রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||
জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১
|| ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০১৯
২০১৬ সালের ১ জুলাই ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় করা মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে ৮ আসামির মধ্যে ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই হামলা মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।
এদিকে অল্প সময়ে প্রত্যাশা অনুযায়ী রায় পাওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন দেশবাসী। জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমনে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি প্রশংসিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মহলেও। অন্যদিকে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী অবস্থান দেশের উগ্রবাদী ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীদের বিপদগ্রস্ত হতে নিরুৎসাহিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। বহুল প্রতীক্ষিত হলি আর্টিজান হত্যা মামলার রায় দেশের জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের জন্য কঠোর বার্তাও হতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
হলি আর্টিজান হত্যা মামলার রায়ের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এক নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলেন, নিঃসন্দেহে এই রায় দৃষ্টান্তমূলক এবং ঐতিহাসিক। খুব দ্রুততম সময়ে এই মামলা নিষ্পত্তি হওয়ায় দেশের জনগণও খুশি হয়েছেন, যা আপনারা গণমাধ্যমের বরাতে জানতে পেরেছেন। এই রায়ে দেশের অভ্যন্তরে এখনও যারা গোপনে জঙ্গিবাদ বিস্তারের পাঁয়তারা করছেন, তাদের জন্য এটি কঠোর বার্তা হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ হলো অসাম্প্রদায়িক একটি রাষ্ট্র। এখানে উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের কোন অবস্থান নেই। এদেশের জনগণ ধর্মের নামে বিভ্রান্তি, হত্যা, ধংসাত্মক কার্যকলাপকে সমর্থন করে না। ধর্ম হলো মানুষের শান্তির জন্য, নিরীহ মানুষকে হত্যা কোন ধর্মই সমর্থন করে না। হলি আর্টিজানের ঐতিহাসিক রায়ে বিদেশি রাষ্ট্রগুলোও সন্তোষ প্রকাশ করেছে। এই রায়ের পর বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মহলে আরো বেশি গ্রহণযোগ্যতা ও আস্থা অর্জন করতে সমর্থ হবে।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়