বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে সরকারের তিন প্রকল্প
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৮ জুন ২০২১
বজ্রপাত শোষণে যন্ত্র বসানোর কথা ভাবছে সরকার। বজ্রপাতের আগাম সতর্কবার্তা পেতে বিশেষ প্রযুক্তি স্থাপনের কথাও ভাবা হচ্ছে। এ ছাড়া কৃষকের জন্য আশ্রয় ছাউনি নির্মাণ করা হতে পারে।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এ বছর এখন পর্যন্ত বজ্রপাতে মারা গেছেন ১০৭ জন। সাধারণ হিসাবে এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকে। এক দশকের পরিসংখ্যানে মৃত্যুর সংখ্যা কম হলেও বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে সরকারকে।
বজ্রপাতে মানুষের প্রাণহানি ঠেকাতে দীর্ঘমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণে বেশ কয়েকটি প্রকল্প গ্রহণ করতে যাচ্ছে সরকার। এগুলোর মধ্যে আছে বজ্রপাত শোষণে অ্যারেস্টার স্থাপন; বজ্রপাতের আগাম সতর্কবার্তা পেতে বিশেষ প্রযুক্তি স্থাপন এবং কৃষকের জন্য আশ্রয় ছাউনি নির্মাণ।
প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে দ্রুত একনেকে পাঠানো হবে বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণসচিব মো. মোহসীন।
একই সঙ্গে অব্যাহত থাকবে তালগাছ রোপণের কাজ।
সরকারের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বজ্রপাতে প্রতি বছর গড়ে দুই শতাশিক লোক মারা যায়। এর মধ্যে ২০১৮ সালে সর্বোচ্চ ৩৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণসচিব বলেন, ‘বজ্রপাত আবহমান কাল ধরে হচ্ছে, এখনও হচ্ছে, ভবিষ্যতেও হবে। এটা বন্ধ করার কোনো সুযোগ নেই। পৃথিবীতে বেশির ভাগ দেশেই আমাদের চেয়ে বেশি বজ্রপাত হয়।’
গত এক দশকে মৃত্যুর পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে তিনি বলেন, ‘২০১৭ সাল ছিল আমাদের জন্য ওয়েকআপ কল। সে বছর সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে ৮০ জনের প্রাণহানি ঘটে। মারা গেছে শতাধিক পশুসম্পদও ।’
ওই ঘটনার পর বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে সারা দেশে ১০ লাখ তালগাছ রোপণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণসচিব মো. মোহসীন। ছবি: নিউজবাংলা
কিন্তু প্রকল্পটির সুফল পেতে অপেক্ষায় থাকতে হবে দীর্ঘ সময়। গত চার বছরে থামেনি মৃত্যুর মিছিল। এ বছরও বেড়েই চলেছে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা।
মৃত্যুর ঝুঁকি এখনও কাটেনি বলেও মনে করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সাধারণত এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত বজ্রপাত হয়। একেকটা স্ট্রাইককে বলি বজ্রপাত। পুরো ঘটনাকে বলি আমরা বজ্রঝড়। বজ্রঝড় হলে একটার পর একটা ব্রজপাত হতেই থাকে। সাধারণত এটি ২৫ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়।’
সরকার বিষয়টিকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে বলে জানিয়ে মো. মোহসীন বলেন, ‘সুনামগঞ্জের বিষয়টি মাথায় রেখে প্রথমে আমরা চিন্তা করলাম হাওর-বাঁওড়ে যখন কৃষকরা কাজ করেন, তখন বজ্রপাত শুরু হলেও নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে ৩০-৪০ মিনিট সময় চলে যায়।’
আর তাই সেখানে আশ্রয় ছাউনি স্থাপনের কথা ভাবছে সরকার। সচিব বলেন, ‘হাওর অঞ্চলের জন্য একটি প্রকল্প করেছি। দুটো জেলায়, কয়েকটা উপজেলায় আমরা প্রথমে পাইলট প্রজেক্ট করে দেখব কী হয়। তারপর আমরা আগাব। এর সঙ্গে অর্থেরও সম্পর্ক আছে। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আন্তরিকভাবে চান বজ্রপাতে আমাদের দেশে মৃত্যুর কম হোক, ক্ষয়ক্ষতি কমে আসুক।’
বজ্রঝড়ের স্থায়িত্ব যেহেতু ৩০ মিনিটের বেশি নয়, তাই ছাউনি নির্মাণ করে মানুষের প্রাণহানি কমানো সম্ভব বলে মনে করেন সচিব। তিনি বলেন, ‘কংক্রিটের ছাউনি যদি করা যায়, লোকজন তাদের পশু নিয়ে আসল। নিরাপদে অবস্থান করল। ২০/২৫ মিনিট পর তারা আবার কাজে ফিরে গেল।’
