ঘৃণ্য আইন ইনডেমনিটি
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৯ জুলাই ২০২২
পৃথিবীর সব রাষ্ট্রেরই লক্ষ্য সর্বোত্তমভাবে প্রত্যেক জনগণের ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করা। কোনো নাগরিকের আইনগত অধিকার লঙ্ঘিত হলে তিনি দেশের প্রচলিত আইনানুযায়ী প্রতিকার লাভের অধিকারী এবং এই অধিকার লঙ্ঘনের উপযুক্ত প্রতিকার পাওয়া তাঁর সাংবিধানিক অধিকার।
বাংলাদেশের সংবিধানে বলা আছে, সব নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকার, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হবে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭ অনুযায়ী সব নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং প্রত্যেক নাগরিক আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান ও আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। বিচারব্যবস্থায় সব নাগরিকের সমান প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা এবং সবার জন্য ন্যায়বিচার পাওয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর প্যারিসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র Universal Declaration of Human Rights (UDHR)-এর ঘোষণা প্রদান করা হয়। প্রত্যেক মানুষের মানবাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে এই সনদ ঘোষিত হয়। এই ঘোষণাপত্রে স্পষ্টভাবে বলা আছে যে সব মানুষ আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং কোনো বৈষম্য ব্যতিরেকে প্রত্যেকেই আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। বিচার প্রক্রিয়ায় প্রত্যেক মানুষ সমান এবং প্রত্যেকেই স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আদালতে ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকারী।
কিন্তু ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশের ইতিহাসে বিচারহীনতার এক করুণ ইতিহাস রচিত হয়। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল এই দিনে। বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের ১৮ জনকে হত্যা করা হয় সেই রাতে।
সেই সঙ্গে আরো লজ্জাজনক বিষয় হলো, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ইতিহাসের জঘন্যতম ও নৃশংস এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার পর সংসদে পাস করার সুযোগ না থাকায় বঙ্গবন্ধুর খুনিদের এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সব ব্যক্তির দায়মুক্তি দিতে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমদ ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন আইন প্রণয়নের কোনো নজির কোথাও নেই, যার দ্বারা এমন নৃশংস হত্যাকারীদের দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। মানবসভ্যতার ইতিহাসে মানবাধিকারের এমন চরম লঙ্ঘন কখনো কোথাও ঘটেনি। ওই সময় সেনাপ্রধান ছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাত্র ৯ দিনের মাথায় ১৯৭৫ সালের ২৪ আগস্ট সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন জিয়াউর রহমান। আর খন্দকার মোশতাক সরকার ছিল স্বঘোষিত এবং সম্পূর্ণভাবে সেনাসমর্থিত একটি সরকার।
বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কজনক এই আইনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিচারকাজ আদালতবহির্ভূত রাখার জন্য এই অধ্যাদেশ বা আইন জারি করা হয়। কোনো বিচারকাজ আদালতবহির্ভূত রাখার জন্য আইনসভা যে আইন পাস করে তাকেই ইনডেমনিটি আইন বলে। এটি ১৯৭৫ সালের অধ্যাদেশ নম্বর ৫০ নামে অভিহিত ছিল। পরবর্তী সময়ে ‘পঞ্চম সংশোধনী আইন ১৯৭৯’ সালে সংসদ কর্তৃক অনুমোদন করা হয়। যার ফলে এটি আনুষ্ঠানিক আইন হিসেবে অনুমোদন পায় এবং এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে এই বিচারহীনতা আর কলঙ্কের এক নতুন অন্ধকার অধ্যায়ের সূচনা ঘটে। ১৯৭৯ সালের ৯ জুলাই বাংলাদেশ সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর পর সংশোধিত আইনে এই আইনটি বাংলাদেশ সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৯ সালের ৯ জুলাই পর্যন্ত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশসহ চার বছরে সামরিক আইনের আওতায় সব অধ্যাদেশ ও ঘোষণাকে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে আইনি বৈধতা দেওয়া হয়। সংসদে উত্থাপিত আইনটির নাম ছিল সংবিধান (সংশোধনী) আইন, ১৯৭৯। এটি সংবিধানের চতুর্থ তফসিলের ১৮ অনুচ্ছেদে সংযুক্ত করা হয়েছিল।
