কাল শান্তি চুক্তির বর্ষপুর্তি পাহাড়ে২২বছরেও ফিরেনি কাঙ্খিত শান্তি
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২ ডিসেম্বর ২০১৯
পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২২তম বর্ষপূর্তি কাল সোমবার । পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যাকে জাতীয় ও রাজনৈতিক হিসেবে চিহ্নিত করে এর স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষে ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে তৎকালীন জাতীয় কমিটির আহবায়ক ও জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসীদের পক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু) চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এর মধ্য দিয়ে অবসান ঘটে পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘ দুই দশক ধরে চলা সশস্ত্র ও রক্তক্ষয়ী সংঘাতের। অস্ত্র সংবরণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন পাহাড়ে আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলনরত জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র গেরিলারা। আর এতে সবাই আশ^ান্বিত হয়েছিল পাহাড়ে ফিরবে শান্তির বাতাবরণ।
কিন্তু পার্বত্য চট্রগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের ২২ বছর অতিক্রান্ত হলেও পাহাড়ে এখনো শান্তি আসেনি। পাহাড়ে বিবদমান ৪টি গ্রুপের ভ্রাত্বঘাতি সংঘাত কখনো পাহাড়ী বাঙালী দাঙ্গায় প্রতিনিয়ত সবুজ পাহাড় রক্তে লাল হচ্ছে। চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে চলছে চুক্তি স্বাক্ষরকারী সংগঠন আওয়ামীলীগ এবং জনসংহতি সমিতির মধ্যে পরস্পরবিরোধী অবস্থান। চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ার জন্য চুক্তি পক্ষ জনসংহতি সমিতি সরকারকে দোষারোপ করলেও সরকারীদল বলছে চুক্তি পক্ষের অসহযোগিতার জন্য চুক্তি বাস্তবায়ন ধীরগতিতে এগুচ্ছে।
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর আ’লীগ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে সবার ধারণা ছিল পাহাড়ে অবসান ঘটবে দীর্ঘ দুই দশকের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংঘাতের। কিন্তু সে আশাকে হতাশায় ফেলে শান্তি চুক্তির গত ২২ বছরে তিন পার্বত্য জেলায় উভয়ের মধ্যেকার সংঘর্ষে হতাহত হয়েছে বহু পাহাড়ী-বাঙ্গালী চুক্তির বিরোধীতা করে একে আপোষ চুক্তি আখ্যা দিয়ে পূর্ণ স্বায়ত্বশাসন প্রতিষ্ঠার নামে জন্ম নেয় ইউপিডিএফ এবং বাঙ্গালীদের অধিকার আদায়ের নামে জন্ম নেয় পার্বত্য চট্রগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলন ও বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ।
পার্বত্য চট্টগ্রামে হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও প্রতিপক্ষের ওপর হামলার ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। কখনো পাহাড়ী, কখনো বা বাঙালি অধিবাসীর তরতাজা প্রাণ ক্ষয়ে যাচ্ছে।
বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি, ইউপিডিএফ, জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) এবং গনতান্ত্রিক ইউপিডিএফ ২ ভাগে বিভক্ত হয়ে আধিপত্যে বিস্তারের লড়াইয়ে প্রাণহানি ঘটছে।
একসময় চারটি সংগঠনের মধ্যে অর্ন্তকলহ লেগে থাকলেও এক পর্যায়ে অস্তি¡ত্ব রক্ষায় মুল জেএসএস, ইউপিডিএফ একপ্লাট ফর্মে চলে আসে এরপর আবার দুই সংস্কার জেএসএস ও ইউপিডিএফ ঐক্যবদ্ধ হয়ে আলাদা প্লাট ফর্মে মুল জেএসএস ও ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।
শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের জেএসএস ভেঙ্গে ইউপিডিএফ হয়, আবার ২০০৮ সালে জরুরী অবস্থার সময় সন্ত লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস ভেঙ্গে জেএসএস সংস্কার নামে আরেকটি সংগঠনের জন্ম হয়, যার নেতৃত্বে ছিলেন তাতিন্দ্র লাল চাকমা পেলে ও সুধা সিন্ধু খীসা। এসময় চলতে থাকে ত্রিমুখী সংঘাত, ২০১৫ সন থেকে জেএসএস এবং ইউপিডিএফের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে ২০১৭ সন পর্যন্ত বন্ধ ছিল ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত। ২০১৭ সনের নভেম্বর মাসে আবার ইউপিডিএফ ভেঙ্গে নতুন ইউপিডিএফ সংস্কার নামে আরেকটি সংগঠন হয়। ইউপিডিএফ সংস্কার হওয়ার পর আবারো পাহাড়ে শুরু হয় রক্তের নির্মম হোলি খেলা। ইউপিডিএফ সংস্কার শুরুতে মুল ইউপিডিএফের গুরুত্বপুর্ণ নেতাদের হত্যাসহ জেএসএস নেতা কর্মীদের হত্যা শুরু করে।
