বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||
বৈশাখ ১৮ ১৪৩১
|| ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০২০
পাথরে বাঁধানো পদ্মা নদীর পাড়। গতি আসছে পদ্মা সেতুর পিছিয়ে থাকা নদী শাসন প্রকল্পে। এর মধ্যে শেষ করা হয়েছে ৭৭ ভাগ কাজ। জাজিরা প্রান্তে সেতুর সব শেষ পিলারটির দুই পাশে প্রায় নয় কিলোমিটার এলাকা বেঁধে ফেলা হয়েছে ১৬৫ কেজি ওজনের বড় বড় পাথরের ব্লক দিয়ে। নদীর দুই পাড়ে মোট ১৪ কিলোমিটারজুড়ে চলছে এ কাজ।
প্রকল্প কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মূল সেতুর কাজের মেয়াদ বাড়ানো হলে একই সঙ্গে বাড়বে এ প্রকল্পের মেয়াদও। প্রত্যাশা, বর্ধিত মেয়াদের মধ্যে শেষ করা যাবে জটিল এ কাজ। এ কাজের শুরুতে নদীর তলদেশে ২৫ মিটার গভীর পর্যন্ত কেটে ফেলা হয়। এরপর সে অংশে পাঁচটি স্তরে ফেলা হচ্ছে ৮০০ কেজির বালির বস্তা। দুই পাশে পাড় থেকে তিন স্তরে ফেলা হচ্ছে আরও ১২৫ কেজির বস্তা। এরপর এক মিটার উচ্চতায় পানির নিম্নস্তর পর্যন্ত ফেলা হচ্ছে বড় বড় পাথরের ব্লক। সেখান থেকে আলাদা করে সুন্দর একটি ডিজাইন করে বাধাই করে ফেলা হচ্ছে পাড়ের চূড়া পর্যন্ত। ২০১৫ সালে শুরু হওয়া কাজটির এর মধ্যে তিন দফা মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ২০২১ সালের জুন মাসের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সেটি সম্ভব হবে না। তবে মূল সেতু শেষ হওয়ার সময়ে নদী শাসনের কাজও শেষ করার ব্যাপারে আশাবাদী প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম। বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে নদী ভরে যায়, তাই নদী শাসনের কাজ করা যায় না। কিন্তু ওই সময়ে সেতুর কাজ স্বাভাবিক গতিতেই চলে, খুব বেশি কমে না। তাই আমরা একটু পেছনে আছি।’ কিন্তু সেতুর কাছাকাছি সময়েই কাজ শেষ করার ব্যাপারে আশাবাদী প্রকল্প পরিচালক। এদিকে বড় বড় দুটি ড্রেজার মেশিন দিয়ে চলছে নদী শাসনের কাজ। এখন পর্যন্ত নদীতে ১৮০ কেজির ২৩ লাখ বালির বস্তা আর ১২৫ কেজির ৮৮ লাখ বালির বস্তা ফেলা হয়েছে। সেতুর কাজ পুরো শেষ হওয়ার অনেক বছর পরও চালিয়ে যেতে হবে জটিল এই নদী শাসনের কাজ। তাই সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ যারা করবেন তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা গেলে যে লক্ষ্য নিয়ে বড় বাজেটের এই কাজ করা হচ্ছে তার সুফল মিলবে বলেই আশাবাদ সংশ্লিষ্টদের।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়