বিনিয়োগ বাড়বে:বাজেটে রাজস্ব নীতিতে বড় পরিবর্তন আসছে
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৭ জুন ২০২০
- বেসরকারী খাত চাঙ্গা করতে থাকছে কর ছাড়ের নানা পদক্ষেপ
- কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আরও বাড়ছে বাড়তে পারে করমুক্ত আয়ের সীমা
কাওসার রহমান ॥ করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিধ্বস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্বনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও বেসরকারী খাত চাঙ্গা করতে থাকছে কর ছাড়ের নানা পদক্ষেপ, যাতে দেশে বেসরকারী বিনিয়োগ উৎসাহিত হয় এবং সৃষ্টি হয় কর্মসংস্থান। পাশাপাশি সরকারের বিশাল রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যও অর্জন হয়।
কর ছাড়ের সবচেয়ে বড় উপাদান হচ্ছে কর্পোরেট করহার কমানো। কোম্পানির উদ্বৃত্ত অর্থ বিনিয়োগে আনার জন্য আগামী বাজেটে কর্পোরেট করহার খাত ভিত্তিতে সর্বোচ্চ সাড়ে সাত শতাংশ পর্যন্ত কমানো হতে পারে। সেই সঙ্গে অপ্রদর্শিত অর্থ অর্থনীতির মূল ধারায় নিয়ে আসার জন্য কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আরও বাড়ানো হচ্ছে। বেশ কয়েক বছর পর আবার জরিমানা ছাড়াই উৎপাদনশীল শিল্প ও আবাসন খাতে কালো টাকা (অপ্রদর্শিত অর্থ) বিনিয়োগের সুযোগ দিতে যাচ্ছে সরকার।
মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতেই মন্দা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় আগামী অন্তত এক বছর বিশ্ব বাণিজ্য থেকে খুব একটা সুফল পাওয়া যাবে না। এই অবস্থায় অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিকে নিজস্ব আঙ্গিকেই চাঙ্গা রাখতে হবে। এজন্য অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বৃদ্ধি দরকার। আর সে জন্যই বৈধভাবে অর্জিত অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দিতে চায় সরকার। ২ থেকে ৫ বছর এই অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ থাকতে পারে আগামী বাজেটে। এক্ষেত্রে এই অর্থ বিনিয়োগের জন্য অর্থের উৎস নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থা কোন প্রশ্ন করবে না। এতে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ হলে করোনার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। অর্থ পাচার কমবে। বাড়বে মানুষের কর্মসংস্থান।
যে কেউ অপ্রদর্শিত আয়ের ঘোষণা দিয়ে যে কোন অঙ্কের অর্থ বৈধ করতে পারবেন। ‘ভলান্টারি ডিসক্লোজার অব ইনকাম’ নামে পরিচিত এই নিয়মটি ২০১২-১৩ অর্থবছরে প্রবর্তন করা হয়। বর্তমানে এ সুযোগ নিতে হলে প্রযোজ্য করহার ও তার সঙ্গে ১০ শতাংশ জরিমানা দিতে হয়। আসছে বাজেটে এই জরিমানা তুলে দেয়ার প্রস্তাব আসতে পারে। ফলে জরিমানা ছাড়াই শুধু ১০ শতাংশ হারে কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের প্রস্তাব থাকতে পারে নতুন বাজেটে।
এদিকে কোম্পানির মুনাফার অর্থ পুনরায় বিনিয়োগের লক্ষ্য সর্বোচ্চ সাড়ে ৭ শতাংশ পর্যন্ত কর্পোরেট কর কমানো হতে পারে প্রস্তাবিত বাজেটে। বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সরকারী দুই প্রতিষ্ঠান -বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) আগেই কর্পোরেট কর কমানোর দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে সে দাবির প্রতিফলন দেখা যায়নি। এর মধ্যে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সাধারণ ছুটিতে ব্যাপক ক্ষতিতে পড়েছে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো। তাই এ ক্ষতি কিছুটা কাটিয়ে উঠতে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে কর্পোরেট ট্যাক্স কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার বিষয়ে সম্প্রতি অর্থ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী। বৈঠকে অর্থমন্ত্রী কর্পোরেট কর সর্বোচ্চ সাড়ে ৭ শতাংশ কমানো যায় কিনা তা এনবিআরের চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চান। পরবর্তীতে অর্থমন্ত্রী বর্তমান হারের চেয়ে কর্পোরেট ট্যাক্স সর্বোচ্চ সাড়ে ৭ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর প্রস্তাব প্রস্তুত করতে বলেন।