নানিয়াচর উপজেলা উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেএসএস সংস্কারের সহ সভাপতি এডভোকেট শক্তিমান চাকমাকে ২০১৮ সনের ৩ মে দুবৃর্ত্তরা হত্যা করে, নিহত এডভোকেট শক্তিমান চাকমার দাহক্রিয়ায় যোগ দিতে ৪ মে খাগড়াছড়ি থেকে নানিয়াচর যাওয়ার পথে ইউপিডিএফ সংস্কারের প্রধান তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মাসহ ৬জন নিহত হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামে ইতিপুর্বে আঞ্চলিক দলগুলোর রেশারেশি এবং গুলিতে কেউ মারা গেলে মামলা হতো না, তবে ২০১৪ সনের সংসদ নির্বাচনে রাঙামাটি আওয়ামীলীগ সন্ত্রাস চাঁদাবাজি ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার আন্দোলন শুরু করলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিবার মামলা করা শুরু করেছে।
তারই ধারাবাহিকতায় নানিয়াচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা ও ইউপিডিএফ সংস্কারের প্রধান তপন জ্যোতি চাকমা বর্মা নিহত হওয়ার ঘটনায় দুটি পৃথক মামলায় ইউপিডিএফের প্রধান প্রসীত খীসা থেকে শুরু করে বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ের নেতা কর্মী, ইউপিডিএফ সমর্থিত জনপ্রতিনিধি এবং মুল জেএসএসের সন্তু লারমা এবং উষাতন তালুকদারকে বাদ দিয়ে বাকি কেন্দ্রীয় ও জেলা ও উপজেলা নেতাদের আসামী করা হয়েছে।
মামলার পর আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অভিযানের মুখে অধিকাংশ নেতা কর্মী পালিয়েছেন, ঘর বাড়ি ছাড়া। এছাড়া জেএসএসের মুল চাঁদা কালেক্
- ড্রামভর্তি অস্ত্র-বোমার সরঞ্জাম উদ্ধার
- র্যাবের হাতে আটক কেএনএফ এর ২ সদস্য কারাগারে
- জনগণ ও বাস্তবতা বিবেচনায় পরিকল্পনা প্রণয়ন করুন
- ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে: শেখ হাসিনা
- সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক শেখ হাসিনা :কাদের
- আম নিতে চায় রাশিয়া-চীন
- মূল্যস্ফীতি হ্রাসই লক্ষ্য
- সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হলেই সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার: নির্বাচন কমিশনার
- স্মার্ট দেশ গড়ার মাধ্যমে এসডিজির অভীষ্ট অর্জন
- যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
- কর আদায়ে বহুতল ভবন নির্মাণে আগ্রহী এনবিআর
- সবাই নিশ্চিত থাকেন ভোট সুষ্ঠু হবে- নাইক্ষ্যংছড়িতে বান্দরবান পুলিশ সুপার
- কেএনএফ এর জন্য নতুন নারী সদস্য রিক্রুট করতো র্যাবের হাতে আটক আকিম বম
- কেএনএফ এর নারী শাখার অন্যতম সমন্বয়ক আটক
- থানচি উপজেলার দুর্গম থুইসা পাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড
- শূন্য পদ ৪২ টি! চিকিৎসা সংকটে থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
- নাইক্ষ্যংছড়ি ৮টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ সরঞ্জাম উদ্ধার
- জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নিহত ১
- কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনার ওপর জোর প্রধানমন্ত্রীর
- নারীবান্ধব শিক্ষানীতির কারণে মেয়েরা এগিয়ে: প্রধানমন্ত্রী
- সেমিকন্ডাক্টর খাতে ১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের সম্ভাবনা
- রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না
- বিপিসির এলপি গ্যাস বটলিং প্ল্যান্ট আধুনিকায়ন, জুনে চালু
- প্রত্যাশা নতুন অধ্যায়ের
- ২-৩ বছরের মধ্যে মহাকাশে যাবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট
- রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ১১০ বিলিয়ন ডলার
- একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ
- একক গ্রাহকের ঋণসীমা অতিক্রম না করতে নির্দেশ ব্যাংকগুলোকে
- দেশি শিং মাছের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচনে সফলতা
- বান্দরবানে ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বান্দরবানে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত ৩ জন
- অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে- জেলা প্রশাসক
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলে কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হবে - বান্দরবান জেলা প্রশাসক
- নাথান বম এখন কোথায়, কেএনএফের শক্তির উৎস কী
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরছেন
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- বান্দরবান সদরে আব্দুল কুদ্দুছ আলীকদমে জামাল উদ্দীন চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- শূন্য পদ ৪২ টি! চিকিৎসা সংকটে থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
- আর্তমানবতার সেবায় রেডক্রিসেন্ট সর্বদাই নিয়োজিত - বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি
- বান্দরবানে জিপিএ-৫, ১০০ জন,এগিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজ
- বান্দরবানে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