প্রত্যেককে স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিয়ম মানতে হবে:শেখ হাসিনার আহ্বান
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৮ জুন ২০২০
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের প্রতিটি অর্জন রক্তের বিনিময়ে পেতে হয়েছে। শহীদের রক্ত কখনো বৃথা যেতে পারে না। আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে আমাদের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করা হয়েছিল। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকারে আসে। এরপর আমরা যে উদ্যোগ নিয়েছিলাম তাতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল। আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছিলাম। কিন্তু করোনা ভাইরাস এসে সবার জীবনযাত্রা স্থবির করে দিয়েছে।
এটা শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বব্যাপী সমস্যা। আশা করিÑ দেশের প্রতিটি মানুষ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ম মেনে চলবেন। ইনশাআল্লাহ, এখান থেকে আমরা মুক্তি পাব।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় অনলাইনে আলোচনাসভায় সভাপতির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। এ ছাড়াও ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এবং শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ১৯৬৬ সালের ৭ জুন ৬-দফা আন্দোলনের জন্য যে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল, সে কর্মসূচি সফল করতে গিয়ে সে সময় পাকিস্তানি শাসকদের হাতে শ্রমিকনেতা মনু মিয়া, আবুল হোসেন, শফিক সামছুলসহ যারা জীবন দিয়েছিলেন, আমি তাদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।
৬-দফা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য এই দাবি উত্থাপন করেছিলেন। এর একটা পটভূমি আছে। ১৯৬৫ সালের পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ হয়। সেই যুদ্ধের সময় দেখা গেল আমার পূর্ববঙ্গ অর্থাৎ তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ সম্পূর্ণ অরক্ষিত। এই প্রদেশকে রক্ষা করার কোনো ব্যবস্থা তখন পাকিস্তানি শাসকরা নেয়নি- যেন ভারতের দয়ার ওপর আমরা পড়ে ছিলাম।
শেখ হাসিনা বলেন, এই যুদ্ধের পর একটি গোলটেবিল বৈঠক ডাকা হয় লাহোরে। সর্বদলীয় বিরোধী দল এই বৈঠক ডাকে। সেখানে জাতির পিতা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সেখানে যান। সেখানে তিনি এই ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন। যে দাবির মূল বক্তব্য ছিল- প্রদেশ হিসেবে এই দেশের মানুষকে সুরক্ষিত করা ও অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী করা। সেই সাথে বাঙালির অস্তিত্বের যে দাবি তা তোলা হয়Ñ তা তুলে ধরার সময় অনেকে বাধা দেন। দুঃখের বিষয় হলো- বাংলাদেশের অন্য দলের দু-এক নেতাও বাধা দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় ফিরেও বঙ্গবন্ধু সংক্ষিপ্ত পরিসরে এ দাবি তুলে ধরেন। আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে ৬-দফা গ্রহণ করা হয়। আওয়ামী লীগ কাউন্সিল অধিবেশনেও এই ৬-দফা গ্রহণ করে। ৬-দফা দেওয়ার পর বঙ্গবন্ধু সারাদেশে এটা প্রচার করার উদ্যোগ নেন। মাত্র ৩৫ দিনের মধ্যে ৩২ মিটিং তিনি (বঙ্গবন্ধু) করেছিলেন সারাদেশে। কিন্তু এর মধ্যে তিনি যখন যেখানেই যেতেন, সেখানেই তাকে গ্রেপ্তার করা হতো। এভাবে আটবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জে জনসভা করে ঢাকায় ফিসে আসেন। সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর আর জামিন দেওয়া হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু বঙ্গবন্ধুই নয়, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর প্রতিবাদে তখন আন্দোলন শুরু হয়। ১৩ মে প্রতিবাদ সভা হয়। এরপর ১৬, ১৭, ১৮ প্রতিদিনই প্রতিবাদ চলতে থাকে। ৬-দফা দাবিটা জনগণ লুফে নিয়েছিল। এটা তারা নিয়েছিল বাঁচার অধিকার হিসেবে এবং মূলত তাই-ই ছিল। এ দেশের মানুষ ৬-দফাকে শুধু দ্রুত সমর্থনই করেনি, স্বায়ত্তশাসনের দাবিকে তারা নিজেদের দাবি হিসেবে নিয়েছিল। ৬-দফা বাংলার মানুষের মুক্তির দাবি হিসেবে সবার সামনে উদ্ভাসিত হয়েছিল।
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তান সরকার বসে ছিল না। নানাভাবে নির্বাচন ও চক্রান্ত করতে থাকে। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বপ্রাপ্তদের একের পর এক গ্রেপ্তার করতে থাকে। কিছু দালাল ছাড়া সাধারণ মানুষ আরও বেশি সচেতন, সুসংগঠিত হতে থাকে। ১৯৬৮ সালের ১৮ জানুয়ারি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ঢাকা কুর্মিটোলা ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করে নিয়ে যাওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে দেওয়া হয় আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা। মামলাটি রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিব। মামলার মূল অভিযোগ ছিল যে, আসামিরা সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে পূর্ব পাকিস্তানকে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দেওয়া হয়।