পঞ্চম সংশোধনীকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে বৈধতা না দিলে সেই সময়ই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করা যেত।১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ১৯৭৬ সালের ১২ নভেম্বর প্রথম ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল বিল সর্বসম্মতিক্রমে সংসদে পাস হয়। আজকের এই দিন বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি কালো দিন, কারণ এই দিনেই মূলত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের সুরক্ষা প্রদান করা হয়।
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা একটি পবিত্র ও মহান দায়িত্ব। বিচারে বিলম্ব আর বিচার না পাওয়া একই কথা। আর আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বিচার বন্ধ করে হত্যাকারীদের দায়মুক্তি দেওয়া, এমন অপরাধ তো মানবসভ্যতার ইতিহাসে এক নজিরবিহীন ঘটনা।
লেখক : সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং সহযোগী পরিচালক, আইসিএলডিসি
- আর্তমানবতার সেবায় রেডক্রিসেন্ট সর্বদাই নিয়োজিত - বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি
- কোনো শক্তি আমাকে জনগণ থেকে দূরে সরাতে পারবে না
- রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে আনার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে আনার নির্দেশ প্রধানমন্ত্র
- প্রধানমন্ত্রীকে মোদির আমন্ত্রণপত্র দিলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
- ড. ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন আণবিক গবেষণার পথিকৃৎ
- তিস্তার প্রকল্পে অর্থায়নে আগ্রহী ভারত
- কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের সদস্য হচ্ছে বাংলাদেশ
- বছর শেষে আসছে রূপপুরের বিদ্যুৎ
- রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ৩০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
- যমুনায় দৃশ্যমান হলো বঙ্গবন্ধু রেল সেতু
- শাস্তির বিধান রেখে হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইন
- বাণিজ্যে অবদান রাখায় সিআইপি কার্ড পেলেন ১৮৪ ব্যবসায়ী
- স্থাবর সম্পত্তি অর্জনে অনুমতি লাগবে বিদেশি সংস্থার
- ড. ওয়াজেদ কর্মের জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন : প্রেসিডেন্ট
- মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়বে : প্রধানমন্ত্রী
- মুসলিম দেশগুলোর ঐক্য ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা কমাতে পারে: প্রধানমন্ত্রী
- জাতিসংঘের দুর্নীতি প্রতিরোধী সংস্থার সদস্য হলো বাংলাদেশ
- সড়কে গাড়ির গতি বেঁধে দিল সরকার
- হজযাত্রীদের নিয়ে ঢাকা ছাড়ল প্রথম ফ্লাইট
- ৬০ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে : শফিকুর রহমান
- ডোনাল্ড লু’র সফরে রোহিঙ্গা সংকটকে গুরুত্ব দেওয়া হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি
- সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র কিনেছে ৭ কোম্পানি
- বঙ্গোপসাগরে বিনিয়োগ ঝুঁকিমুক্ত
- পর্যটক-শূন্যতায় রুমা ও থানচির হোটেল রিসোর্ট
- পাহাড়ে অর্ধশত ইটভাটা
- বন্ধুর বাইকে এসে ভোট দিলেন দিল্লী কুমার
- আলীকদম উপজেলায় বিজয়ী হলেন যারা
- বান্দরবানে অপহরণের দায়ে ১৪ বছরের কারাদণ্ড
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বান্দরবানে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত ৩ জন
- অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে- জেলা প্রশাসক
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলে কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হবে - বান্দরবান জেলা প্রশাসক
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরছেন
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- বান্দরবান সদরে আব্দুল কুদ্দুছ আলীকদমে জামাল উদ্দীন চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- বান্দরবানে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ
- ড. ওয়াজেদ কর্মের জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন : প্রেসিডেন্ট
- রুমায় সেনা অভিযানে দুই কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত
- বান্দরবান পৌর এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
- স্বামী সংসার স্বাভাবিক করতে সহযোগিতা চায় রুনা ত্রিপুরা