বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ওআরএস
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২০ মে ২০২১
রাজধানীর ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের মুদিদোকানি মো. আল মামুন অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর সঙ্গে দোকানে খাওয়ার স্যালাইন সাজিয়ে রেখেছেন। তাঁর বক্তব্য, এটাই দোকানে একমাত্র ‘ওষুধ’। প্রতি প্যাকেটের মূল্য পাঁচ টাকা। মামুন বলেন, ‘প্রতি দিনই পাঁচ-দশ প্যাকেট বিক্রি হয়। তবে গরমকালে বিক্রি বেশি।’
শুধু ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের এই দোকান নয়, টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া অর্থাৎ বাংলাদেশের সব জায়গায় ওষুধের দোকানের পাশাপাশি মুদিদোকানে খাওয়ার স্যালাইনের প্যাকেট পাওয়া যায়। ডায়রিয়া দেখা দিলে ধনী, মধ্যবিত্ত, গরিব, শিক্ষিত, নিরক্ষর—সবাই স্যালাইনের প্যাকেট কিনে পানিতে মিশিয়ে খেয়ে নিচ্ছে। গরমের দিনে স্যালাইন খাওয়া এখন অনেকেরই অভ্যাস।
জনস্বাস্থ্যবিদ ও বিজ্ঞানীরা খাওয়ার এই স্যালাইনকে বলেন, শরীরে পানিশূন্যতা প্রতিরোধে ওরাল রিহাইড্রেশন সল্যুশন বা ওআরএস ব্যবহৃত হয়। কলেরা বা ডায়রিয়াজনিত রোগের চিকিৎসায় ওআরএস ব্যবহারের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় ভারতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশি শরণার্থীদের জীবন রক্ষায় ওআরএসের ব্যাপক ব্যবহার হয়েছিল। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক তাহমিদ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘উদ্ভাবনের পর থেকে এ পর্যন্ত সারা বিশ্বে সাত কোটির বেশি মানুষের জীবন রক্ষা করেছে ওআরএস। গর্বের বিষয় হচ্ছে, ওআরএসের উদ্ভাবন ও গবেষণার সিংহভাগ কাজ হয়েছিল বাংলাদেশে, আইসিডিডিআরবিতে। বাংলাদেশ ওআরএসের মাধ্যমে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।’
এল কোথা থেকে
শরীরের পানিশূন্যতা দূর করার বা ডায়রিয়াজনিত রোগের চিকিৎসার প্রচেষ্টার ইতিহাস বহু পুরোনো। ষাটের দশকে কলেরা গবেষণার জন্য রাজধানীর মহাখালীতে কলেরা রিসার্চ ল্যাবরেটরি (বর্তমানে আইসিডিডিআরবি) স্থাপন করা হয়। কলেরার কারণ, প্রাদুর্ভাব বুঝতে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকদের সঙ্গে কাজ শুরু করেন বাংলাদেশি গবেষকেরা।
ওআরএসের ইতিহাস নিয়ে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন মোহাম্মদ বিলাল হোসেইন। তিনি বলেন, ‘মূলত ১৯৬৮ সালের এপ্রিলে ঢাকায় পাকিস্তান সিয়াটো কলেরা রিসার্চ ল্যাবরেটরির হাসপাতালে (বর্তমান আইসিডিডিআরবি) ডেভিড ন্যালিন, রিচার্ড ক্যাশ, রফিকুল ইসলাম ও মজিদ মোল্লার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে খাওয়ার স্যালাইনের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। বিশ্ববিখ্যাত মেডিকেল জার্নাল দ্য ল্যানসেট ১৯৬৮ সালের আগস্ট সংখ্যায় সফল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে এবং এর স্বীকৃতি দেয়।’
প্রায় ১০ বছর পর ল্যানসেট ১৯৭৮ সালের ৫ আগস্টের সম্পাদকীয়তে বলেছিল, ওআরএসের আবিষ্কার চিকিৎসার ক্ষেত্রে শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।
লবণ, গুড় ও পানির দ্রবণ
বাংলাদেশ শুধু ওআরএস উদ্ভাবন করেই ক্ষান্ত থাকেনি, মানুষের কাছে সহজলভ্য করার পদ্ধতিও উদ্ভাবন করেছে।
আশির দশকে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি পরিবারকে খাওয়ার স্যালাইন তৈরি করতে শেখানোর কাজ করেছিল ব্র্যাকের মাঠকর্মীরা। ‘এক চিমটি লবণ, এক মুঠো গুড় ও আধা সের পানি’ ফর্মুলা নিয়ে মাঠে নামে ব্র্যাক।
ব্র্যাকের মাঠকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে শেখান: প্রথমে পানি ফুটিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। একটি পাত্রে আধা সের (আধা লিটারের কিছু বেশি) পানি নিয়ে তাতে এক চিমটি লবণ ও এক মুঠো গুড় নিয়ে ভালো করে গুলতে বা ঘুটতে হবে। সেই দ্রবণ ডায়রিয়ার রোগীকে খাওয়াতে হবে।
ব্র্যাকের এই কাজে সরকার সব সময় নীতিগত সহায়তা দিয়েছিল। বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন এ ব্যাপারে নিয়মিত প্রচার চালায়। ১৯৯০ সাল নাগাদ দেশের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছাতে পেরেছিল ব্র্যাক।
ব্র্যাকের এই কর্মসূচি ডায়রিয়া প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে। সাধারণ মানুষ স্যালাইন তৈরি করতে পারে। আর ডায়রিয়া হলে স্যালাইন খেতে হয়, সেই সচেতনতাও মানুষের এসেছে। আজ দেশব্যাপী লাখ লাখ ওআরএসের প্যাকেট বিক্রি হওয়ার কারণও এই জনসচেতনতা।