অন্যদিকে প্রণোদনা প্যাকেজ ব্যাংকনির্ভর হওয়ায় এবার ব্যাংকের কর্পোরেট ট্যাক্স কমানোর বিষয় ইতিবাচকভাবে দেখা হচ্ছে। তবে এ নিয়েও দ্বিধায় রয়েছেন এনবিআরের উর্ধতন কর্মকর্তারা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংকের কর্পোরেট ট্যাক্স আড়াই শতাংশ কমানো হয়। এ বছরও অন্যান্য খাতের সঙ্গে ব্যাংকের কর্পোরেট কর আনুপাতিক হারে কমানো হতে পারে।
বর্তমানে ৭ স্তরে কর্পোরেট কর আদায় হয়। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির ক্ষেত্রে পৃথক হার রয়েছে। তালিকাভুক্ত কোম্পানি ২৫ শতাংশ, তালিকাবহির্ভূত কোম্পানি ৩৫ শতাংশ, তালিকাভুক্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, তালিকাবহির্ভূত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ৪০ শতাংশ, মার্চেন্ট ব্যাংক ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, সিগারেট কোম্পানি ৪৫ শতাংশ, মোবাইল অপারেটরে যথাক্রমে ৪০ ও ৪৫ শতাংশ কর্পোরেট কর বিদ্যমান।
অন্যবারের চেয়ে এবারের বাজেট প্রণয়নের প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ আলাদা। করোনাভাইরাসের প্রভাবে সমগ্র বিশ্ব অর্থনীতি লন্ডভন্ড। যার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। রফতানি আয়ে মন্দা, অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায় বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে। এরই মধ্যে উচ্চ প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে চাইছেন অর্থমন্ত্রী। যে কারণে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এ বিশাল লক্ষ্য অর্জন বর্তমান প্রেক্ষাপটে এনবিআরের জন্য চ্যালেঞ্জিং।
অন্যদিকে বেসরকারী খাতকে চাঙ্গা করতে বিনিয়োগবান্ধব রাজস্বনীতি প্রণয়ন করতে হবে। তা না হলে শুধু মনিটরিং ও রাজস্বনীতি প্রণয়ন করেও রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য পূরণ করা যাবে না। এ অবস্থায় উভয়সঙ্কটে আছে এনবিআর। বিনিয়োগ বাড়াতে এনবিআর কর ছাড় দেবে, নাকি রাজস্ব আদায় বাড়াতে কঠোর নীতি প্রণয়ন করবে; তা নিয়ে দ্বিধায় রয়েছে খোদ এনবিআরই।
এ ব্যাপারে অবশ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্মকর্তাদের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। গণভবনে তিনি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সভায় ব্যবসায়ী সংগঠনের দেয়া কর সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সে আলোকে রাজস্বনীতি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে শুল্ক ও ভ্যাট খাতের খুব বেশি পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা নেই। শিল্পের উৎপাদনে গতি আনতে কাঁচামালের শুল্ক হার বাড়ানো হবে না, চলতি অর্থবছরের মতোই থাকবে। ওষুধ শিল্পে ব্যবহৃত মধ্যবর্তী পণ্য ও মেডিক্যাল যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক কমানো হতে পারে। তবে বিলাসবহুল আইটেম যেমন গাড়ি, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রীর ওপর শুল্ক বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে রাজস্ব বাড়ানোর স্বার্থে।
অন্যদিকে, নতুন ভ্যাট আইন ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে কার্যকর হওয়ায় মাঠপর্যায়ে কিছু অসঙ্গতি দেখা দেয়। অর্থমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়ে দফায় দফায় সংশোধন করা হলেও বড় পরিসরে বাজেটে সেসব অসঙ্গতি দূর করা হবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, করোনা প্রভাবে সরকার লকডাউন ঘোষণা করলেও আইনী বাধ্যবাধকতার কারণে ভ্যাট রিটার্ন জমার সময়সীমা পেছানো যায়নি। এ কারণে বেকায়দায় পড়েন ব্যবসায়ীরা। আর স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিস করতে হয়।
সবশেষে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে বিলম্বে রিটার্ন জমার জরিমানা ও সুদ মওকুফের প্রক্রিয়া চালু করা হয়। এছাড়াও ভ্যাটের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সিগারেট, মোবাইল খাতের কাঠামো পুনর্বিন্যাসের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