মেহেরপুরের গাংনীতে ছোট ছোট কয়েকটি ছাউনি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এটা হাওরে শুরু করতে চাই। এটা খুব গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। আগামী অর্থবছরে বরাদ্দ থেকে আমরা আশা করছি, ছাউনি যদি করতে পারি তাহলে অনেক কাজ আসবে।’
শুধু ছাউনি নির্মাণে আটকে থাকতে চায় না সরকার। খোঁজা হচ্ছে আরও আধুনিক প্রযুক্তি। সচিব মো. মোহসীন জানালেন, অ্যারেস্টার নামের একটি যন্ত্রের কথা, যা স্থাপন করা হলে বজ্রপাত শোষণ করে নেবে ওই যন্ত্র। ঠেকানো যাবে মানুষের প্রাণহানি। বেঁচে যাবে ফসল ও প্রাণিসম্পদ।
মো. মোহসীন বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে কথা বললাম। প্রতিটি অ্যারেস্টার স্থাপনে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা লাগবে। তার মানে, এটা দিয়ে কভার করতে অনেক টাকা লেগে যাবে।’
অ্যারেস্টার নিয়ে সরকার চিন্তাভাবনা করার ফাঁকে পাওয়া গেল আরেকটি প্রযুক্তির সন্ধান। বলা হচ্ছে, স্পেনের এই প্রযুক্তি দিয়ে কোনো স্থানে বজ্রপাতের অন্তত ৩৫ মিনিট আগে পূর্বাভাস পাওয়া যাবে। দেয়া যাবে সতর্কতা।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায় এমন একটি যন্ত্রের ব্যবহার নিজেই দেখেছেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন। সেই অভিজ্ঞতা বিনিময় করে তিনি বলেন, ‘এই প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ হলো, মানুষকে আবার সেই তথ্য জানিয়ে দিতে হবে।’
কীভাবে মানুষের কাছে এই সতর্কবার্তা পৌঁছানো যাবে, সেটাও ভেবে রাখা হয়েছে। সচিব বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে মোবাইল অনেকটা এগিয়ে রেখেছে। মাইকিং করা যেতে পারে। সেখানে যদি একটা স্টেশন বসানো হয়, তা হলে তারা বলতে পারবে এখানে বজ্রপাত এই সময়ের মধ্যে হতে পারে।’
গোটা বাংলাদেশকে বজ্রপাতের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে ‘তিন শতাধিক স্টেশন স্থাপন করতে হয়’ বলে জানালেন সচিব।
আর তালগাছ রোপণ কাজকে চলমান রাখতে চায় সরকার। তারা বলছে, এটি দীর্ঘমেয়াদি এবং ফলপ্রসূ।
কারণটাও ব্যাখ্যা করলেন সচিব। বলেন, ‘যেকোনো ধরনের উঁচু গাছ বজ্রপাতের হাত থেকে রক্ষা করে। যখন বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে, তখন উঁচু গাছ সেটা নিউট্রালাইজ করতে পারে। সেজন্য আমরা তালগাছ রোপণের একটি প্রকল্প নিয়েছি। তাই যেকোনো টিআর আর কাবিখা প্রকল্পে বলি, তালগাছ রোপণের ব্যবস্থা করতে। ৫০ লাখ বলি, ৫৫ লাখ বলি-এটা শুরু হয়ে গেছে। প্রতিবছর রোপণ করা হচ্ছে। কিন্তু এটির সুফল পেতে অনেক দিন সময় লাগবে।’
সরকারের এই ভাবনাগুলো কোন পর্যায়ে আছে জানতে চাওয়া হলে সচিব বলেন, ‘প্রকল্পগুলো এখনও প্রণয়ন পর্যায়ে আছে। একটি প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে, শুধু হাওর অঞ্চলের জন্য।’
তিনি বলেন, ‘আলাদা করে অ্যারেস্টার বসানোর জন্য একটি প্রকল্প নিতে চাই। আধা ঘণ্টা আগে পূর্বাভাস জানতে আমরা একটি প্রকল্প নিতে চাই। তালগাছের কাজ তো চলছে। ছাউনির জন্য আমরা আলাদা প্রকল্পের কথাও চিন্তা করছি, আবার প্রতিবছর কাবিখার ক্ষেত্রে কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করি, সেখানেও ওই প্রকল্পে নেয়া যায় কি না… এটার সুবিধা হলো এর জন্য পরিকল্পনা কমিশনে যেতে হবে না। আমাদের এখান থেকে আমরা করতে পারব।’
মেহেরপুরের মুজিবনগরে বজ্রপাতে মৃত কৃষকের পরিবারের আহাজারি
প্রস্তুতি নিতেই বছর দেড়েক সময় চলে গেল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী অর্থবছরে আমরা আশা করি এগুলোর বাস্তবায়ন পর্যায়ে যেতে পারব।’
কোন প্রকল্পটিকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘প্রকল্পগুলোকে আমরা পাশাপাশি নিতে চাই। তাহলে বুঝতে পারব, কোনটাতে সুফল আমরা বেশি পাচ্ছি। আমরা অ্যারেস্টারে বেশি পাচ্ছি, নাকি আগাম সতর্কবার্তায় বেশি পাচ্ছি, নাকি ছাউনিতে বেশি পাচ্ছি।’
