রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||
জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১
|| ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২১
চাঞ্চল্যকর থ্রি মার্ডার ঘটনায় বান্দরবানের লামায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত প্রবাসীর স্ত্রী মা লালমতি বেগম বাদী হয়ে শনিবার লামা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। লামা থানা মামলা নং- ০৮, ধারা- ৩০২/৩৪। তারিখ ২২ মে ২০২১ইং। এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ শনিবার বিকেলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। তবে কুয়েত প্রবাসী নুর মোহাম্মদ এখনো পর্যন্ত দেশে না পৌছায় দাফন করা হয়নি লাশ। ফ্রিজিং গাড়ীতেই লাশগুলো সংরক্ষণ রাখা হয়েছে। অপরদিকে হত্যার ঘটনায় প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার-শনিবার ৬ জন’কে আটক করেছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আটককৃতরা হলেন- নিহত মাজেদা বেগমের দেবর মোঃ শাহ আলম (৪৩) ও মোঃ আবদুল খালেক (৪০), নিহতের বড় বোন রাহেলা বেগম (৪০), তার স্বামী মোঃ আবদুর রশিদ (৪৮), হাফেজ সায়েদুর রহমান (১৮) ও স্থানীয় যুবক মো. রবিউল হোসেন (২১)। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটক ব্যক্তিদের রাতে নয়টার দিকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। কুয়েত প্রবাসী নুর মোহাম্মদ এর মেয়ে রাবেয়া ইয়াছমিন বলেন, আমার ছোট মা মাজেদা বেগমকে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে, ছোট বোন নুরে জান্নাত রিদা’কে গলা টিপে এবং মেজো বোন সুমাইয়া ইয়াছমিন রাফিকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের সবার শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। মেয়ে রাবেয়া ইয়াছমিন আরও জানান, নগদ অর্থ এবং স্বর্ণালংকার লুটের জন্য এই খুনের ঘটনা সংঘটিত হতে পারে। গত বৃহস্পতিবার আমার মা লামা শাখার তার ব্যাংক একাউন্ট থেকে ২ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেছিল। আমার ধারনা খুনিরা হয়ত পরিচিত হবে। না হলে তারা অনায়াসে ঘরে কিভাবে ডুকবে ? জোর করে ডুকলে ঘরের লোকজন চিৎকার দিলে আশেপাশে মানুষ এগিয়ে আসত। তাছাড়া এমনও হতে পারে, খুনিরা হয়ত আগে থেকে ঘরে ডুকে ওতপেতে ছিল। বান্দরবান র্যাব-১৫ এর কোম্পানী কমান্ডার এএসপি নিত্যান্দ দাস জানান, আমরা যাদের সন্দেহ করেছিলাম, ইতোমধ্যে তাদের ৬ জন’কে আটক করে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়েও দেয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটিত হবে। পুলিশের লামা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. রিজওয়ানুল ইসলাম জানান, প্রবাসীর ঘরের তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে মা এবং দুই কন্যার লাশ খাটে ও মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেছি। লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের লাশ পাঠানো হয়েছিল বান্দরবান সদর হাসপাতালে। সেখানে ময়না তদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা হিসাবে লামা থানা পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আলমগীর জানান, ঘরের আলমিরা, ওয়ারড্রপ খুলে স্বর্ণালংকার লুটপাটের আলামত পাওয়া গেছে। ব্যাংক থেকে উত্তোলন করা ২ লাখ টাকাও বাসায় পাওয়া যায়নি। পুলিশ সুপার জেরিন আখতার শনিবার ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছে। প্রস্গত: শুক্রবার দিবাগত রাত ৮টা ১৫ মিনিটে লামা পৌরসভার চাম্পাতলী গ্রামে কুয়েত প্রবাসী নুর মোহাম্মদের বসতঘর থেকে তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়