শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||
জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১
|| ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১০ জুন ২০২০
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ১৯৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিতে চলতি অর্থবছরের চেয়ে আগামী অর্থবছরের বাজেটে (২০২০-২১) প্রায় ৮৬৬ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় এ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। করোনাকালে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প এগিয়ে নেওয়া কঠিন হলেও এসব প্রকল্প সময়মতো বাস্তবায়নে আগামী অর্থবছরের বাজেটে বেশি বরাদ্দ রাখা হচ্ছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু বরাদ্দ বাড়ালেই হবে না, করোনাকালের সঙ্গে সংগতি রেখে প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রকল্পের গতি ঠিক রাখতে হবে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পে আগামী অর্থবছরে বিদেশি অর্থায়ন বেশি থাকছে। চলতি অর্থবছরের এডিপিতে এ বিভাগের অধীন প্রকল্প বাস্তবায়নে বরাদ্দ আছে ২৩ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের জন্য বরাদ্দ থাকছে ২৪ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এ বিভাগের প্রকল্প বাস্তবায়নে বিদেশি সহায়তা আছে প্রায় ছয় হাজার ৩১৭ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে এর জন্য বরাদ্দ থাকছে সাত হাজার ৩০০ কোটি টাকা। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীনে আগামী অর্থবছরে ১৯৮টি প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেওয়া হবে। এর মধ্যে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উন্নয়ন প্রকল্প আছে ১৮৯টি। নতুন সড়ক নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য বেশির ভাগ প্রকল্প। এর মধ্যে সরকারের ১৭টি বড় প্রকল্প রয়েছে। আগামী অর্থবছরে এগিয়ে নেওয়া হবে মেট্রো রেল স্থাপনের তিনটি প্রকল্প, ঢাকা-সিলেট চার লেনের মতো বড় প্রকল্প। দেশে প্রথম দ্রুত গণপরিবহন ব্যবস্থা মেট্রো রেল, উত্তরা-মতিঝিল রুটের এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পে আগামী অর্থবছরে বরাদ্দ রাখা হয়েছে চার হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। ঢাকার উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত উড়াল রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প মিলিয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্পের কাজ এগিয়েছে ৪২ শতাংশের বেশি।
করোনাকালে প্রকল্পের সব অংশের কাজ সমানভাবে এগোচ্ছে না। তবে গত ৪ জুন থেকে প্রকল্পের উত্তরার দিয়াবাড়ী অংশে ভায়াডাক্ট নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। ঢাকা মাস ট্রানজিট কম্পানি লিমিটেডের অধীনে এ প্রকল্পের কাজ তদারকি ও পরিচালনা করা হচ্ছে। ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক কালের কণ্ঠকে বলেন, আগামী অর্থবছরেও এ প্রকল্পে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে করোনাকালের সঙ্গে সংগতি রেখে ব্যবস্থাপনাও সেভাবে করতে হচ্ছে।
মেট্রো রেল স্থাপনের আরো দুটি প্রকল্প এমআরটি লাইন-১ ও এমআরটি লাইন-৫-এর জন্যও আগামী অর্থবছরে বরাদ্দ থাকছে। এ দুটি প্রকল্পের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সওজ অধিদপ্তরের অন্যতম প্রকল্প ঢাকা-সিলেট জাতীয় মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ শুরু হবে আগামী অর্থবছরে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি নিয়ে শুরু থেকে তত্পর সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও পরারাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘কর্মসংস্থানের সংকট দূর করতে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে করোনাকালেও জোর দিতে হবে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ। আগামী অর্থবছর থেকে এটির কাজ শুরু হবে বলে আশা করছি।’
হাটিকুমরুল-রংপুর জাতীয় মহাসড়ক চার লেন করার কাজও এগিয়ে নেওয়া হবে আগামী অর্থবছরে। এ ছাড়া আশুগঞ্জ নদীবন্দর-সরাইল-ধরখার-আখাউড়া স্থলবন্দর মহাসড়ক চার লেনের জাতীয় মহাসড়কে উন্নীত করার কাজও এগিয়ে নেওয়া হবে।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়