রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||
জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১
|| ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০১৯
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় রয়েছে বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান ডেসটিনির বাগান ও বাড়ি, যা সারা দেশের ডেসটিনির স্থাবর অস্থাবর সম্পদের মতো পুলিশি হেফাজতে। কিন্তু দীর্ঘদিন তদারকির দূর্বলতার কারণে এসব বাগানের গাছ কেটে বিক্রি করছে দূর্বৃত্তরা। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলার বেতছড়ি এলাকায় ডেসটিনির বাগানে গিয়ে দেখা যায় বেশকিছু কাটা গাছ পরে রয়েছে। মূল্যবান এসব গাছ কেটে লাকড়ি হিসেবে বিক্রির জন্য স্তুপ করে রাখা হয়েছে। তবে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। বাগানের পার্শ্ববর্তি বাসিন্দা আনছার আলী (৫৫) জানান, কে বা কারা প্রায় সময় চুরি করে গাছ কেটে নিয়ে যায়। গত কয়েক বছর ধরেই ডেসটিনির বাগান থেকে গাছ চুরি করে কাটছে। বিশেষ করে এ মৌসূমে বেশি চুরি হয়। ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনের স্ত্রী মোছাম্মদ মাছুদা পারভীন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের সম্পদ পুলিশি হেফাজতে থাকার কারণে নিজেদের প্রয়োজনে কোন ছোটখাট গাছও কাটতে পারিনা। অপরদিকে কোন সিন্ডিকেট চুরি করে বাগান কেটে বিক্রি করে সাবাড় করছে। এর আগেও উপজেলার রসিকনগর এলাকার বাগানের গাছ একইভাবে কেটে নিয়েছে; এখন কাটছে বেতছড়ি বাগানের গাছ।’ বেতছড়ি বাগানের গাছ কাটার জন্য তিনি সে বাগানের পার্শ্ববতি অন্যজনের ব্যাক্তিগত একটি রাবার বাগানের তত্বাবধায়ক মতিলাল ত্রিপুরাকে দায়ী করেছেন। তিনি জানান, ইট ভাটায় বিক্রির জন্য মতিলাল ত্রিপুরা এসব গাছ কাটান বলে স্থানীয়দের নিকট থেকে তিনি জানতে পেরেছেন এবং বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেছেন বলেও দাবী করেছেন মাছুদা পারভীন। অপরদিকে গাছ কেটে বিক্রির সাথে নিজের সম্পৃক্ততার অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী করেছেন মতিলাল ত্রিপুরা। তবে, চোরেরা গাছ কেটে ডেসটিনির বাগানটি প্রায় উজাড় করে ফেলেছে বলেও জানান মতিলাল। দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উত্তম চন্দ্র দেব জানান, তিনি সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলেন। গাছ কাটার সাথে জড়িতরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। জড়িতদের সনাক্ত করে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং স্থানীয়দের সতর্ক করা হয়েছে। তবে, এলাকাটি দূর্গম হওয়ায় কাট গাছগুলো নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি; কাটা গাছগুলো সেখানেই রয়ে গেছে।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়