স্যালাইন তৈরির এই ফর্মুলার সাফল্য নিয়ে টাইম সাময়িকী ২০০৬ সালের ১৬ অক্টোবর প্রচ্ছদ প্রতিবেদন ছাপে।
ছড়াল বিশ্বে
১৯৭৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং পরে ইউনিসেফ ওআরএসের ব্যবহার বাড়াতে উদ্যোগী হয়। আইসিডিডিআরবির হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী ব্যবস্থাপনা ও ওআরএস ব্যবহারের ওপর প্রতি সপ্তাহে ২০ জন করে সরকারি চিকিৎসককে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। এরপর আইসিডিডিআরবিতে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের চিকিৎসকদের দুই সপ্তাহের প্রশিক্ষণ কোর্সের ব্যবস্থা করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরবর্তী সময়ে ডিডিসি (ডায়রিয়াল ডিজিজ কন্ট্রোল) কর্মসূচি হাতে নেয়। ওই কর্মসূচির আওতায় আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ডায়রিয়ার ব্যবস্থাপনা ও ওআরএসের ব্যবহার নিয়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এসব প্রশিক্ষণে যুক্ত ছিলেন আইসিডিডিআরবির বিজ্ঞানী ওপ্রশিক্ষকেরা।
- ড্রামভর্তি অস্ত্র-বোমার সরঞ্জাম উদ্ধার
- র্যাবের হাতে আটক কেএনএফ এর ২ সদস্য কারাগারে
- জনগণ ও বাস্তবতা বিবেচনায় পরিকল্পনা প্রণয়ন করুন
- ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে: শেখ হাসিনা
- সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক শেখ হাসিনা :কাদের
- আম নিতে চায় রাশিয়া-চীন
- মূল্যস্ফীতি হ্রাসই লক্ষ্য
- সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হলেই সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার: নির্বাচন কমিশনার
- স্মার্ট দেশ গড়ার মাধ্যমে এসডিজির অভীষ্ট অর্জন
- যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
- কর আদায়ে বহুতল ভবন নির্মাণে আগ্রহী এনবিআর
- সবাই নিশ্চিত থাকেন ভোট সুষ্ঠু হবে- নাইক্ষ্যংছড়িতে বান্দরবান পুলিশ সুপার
- কেএনএফ এর জন্য নতুন নারী সদস্য রিক্রুট করতো র্যাবের হাতে আটক আকিম বম
- কেএনএফ এর নারী শাখার অন্যতম সমন্বয়ক আটক
- থানচি উপজেলার দুর্গম থুইসা পাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড
- শূন্য পদ ৪২ টি! চিকিৎসা সংকটে থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
- নাইক্ষ্যংছড়ি ৮টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ সরঞ্জাম উদ্ধার
- জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নিহত ১
- কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনার ওপর জোর প্রধানমন্ত্রীর
- নারীবান্ধব শিক্ষানীতির কারণে মেয়েরা এগিয়ে: প্রধানমন্ত্রী
- সেমিকন্ডাক্টর খাতে ১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের সম্ভাবনা
- রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না
- বিপিসির এলপি গ্যাস বটলিং প্ল্যান্ট আধুনিকায়ন, জুনে চালু
- প্রত্যাশা নতুন অধ্যায়ের
- ২-৩ বছরের মধ্যে মহাকাশে যাবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট
- রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ১১০ বিলিয়ন ডলার
- একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ
- একক গ্রাহকের ঋণসীমা অতিক্রম না করতে নির্দেশ ব্যাংকগুলোকে
- দেশি শিং মাছের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচনে সফলতা
- বান্দরবানে ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বান্দরবানে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত ৩ জন
- অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে- জেলা প্রশাসক
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলে কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হবে - বান্দরবান জেলা প্রশাসক
- নাথান বম এখন কোথায়, কেএনএফের শক্তির উৎস কী
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরছেন
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- বান্দরবান সদরে আব্দুল কুদ্দুছ আলীকদমে জামাল উদ্দীন চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- শূন্য পদ ৪২ টি! চিকিৎসা সংকটে থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
- আর্তমানবতার সেবায় রেডক্রিসেন্ট সর্বদাই নিয়োজিত - বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি
- বান্দরবানে জিপিএ-৫, ১০০ জন,এগিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজ
- বান্দরবানে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