আবার, আয়কর খাতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করছে এনবিআর। এর মধ্যে রয়েছে ব্যক্তিশ্রেণীর করমুক্ত আয়সীমা বৃদ্ধি, কর্পোরেট কর হ্রাস, কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ বৃদ্ধি। গত ৫ বছর যাবত করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখ টাকার মধ্যে রয়েছে। এ কারণে ব্যবসায়ীসহ সব মহল মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিয়ে এই সীমা বাড়ানোর জোর দাবি জানিয়ে আসছে। যদিও করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হলে ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতার বড় একটি অংশ কর জালের বাইরে চলে যাবে, তাই এনবিআর এটির বিপক্ষে।
তা সত্ত্বেও ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণীর করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ফলে টানা ৫ বছর পর করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ছে। মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় এ সীমা বাড়াতে পেশাজীবী, ব্যবসায়ী সংগঠনসহ সব মহল থেকে দাবি জানানো হয়েছিল। করোনাকালীন ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতাদের কষ্ট লাঘবে এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতও করমুক্ত আয়সীমা দ্বিগুণ বাড়িয়ে ৫ লাখ রুপী করেছে। যদিও এনবিআর করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর পক্ষে ছিল না। কারণ করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো হলে করদাতাদের বড় একটি অংশ কর জালের বাইরে চলে যাবে। এতে আদায়ও কমবে। বর্তমানে ব্যক্তিশ্রেণীর করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ টাকা রয়েছে। এটি বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করা হবে।
গত আট অর্থবছরের বাজেট বিশ্লেষণে দেখা যায়, সর্বশেষ ২০১৫-১৬ অর্থবছরে করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো হয়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে করমুক্ত আয়ের সীমা ছিল দুই লাখ ২০ হাজার টাকা। এটিকে বাড়িয়ে তখন আড়াই লাখ টাকা করা হয়। এর আগে ২০১২-১৩ অর্থবছরে ২ লাখ টাকা ও ২০১৩-১৪ তে ছিল ২ লাখ ২০ হাজার টাকা। অবশ্য ২০১৫-১৬ পর প্রতি অর্থবছর গড়ে ৫ শতাংশের বেশি মূল্যস্ফীতি থাকলেও শুধু এনবিআরের অনাগ্রহের কারণে এ আয়সীমা বাড়ানো হয়নি।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এ হার ছিল ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ছিল ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। বছর শেষে সার্বিক মূল্যস্ফীতির গড় দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশে। চলতি অর্থবছর মে মাস পর্যন্ত সময়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবছরে ব্যক্তিশ্রেণীর করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখ টাকা। এর বেশি বার্ষিক আয় থাকলে এলাকাভেদে ন্যূনতম ৩-৫ হাজার টাকা আয়কর দেয়ার বিধান আছে। মহিলা ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের ৩ লাখ টাকা, প্রতিবন্ধী করদাতারা ৪ লাখ টাকা ও গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতারা ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত। বর্তমানে এলাকাভেদে নূূূূূ্যূনতম করহারে পার্থক্য আছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের জন্য ন্যূনতম কর ৫ হাজার টাকা, অন্য সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪ হাজার টাকা এবং জেলা শহরের করদাতাদের ৩ হাজার টাকা কর দিতে হয়।
অন্যদিকে আয় অনুযায়ী কর নির্ধারিত আছে। আড়াই লাখ টাকার পরবর্তী ৪ লাখ টাকার জন্য ১০ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখের জন্য ১৫ শতাংশ, পরবর্তী ৬ লাখের জন্য ২০ শতাংশ, পরবর্তী ৩০ লাখের জন্য ২৫ শতাংশ এবং অবশিষ্ট আয়ের ওপর ৩০ শতাংশ হারে কর নির্ধারিত আছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় ব্যাপক হারে বেড়েছে। কিন্তু সেই হারে দেশের করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো হয়নি। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত এক লাফে করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়িয়ে দ্বিগুণ করেছে। মূলত করছাড় দিয়ে নাগরিকদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে অর্থনীতি চাঙ্গা করতেই করমুক্ত আয়সীমা এক লাফে দ্বিগুণ করেছে ভারত। আমাদেরও মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করমুক্ত সীমা বাড়ানো উচিত।
