শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||
শ্রাবণ ১২ ১৪৩১
|| ১৯ মুহররম ১৪৪৬
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০২৩
বান্দরবানের রুমা উপজেলার মুয়ালপি পাড়ায় কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর পরিত্যক্ত ঘাঁটি থেকে এক কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সদস্যের লাশ উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। গত মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) পাহাড়ি দুটি সশস্ত্র গ্রুপের {(কেএনএফ এবং ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক )} সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে উক্ত কেএনএফ সদস্য নিহত হয়।
স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, মঙ্গলবার ভোর ৫টায় মুয়ালপি পাড়ায় অবস্থিত কেএনএফ ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক), এতে দু'পক্ষের মধ্যে তুমুল গোলাগুলি চলে, সংঘর্ষ প্রায় ভোর ৫টা হতে দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত চলে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে। তারা আরও জানায়- "এসময় গোলাগুলির বিকট শব্দে স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতঙ্ক ও উকন্ঠা তৈরি হয়েছিল ।
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে কেএনএফ পিছু হটে এবং তাদের ক্যাম্প পরিত্যক্ত রেখে পালিয়ে যায়"। সে সময় হতাহতের খবর পাওয়া গেলেও তাৎক্ষণিক লাশের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে, এ ঘটনার পরের দিন স্থানীয়রা জুমের কাজে গেলে সেখানে একটি কবর দেখতে পায়, পরে তারা রুমা থানা পুলিশকে খবর দিলে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে আজ পুলিশ কবর খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে, ময়না তদন্তের জন্য লাশ বান্দরবান সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। উল্লেখ্য, আগামীকাল ময়না তদন্ত শেষে লাশটি সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
ধারণা করা হচ্ছে, নিহত সদস্যের লাশটি মাটি চাঁপা দিয়ে কেএনএফ সদস্যরা পালিয়ে যায়। নিহত কেএনএফ সদস্যের নাম- বয়রাম সাং বম। সে রোয়াংছড়ি উপজেলার পাইনক্ষ্যং পাড়ার বাসিন্দা। সংঘর্ষস্থলে এখন নিরাপত্তা বাহিনী তথা সেনাবাহিনী অবস্থান করছে।
উল্লেখ্য, এদিকে প্রায় ৮-১০ দিন পূর্বে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের ভয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে এসে রুমা সদরে আশ্রয় নেয়া মুয়ালপি পাড়ার মারমা জনগোষ্ঠীর ৫১টি পরিবারের ২৩৬ জন স্বস্তি নিয়ে তাদের গ্রামে ফিরতে শুরু করেছে। বর্ণিত সময়ে, আশ্রিতদের নিরাপত্তা ও চিকিৎসাসহ সব ধরণের সহযোগিতা দিয়ে আসছিল রুমা সেনা জোন।
উল্লেখ্য, মুয়ালপি পাড়ায় বসবাসকারী স্থানীয় মারমা সম্প্রদায়ের জনসাধারণ এখন নিজেদেরকে অনেকটা নিরাপদ ভাবতে শুরু করছে, তারা জানায়- "গ্রাম ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে পেরেছি শুধু বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তথা রুমা সেনা জোনের সার্বিক সহযোগিতা ছিলো বলে এবং এখনও গ্রামে ফিরে নিরাপদ বোধ করছি কারন সেনা জোনের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ও সহযোগিতা আমাদের মনে সাহস যুগিয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাহাড়ে না থাকলে কখনোই আমরা আমাদের পাড়ায় আর ফিরতে পারতাম না"।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়