৎস্য ক্যাডারের নবনিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের যোগদান উপলক্ষে ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রেজাউল হকের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন।
এক প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী কোরবানির ঈদে খামারিদের স্বার্থে, তাদের উৎসাহ প্রদান করতেই পশু আমদানির কোনো সম্ভাবনা নেই। দেশি উৎপাদিত গবাদিপশু দিয়েই চাহিদা পূরণ সম্ভব বলেও জানান তিনি।
ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে গত ২১ এপ্রিল দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। কিন্তু তীব্র দাবদাহের কারণে সেই ছুটি বাড়ানো হয়। এখনো কমেনি গরমের তীব্রতা; নতুন করে জারি করা হয়েছে হিট অ্যালার্ট। কিন্তু এ পরিস্থিতির মধ্যেই গতকাল রবিবার থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সশরীরে পাঠদান শুরু হওয়ায় ভীষণ অস্বস্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। দুর্বিষহ গরমের মধ্যে এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরাও। তারা বলছেন, জীবনের জন্য পড়াশোনা, পড়াশোনার জন্য জীবন নয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বলেছে, দাবদাহে শিক্ষার্থীদের কেউ অসুস্থ হলে কিংবা মারা গেলে এর দায় নিতে হবে সরকারকেই। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি।
এদিকে গতকাল রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে চলমান দাবদাহের কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আজ ২৯ এপ্রিল বন্ধ থাকবে। তবে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শীততাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আছে, কর্তৃপক্ষ চাইলে সেসব প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে। অবশ্য এসব জেলার প্রাথমিকস্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেই। যেহেতু প্রাথমিকের সব ক্লাস মর্নিংয়ে হবে, তাই খোলা থাকবে।
স্কুলভ্যান। দুপাশের আসনে ৬ জন করে ১২ জন শিক্ষার্থী গাদাগাদি হয়ে বসেছে। স্কুলে পৌঁছতেই হাঁসফাঁস অবস্থায় ভ্যান থেকে নামল লাবিবা, সুমাইয়া, তানহা। চোখেমুখে রাজ্যের অস্বস্তি। হাতের রুমাল নিয়ে শরীরের ঘাম মুছতে দেখা গেল ওদের। গতকাল সকাল ১০টায় এ দৃশ্য দেখা গেল বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে। স্কুল গেটের বেসিনে ভিড় জমিয়ে কল থেকে মুখে পানির ঝাপ্টা দিতে দেখা যাচ্ছে অনেক শিক্ষার্থীকে। কেউ কেউ সঙ্গীয় বোতল থেকে পানি পান করতে করতে প্রবেশ করছে। বাইরে অপেক্ষারত অভিভাবকদের কারও কাছে কাগজের হাতপাখা, তালপাখা; কারও গলায় বা হাতে মিনি চার্জার ফ্যান। মুখজুড়ে ভীষণ বিরক্তি।
দুপুর ১২টা। মতিঝিল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষার্থী ক্লাসে ঢোকার আগেই কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েন। শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে ক্লাস না করেই মায়ের সঙ্গে আবারও বাসায় ফিরে যায় সে। এই শিক্ষার্থীর মা সেলিনা বেগম বলেন, আমাদের বাসা নতুনবাজার। ১১টার দিকে বেরিয়েছি। ১০ মিনিট হাঁটার পথ। তার পর মেইন রাস্তায় এসে বাস ধরেছি। বাড্ডা-রামপুরার জ্যাম ঠেলে ৩৫-৪০ মিনিট পর স্কুলে এসে পৌঁছালাম। বাসের মধ্যেই মেয়েটা বমি আসছে বলছিল। এখানে আসার পর ঠিকভাবে একা হেঁটে ভেতরে ঢুকতেও পারছে না। ও এখন ক্লাস করবে কীভাবে? স্যারদের সঙ্গে দেখা করে বলে এখন চলে যাচ্ছি। এই স্কুল গেটে আরও কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাচ্চাদের নিয়ে যাতায়াতের সময় গরমে তারা ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। এরা কীভাবে ক্লাস করবে। সকালে যাদের ক্লাস ছিল, তারাও বলছেন ক্লাসের ফ্যানের বাতাসও গরম। শ্রেণিপাঠে মনোনিবেশ করতে পারেনি শিক্ষার্থীরা।
উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে সঙ্গে নিয়ে শনিরআখড়া থেকে এসেছেন শামছুজ্জামান নামে একজন অভিভাবক। সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে বলেন, প্রথম দিনের ক্লাসে উপস্থিত থাকতে তড়িঘড়ি করে আসছেন। পথেই ক্লান্ত হয়ে পড়েছে তার কন্যা। বমির উপক্রম হলে রাস্তার ফার্মেসি থেকে তাকে ওষুধ সেবন করানো হয়। এখন ক্লাস শেষ বাসায় ফিরতে ফের লোকাল বাসের গরম। তিনি বলেন, এত গরমের মধ্যে স্কুল খোলা রাখা উচিত হয়নি। আমরাও বাধ্য হয়ে সন্তানদের স্কুলে নিয়ে এসেছি। না এলে মাসিক বেতনের সঙ্গে জরিমানার টাকা গুনতে হবে। তিনি বলেন, আমি মনে করি, আরও কিছু দিন স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া প্রয়োজন।
এই স্কুলের সামনে সন্তানের জন্য অপেক্ষায় বসে থাকা কয়েকজন অভিভাবক গণমাধ্যকর্মীদের দেখে তাদের মনের ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই গরমের মধ্যে স্কুল খোলাটা ঠিক হয়নি। কারণ পড়াশোনার চেয়ে জীবন আগে। বর্তমান সময়ে গরমে বাসায় থেকেই জ্বর হচ্ছে বাচ্চাদের। সপ্তাহখানেক পরে বা ১০ দিন পরে তো তাপমাত্রা কমেই যাবে, একটু অপেক্ষা করলে কী আর এমন হতো? তারা আরও বলেন, আমাদের বাচ্চারা তো করোনার সময় অনলাইনে ক্লাস করেছে। এখন না হয় ১০-১৫ দিন অনলাইনে ক্লাস করত। এতে আহামরি কোনো ক্ষতি হয়ে যেত না।
শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হলে দায় সরকারের
তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ খোলায় যাতায়াত ও ক্লাসে অবস্থানকালে শিক্ষার্থীদের কোনো ক্ষতি হলে তার দায় সরকার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বহন করতে হবে বলে জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানায় সংগঠনটি। ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউল কবির দুলু বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, তীব্র তাপপ্রবাহে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা বন্ধ রেখে অনলাইনে শ্রেণি কার্যক্রম তথা পাঠদানের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছিল অভিভাবকদের সংগঠন অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। সারাদেশের তীব্র তাপপ্রবাহের তেমন কোনো উন্নতি না হওয়া সত্ত্বেও সরকার রবিবার থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পরিপত্র জারি করেছে। এ ক্ষেত্রে কোনো শিক্ষার্থী মারা গেলে বা অসুস্থ হয়ে পড়লে এর দায় সরকারকেই নিতে হবে।
স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। কারণ যে তীব্র গরমের কারণে গত এক সপ্তাহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল, সেই গরম এখনো বিদ্যমান। ফের ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্টও জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। এ অবস্থায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলা হয়েছে। তারা বলছেন, সরকার যেহেতু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেই দিচ্ছে, এখন প্রথম দিনটা ভালো করে পর্যবেক্ষণ করুক। কোনো ধরনের সমস্যা হলে অবশ্যই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, তীব্র গরমের কারণে শিশুরা এমনিতেই ঝুঁকিতে আছে। এর মধ্যে আবার হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভালো হয়নি। হিট অ্যালার্টের কারণে সাত দিন স্কুল বন্ধ ছিল, আবার হিট অ্যালার্টের মধ্যে স্কুল খুলে দিলাম!
তিনি বলেন, স্কুল চলাকালে কর্তৃপক্ষকে বেশি ভূমিকা রাখতে হবে। শিক্ষার্থীরা যেন কোনোক্রমেই শ্রেণিকক্ষের বাইরে না যায়, খেলাধুলা না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পাশাপাশি পিপাসা পেলে শিশুদের পানি অথবা শরবতজাতীয় কিছু খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এই গরমে খেলার মাঠে গিয়ে দৌড়াদৌড়ি বা খেলাধুলা করলে যে কোনো ধরনের বিপদ ঘটতে পারে। তিনি আরও বলেন, বাচ্চারা যদি বাইরের অস্বাস্থ্যকর শরবত, স্যালাইন বা আইসক্রিম খায়, এতে তাদের ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকবে। সুতরাং এই সময়টায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আমাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখা খুবই জরুরি।
শিক্ষার্থী উপস্থিতি ভালো, বলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল, গভর্নমেন্ট সায়েন্স হাইস্কুল, মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তীব্র গরমেরও মধ্যেও স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেশ ভালো ছিল বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
দুপুর সাড়ে ১২টায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র পাল আমাদের সময়কে বলেন, আজই প্রথম স্কুল খুলেছে, ক্লাস হচ্ছে। আমাদের সব ক্লাসে উপস্থিতি স্বাভাবিক। অতিরিক্ত গরমে শিশুরা হাঁপিয়ে উঠছে, এটি সত্য।
আবহাওয়া বিরূপ হলেও তার স্কুলে উপস্থিতি আশাব্যঞ্জক বলে জানান গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর হোসেন তালুকদার। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা দরকার। স্বাস্থ্য সুরক্ষাও দরকার। আমরা সেভাবেই ক্লাস নিচ্ছি।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, আমরা খোঁজখবর রাখছি। প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিতের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সবাই নির্দেশনা মেনে ক্লাস কার্যক্রম পরিচালনা করলে আশা করি সমস্যা হবে না।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী জানান, কোনো শিক্ষার্থী গরমে অসুস্থ হয়, তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ডাক্তার ও নার্স রাখা হয়েছে। এ ছাড়া স্কুলের শিক্ষক ও কর্মচারীদের সমন্বয়ে একটি টিম কাজ করছে। তারাও সারাক্ষণ ক্লাসে ক্লাসে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে।
কুইক রেসপন্স টিম