তবে বিল্ডিং কোড চূড়ান্ত হওয়ায় বজ্রপাতে ঝুঁকি অনেকাংশে কমে আসবে বলে মনে করেন সরকারের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘বিল্ডিং কোডে বলা আছে, একটা ঘর করতে গেলে তার ওপরে বজ্রপাত নিরোধক মানসম্মত দণ্ড দিতে হবে। অনেকে বলেন দণ্ড আছে। কিন্তু সেটা মানসম্মত হয় না।’
প্রতিটি ভবনে বজ্রপাত নিরোধক দণ্ড স্থাপন করা হচ্ছে কি না সেটা তদারকি করার ওপর জোর দেন মো. মোহসীন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এর ফলে বজ্রপাতের ৭০ শতাংশ সংকট কেটে যাবে।’
- চাকরি দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে
- বঙ্গবন্ধু ‘জুলিও কুরি’ পদক নীতিমালা মন্ত্রিসভায় উঠছে
- বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তিনজন নিহত
- সাগরে মাছ ধরা ৬৫ দিন বন্ধ
- ২৫ মে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজের উদ্ভোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- মেট্রোরেলে ভ্যাট এনবিআরের ভুল সিদ্ধান্ত
- বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে আগ্রহী কানাডা
- সরকার ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে কাজ করছে: পরিবেশমন্ত্রী
- এমপিও শিক্ষকদের জন্য আসছে আচরণবিধি
- উত্তরা থেকে টঙ্গী মেট্রোরেলে হবে নতুন ৫ স্টেশন
- কেএনএফ মানে বম নই
- লামায় ছাত্রলীগের প্রতিবাদ সমাবেশ
- বান্দরবানে যৌথ অভিযানে তিন কেএনএফ সদস্য নিহত
- আজ জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- স্বাধীনতাবিরোধীদের পদচিহ্নও থাকবে না: রাষ্ট্রপতি
- ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা দূর ৫০০ একর খাসজমি বরাদ্দ
- এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি সুবিধা উঠে যাচ্ছে
- অস্বস্তি কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মোড়
- তথ্য দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে ৩ জন মুখপাত্র নিয়োগ দেওয়া হয়েছে
- বাংলাদেশে নতুন জলবায়ু স্মার্ট প্রাণিসম্পদ প্রকল্প চালু যুক্তরাষ্ট্রের
- বদলে যাবে হাওরের কৃষি
- মূল্যস্ফীতি হ্রাসে ব্যাংক থেকে ঋণ কমাতে চায় সরকার
- ডিসেম্বরে ঘুরবে ট্রেনের চাকা
- আশা জাগাচ্ছে বায়ুবিদ্যুৎ
- ড্রামভর্তি অস্ত্র-বোমার সরঞ্জাম উদ্ধার
- র্যাবের হাতে আটক কেএনএফ এর ২ সদস্য কারাগারে
- জনগণ ও বাস্তবতা বিবেচনায় পরিকল্পনা প্রণয়ন করুন
- ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে: শেখ হাসিনা
- সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক শেখ হাসিনা :কাদের
- আম নিতে চায় রাশিয়া-চীন
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বান্দরবানে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত ৩ জন
- অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে- জেলা প্রশাসক
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলে কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হবে - বান্দরবান জেলা প্রশাসক
- নাথান বম এখন কোথায়, কেএনএফের শক্তির উৎস কী
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরছেন
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- বান্দরবান সদরে আব্দুল কুদ্দুছ আলীকদমে জামাল উদ্দীন চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- শূন্য পদ ৪২ টি! চিকিৎসা সংকটে থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
- আর্তমানবতার সেবায় রেডক্রিসেন্ট সর্বদাই নিয়োজিত - বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি
- বান্দরবানে জিপিএ-৫, ১০০ জন,এগিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজ
- বান্দরবানে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