কারণ, আদায়কৃত মোট আয়করের ৫৭-৬০ শতাংশ উৎসে কর হিসেবে আদায় করা হয়। বাকি বৃহৎ অংশ অগ্রিম কর ও প্রাতিষ্ঠানিক করদাতাদের কাছ থেকে আদায় হয়। ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতাদের কাছ থেকে যে পরিমাণ কর আদায় করা হয়, তা একেবারেই সামান্য। শুধু প্রান্তিক করদাতার সংখ্যা বাড়িয়ে কাক্সিক্ষত আয়কর আদায় সম্ভব নয়। কারণ, ছোট করদাতারা চাইলেও কর ফাঁকি দিতে পারে না। এর পরিবর্তে বড় ব্যবসায়ীদের মনিটরিংয়ের মাধ্যমে আরও বেশি কর আদায় সম্ভব।
- সবাই নিশ্চিত থাকেন ভোট সুষ্ঠু হবে- নাইক্ষ্যংছড়িতে বান্দরবান পুলিশ সুপার
- কেএনএফ এর জন্য নতুন নারী সদস্য রিক্রুট করতো র্যাবের হাতে আটক আকিম বম
- কেএনএফ এর নারী শাখার অন্যতম সমন্বয়ক আটক
- থানচি উপজেলার দুর্গম থুইসা পাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড
- শূন্য পদ ৪২ টি! চিকিৎসা সংকটে থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
- নাইক্ষ্যংছড়ি ৮টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ সরঞ্জাম উদ্ধার
- জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নিহত ১
- কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনার ওপর জোর প্রধানমন্ত্রীর
- নারীবান্ধব শিক্ষানীতির কারণে মেয়েরা এগিয়ে: প্রধানমন্ত্রী
- সেমিকন্ডাক্টর খাতে ১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের সম্ভাবনা
- রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না
- বিপিসির এলপি গ্যাস বটলিং প্ল্যান্ট আধুনিকায়ন, জুনে চালু
- প্রত্যাশা নতুন অধ্যায়ের
- ২-৩ বছরের মধ্যে মহাকাশে যাবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট
- রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ১১০ বিলিয়ন ডলার
- একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ
- একক গ্রাহকের ঋণসীমা অতিক্রম না করতে নির্দেশ ব্যাংকগুলোকে
- দেশি শিং মাছের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচনে সফলতা
- বান্দরবানে ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- বান্দরবানে মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কার্যক্রম উদ্বোধন
- সম্পর্ক পুনর্গঠনের বার্তা যুক্তরাষ্ট্রের
- ভারতের নির্বাচনের পর ভিসা সহজ করা নিয়ে আলোচনা
- আনন্দের ঢেউ কর্ণফুলীতে
- বদলাচ্ছে ধর্ষণের সংজ্ঞা প্রস্তাবে যুক্ত তৃতীয় লিঙ্গ
- অসহনীয় মামলা জটে বিচার বিভাগ ন্যুব্জ: প্রধান বিচারপতি
- সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে উপকারভোগী বাড়ছে
- ১৫ শতাংশ কর দিলে কালোটাকা সাদা
- ঋণ পাবেন না খেলাপিরা
- প্লাস্টিক বর্জ্যে সড়ক
- হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আসছে ভারতের পেঁয়াজ
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বান্দরবানে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত ৩ জন
- অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে- জেলা প্রশাসক
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলে কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হবে - বান্দরবান জেলা প্রশাসক
- নাথান বম এখন কোথায়, কেএনএফের শক্তির উৎস কী
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরছেন
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- বান্দরবান সদরে আব্দুল কুদ্দুছ আলীকদমে জামাল উদ্দীন চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- আর্তমানবতার সেবায় রেডক্রিসেন্ট সর্বদাই নিয়োজিত - বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি
- শূন্য পদ ৪২ টি! চিকিৎসা সংকটে থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
- বান্দরবানে জিপিএ-৫, ১০০ জন,এগিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজ
- বান্দরবানে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