স্কুলের বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে ডাক্তার ও নার্সসহ কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক রোকনুজ্জামান শেখ। তিনি বলেন, স্কুলে নার্স, শিক্ষক ও কর্মচারীর সমন্বয়ের একটি কুইক রেসপন্স টিম গঠন করেছি। তারা প্রতিটি ফ্লোর ও ক্লাসে ক্লাসে গিয়ে সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন। কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া আমরা সিনিয়র শিক্ষকরা সিসিটিভির মাধ্যমে ক্লাসগুলো মনিটরিং করছি।
কোথাও তাপমাত্রা অসহনীয় হলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিতে পারে : শিক্ষামন্ত্রী
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, কোনো নির্দিষ্ট এলাকার তাপমাত্রার জন্য সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা যায় না। তিনি বলেন, কোনো কোনো জেলায় যদি তাপমাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে যায়, সেখানে বিদ্যালয় নিজস্ব পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা আঞ্চলিক পর্যায়ে আলোচনা করে সেই জায়গায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে পারেন।
গতকাল এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রীকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, কোনো জেলায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি বা তারও বেশি হলে করণীয় কি হবে? জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও একটি নির্দেশনা দেওয়া আছে। সেটি তারাও সমন্বয় করেন। এলাকাভিত্তিক যদি ৪২ ডিগ্রির ওপর তাপমাত্রা যায়, তা হলে সেখানে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আছেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আছেন, তারা আঞ্চলিক পর্যায়ে আলোচনা করে সেই জায়গায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে পারেন এবং সময়সীমাও পরিবর্তন করতে পারেন। এটি অঞ্চলভেদে।
- শূন্য পদ ৪২ টি! চিকিৎসা সংকটে থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
- নাইক্ষ্যংছড়ি ৮টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ সরঞ্জাম উদ্ধার
- জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নিহত ১
- কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনার ওপর জোর প্রধানমন্ত্রীর
- নারীবান্ধব শিক্ষানীতির কারণে মেয়েরা এগিয়ে: প্রধানমন্ত্রী
- সেমিকন্ডাক্টর খাতে ১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের সম্ভাবনা
- রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না
- বিপিসির এলপি গ্যাস বটলিং প্ল্যান্ট আধুনিকায়ন, জুনে চালু
- প্রত্যাশা নতুন অধ্যায়ের
- ২-৩ বছরের মধ্যে মহাকাশে যাবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট
- রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ১১০ বিলিয়ন ডলার
- একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ
- একক গ্রাহকের ঋণসীমা অতিক্রম না করতে নির্দেশ ব্যাংকগুলোকে
- দেশি শিং মাছের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচনে সফলতা
- বান্দরবানে ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- বান্দরবানে মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কার্যক্রম উদ্বোধন
- সম্পর্ক পুনর্গঠনের বার্তা যুক্তরাষ্ট্রের
- ভারতের নির্বাচনের পর ভিসা সহজ করা নিয়ে আলোচনা
- আনন্দের ঢেউ কর্ণফুলীতে
- বদলাচ্ছে ধর্ষণের সংজ্ঞা প্রস্তাবে যুক্ত তৃতীয় লিঙ্গ
- অসহনীয় মামলা জটে বিচার বিভাগ ন্যুব্জ: প্রধান বিচারপতি
- সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে উপকারভোগী বাড়ছে
- ১৫ শতাংশ কর দিলে কালোটাকা সাদা
- ঋণ পাবেন না খেলাপিরা
- প্লাস্টিক বর্জ্যে সড়ক
- হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আসছে ভারতের পেঁয়াজ
- সীমান্ত সড়ক পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে
- বান্দরবানে অনূর্ধ্ব ১৫ সাঁতার প্রশিক্ষণের উদ্বোধন
- অন্যের জায়গায় হুমকি দিয়ে পাহাড় কেটে পুকুর খননের অভিযোগ
- দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বান্দরবানে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত ৩ জন
- অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে- জেলা প্রশাসক
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলে কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হবে - বান্দরবান জেলা প্রশাসক
- নাথান বম এখন কোথায়, কেএনএফের শক্তির উৎস কী
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরছেন
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- বান্দরবান সদরে আব্দুল কুদ্দুছ আলীকদমে জামাল উদ্দীন চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- আর্তমানবতার সেবায় রেডক্রিসেন্ট সর্বদাই নিয়োজিত - বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি
- বান্দরবানে জিপিএ-৫, ১০০ জন,এগিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজ
- বান্দরবানে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ
- ড. ওয়াজেদ কর্মের জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন : প্রেসিডেন্ট