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, এই মামলার বিরুদ্ধে বাংলার মানুষ আবারও প্রতিবাদে ফেটে পড়ল। সেই সময় গণ-অভ্যুত্থান হলো, ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রাম করল। সংগ্রামের ফলে আইয়ুব খান একপর্যায়ে বাধ্য হলেন এই মামলা প্রত্যাহার করতে। ১৯৬৯ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আইয়ুব খান আগরতলা মামলা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হন। ২২ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দেওয়া হয়। এই ৬-দফার ভিত্তিতেই সত্তরের নির্বাচন। যে নির্বাচনে সমগ্র পাকিস্তানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। কাজেই ৬-দফা ও ৭ জুন আমাদের স্বাধীনতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ সময় তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের আর্থসামাজিক ও প্রশাসনিক এবং সামগ্রিক বৈষম্য ও বঞ্চনার চিত্র তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৭ জুনের আন্দোলনের ভূমিকার জন্য প্রধানমন্ত্রী তার মা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের কথাও স্মরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি অর্জন রক্তের বিনিময়ে পেতে হয়েছে। শহীদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না, বৃথা যেতে পারে না; যায়ওনি। আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে আমাদের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করা হয়েছিল। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকারে আসে। এরপর আমরা যে উদ্যোগ নিয়েছিলাম তাতে দেশ এগিয়ে যাচ্ছিল। আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছিলাম। কিন্তু করোনা ভাইরাস এসে আজকে সবার জীবনযাত্রা স্থবির করে দিয়েছে। আশা করি- আমাদের দেশের প্রতিটি মানুষ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ম চলবেন। ইনশাআল্লাহ এখান থেকে আমরা মুক্তি পাব। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব।
- সবাই নিশ্চিত থাকেন ভোট সুষ্ঠু হবে- নাইক্ষ্যংছড়িতে বান্দরবান পুলিশ সুপার
- কেএনএফ এর জন্য নতুন নারী সদস্য রিক্রুট করতো র্যাবের হাতে আটক আকিম বম
- কেএনএফ এর নারী শাখার অন্যতম সমন্বয়ক আটক
- থানচি উপজেলার দুর্গম থুইসা পাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড
- শূন্য পদ ৪২ টি! চিকিৎসা সংকটে থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
- নাইক্ষ্যংছড়ি ৮টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ সরঞ্জাম উদ্ধার
- জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নিহত ১
- কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনার ওপর জোর প্রধানমন্ত্রীর
- নারীবান্ধব শিক্ষানীতির কারণে মেয়েরা এগিয়ে: প্রধানমন্ত্রী
- সেমিকন্ডাক্টর খাতে ১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের সম্ভাবনা
- রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না
- বিপিসির এলপি গ্যাস বটলিং প্ল্যান্ট আধুনিকায়ন, জুনে চালু
- প্রত্যাশা নতুন অধ্যায়ের
- ২-৩ বছরের মধ্যে মহাকাশে যাবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট
- রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ১১০ বিলিয়ন ডলার
- একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ
- একক গ্রাহকের ঋণসীমা অতিক্রম না করতে নির্দেশ ব্যাংকগুলোকে
- দেশি শিং মাছের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচনে সফলতা
- বান্দরবানে ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- বান্দরবানে মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কার্যক্রম উদ্বোধন
- সম্পর্ক পুনর্গঠনের বার্তা যুক্তরাষ্ট্রের
- ভারতের নির্বাচনের পর ভিসা সহজ করা নিয়ে আলোচনা
- আনন্দের ঢেউ কর্ণফুলীতে
- বদলাচ্ছে ধর্ষণের সংজ্ঞা প্রস্তাবে যুক্ত তৃতীয় লিঙ্গ
- অসহনীয় মামলা জটে বিচার বিভাগ ন্যুব্জ: প্রধান বিচারপতি
- সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে উপকারভোগী বাড়ছে
- ১৫ শতাংশ কর দিলে কালোটাকা সাদা
- ঋণ পাবেন না খেলাপিরা
- প্লাস্টিক বর্জ্যে সড়ক
- হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আসছে ভারতের পেঁয়াজ
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বান্দরবানে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত ৩ জন
- অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে- জেলা প্রশাসক
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলে কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হবে - বান্দরবান জেলা প্রশাসক
- নাথান বম এখন কোথায়, কেএনএফের শক্তির উৎস কী
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরছেন
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- বান্দরবান সদরে আব্দুল কুদ্দুছ আলীকদমে জামাল উদ্দীন চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- আর্তমানবতার সেবায় রেডক্রিসেন্ট সর্বদাই নিয়োজিত - বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি
- শূন্য পদ ৪২ টি! চিকিৎসা সংকটে থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
- বান্দরবানে জিপিএ-৫, ১০০ জন,এগিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজ
- বান্দরবানে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