লামা রাবার বাগান সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ২নং সাব কমিটির সভা

বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ৩০৩নং ডলুজড়ি মৌজার ম্রো ও ত্রিপুরা সম্প্রদায় এবং লামা রাবার বাগান সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২নং সাব কমিটির ১ম বৈঠক (রুদ্ধদ্বার) অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২৭শে এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভিন তিবরিজী এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-৬ আসনের সাংসদ  এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, এমপি, রাঙ্গামাটির সাংসদ দীপঙ্কর তালুকদার এমপি, ৩০৯নং সংরক্ষিত আসনের মহিলা সাংসদ বাসন্তী চাকমা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা মারমা, জেলা পুলিশ সুপার মোঃ তারিকুল ইসলাম, পিপিএম, কমিটির সভাপতির একান্ত সচিব ডঃ মোঃ আনোয়ার হোসেন, সিনিয়র সহকারী সচিব এবিএম বিল্লাল হোসেন, বাংলাদেশ রাবার বাগান মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ হারুনুর রশিদ এবং রাবার বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দা সরোয়ার জাহান। এছাড়াও সভায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
 
উল্লেখ্য, বর্ণিত বৈঠকে লামা উপজেলাধীন সরই ইউনিয়নের ভুক্তভোগীদের মধ্যে ম্রো সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসেবে কেউ আসেনি।

তবে রাংলাই ম্রো (সভাপতি, ম্রো সোশ্যাল কাউন্সিল), থামলাই ম্রো (সহ-সভাপতি, ম্রো সোশ্যাল কাউন্সিল) এবং ম্রো সম্প্রদায়ের মধ্যে কয়েকজন ব্যক্তিবর্গ প্রশাসনের আমন্ত্রণে  বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে, ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসেবে জয়চন্দ্র ত্রিপুরা পাড়া হতে জয়চন্দ্র ত্রিপুরা কারবারি, বশুরাম ত্রিপুরা, দুর্যোধন ত্রিপুরা, হেডম‍্যান ৩০১ সরই মৌজা ও ভারপ্রাপ্ত হেডম‍্যান ৩০৩ ডলুঝিরি মৌজা এবং লামা রাবার বাগান হতে প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন (চেয়ারম্যান, লামা রাবার বাগান), মোঃ জহিরুল ইসলাম (ম্যানেজিং ডাইরেক্টর, লামা রাবার বাগান), মোঃ কামাল উদ্দিন (প্রকল্প পরিচালক, লামা রাবার বাগান), মোঃ নুরুল আবসার (চেয়ারম্যান, এক্সিম এগ্রো গ্রুপ, লামা ও সভাপতি বাংলাদেশ রাবার অ্যাসোসিয়েশন) সভায় উপস্থিত ছিলেন।

ম্রো সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি অনুপস্থিতির কারণে কোন প্রকার সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা শেষ হয়েছে বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য যে, ইতিপূর্বে মাননীয় মন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বর্ণিত তিনটি পাড়ার (ম্রো ও ত্রিপুরা) প্রতিটি পরিবারকে ৫ একর করে জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু ত্রিপুরা সম্প্রদায় মেনে নিলেও ম্রো সম্প্রদায় রাবার ইন্ডাস্ট্রিজের অধীনে দখলকৃত ৪০০ একর জমি দাবি করে আসছে।
বর্ণিত বৈঠকে রাংলাই ম্রো ও থামলাই ম্রোকে পূর্বের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ম্রো সম্প্রদায় কর্তৃক দাবিকৃত ৪০০ একর জমির সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে পূর্বের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৫ একর জমি নেওয়ার জন্য বোঝানোর দায়িত্ব প্রদান করা করা হয়।