যমুনায় দৃশ্যমান হলো বঙ্গবন্ধু রেল সেতু
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১০ মে ২০২৪
বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রেন চলাচলের অবস্থা মোটেও ভালো নয়। দুর্ঘটনা ও যাত্রাবিলম্ব চলছে সমানতালে। এমন অবস্থায় যমুনা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু রেল সেতু দৃশ্যমান হয়েছে। এখন সেতুটির দুই পাশের অ্যাপ্রোচ লাইন ও স্টেশন সম্প্রসারণসহ আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি আছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে এর ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এর ফলে বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুতে ট্রেনের যাত্রাবিলম্বের দিন শেষ হতে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরালে নির্মাণ করা ডাবল লাইনের বঙ্গবন্ধু রেল সেতুটিতে সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলতে পারবে।
১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যমুনা নদীর বঙ্গবন্ধু সেতুতে রেলসংযোগ চালু করে সরকার। এর ফলে একই সেতুতে সড়কযান ও ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তবে সেতুর ধারণক্ষমতা কম হওয়ায় এর ওপর দিয়ে একটি ট্রেন পার হতে গেলে আরেকটিকে অপেক্ষা করতে হয় এবং ট্রেন চলতে হয় ধীরগতিতে। ফলে মাত্র ২০ কিলোমিটার গতিতে চলে ট্রেন। এবার পৃথক রেল সেতুর হওয়ায় এই সমস্যা আর থাকছে না।
বঙ্গবন্ধু রেল সেতু প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান আমাদের সময়কে বলেন, চলতি বছরের শেষ দিকে সেতু নির্মাণের কাজ পুরোপুারি শেষ হবে। ইতিমধ্যে সেতু দৃশ্যমান হয়ে গেছে। এপ্রিল পর্যন্ত প্রকল্পের অগ্রগতি ৮৪ ভাগ। ট্রেন চলাচল শুরু হলে যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে ওই অঞ্চলে।
জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাইকার ঋণ ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা। ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে। সেতু নির্মাণের জন্য স্টিল পাইপ শিট পাইলস (এসপিএসপি) ভিত্তির ওপর ৫০টি পিয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। নকশা অনুযায়ী সেতু নির্মাণের জন্য এসপিএসপি পাইল ব্যবহার করা হয়েছে অধিক উপযোগী ভিত্তি হিসেবে। মরিচারোধে ওয়েদারিং স্টিলের সুপারস্ট্রাকচার ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে নির্মাণ পরবর্তী সময়ে সেতুর মূল কাঠামোর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় খুব কম হবে। ‘ডাইরেক্ট রেল ফাস্টেনার’ স্থাপনের মাধ্যমে রেল সেতুর মূল কাঠামোর ডেড লোড কমিয়ে স্লিপার স্থাপন ছাড়াই সরাসরি রেল গার্ডারের সঙ্গে রেললাইনকে সংযুক্ত করা হচ্ছে। বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুতে স্থাপিত ব্রডগেজ এবং মিটারগেজের জন্য ৪টি রেলের পরিবর্তে নতুন সেতুটি তিনটি রেল স্থাপন করা হচ্ছে। গার্ড রেলের পরিবর্তে ডিরেলমেন্ট প্রিভেনশন গার্ড ব্যবহার করা হচ্ছে সেতুতে। এতে করে রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত কাজ সহজ হবে। অধিক যাত্রী ও মালবাহী ট্রেন পরিচালনার জন্য বহুল ব্যবহৃত হেড হারডেন্ড রেল ব্যবহৃত হচ্ছে এ সেতুতে। ফলে রেল হেড ক্ষয়জনিত রেললাইনের পরিবর্তন সহসাই প্রয়োজন হবে না।
প্রকল্পে প্যাকেজ ডব্লিউডি১-এর আওতায় পিয়ার নম্বর ২৪ থেকে ৫০ পর্যন্ত ২৭টি পিয়ারের মধ্যে ২৭টি এবং প্যাকেজ ডব্লিউডি২-এর আওতায় ১ থেকে ২৩ নম্বর পর্যন্ত ২৩টি পিয়ারের মধ্যে ২৩টির অর্থাৎ মোট ৫০টি পিয়ারের কাজ শেষ হয়ে গেছে। সেতুর উভয় পাশে ভায়াডাক্ট ও অ্যাবাটমেন্ট অংশের কাজও শেষ। বর্তমানে উভয় অংশে অ্যাপ্রোচ লাইনের অ্যাম্বাংকমেন্ট নির্মাণকাজ চলমান। ইতোমধ্যে স্টেশন ইয়ার্ড রিমডেলিং কাজের জন্য স্টেশনবিল্ডিং ও প্ল্যাটফরম বধিৃতকরণসহ ফুটওভারব্রিজ নির্মাণকাজ চলছে। এ জন্য বিদ্যমান রেললাইন পুনর্নির্মাণে চারটি লাইন ক্রমান্বয়ে সরিয়ে নতুন ৬টি রেললাইন স্থাপন করা হচ্ছে।
রেল সূত্র জানিয়েছে, বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর কাজ শেষ হলে সংশ্লিষ্ট ট্রেনগুলোর রানিং টাইম ন্যূনতম ৩৫ মিনিট কমবে। সেতুর ফলে রেলওয়ের পরিচালন ব্যয় কমবে এবং বাড়বে রেলওয়ের আয়। লাইন ক্যাপাসিটি বাড়ার ফলে ৩৮টি ট্রেনের পরিবর্তে ৮৮টি যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেন পরিচালনা করা সম্ভব। এ সেতুতে ব্রডগেজ ট্রেন ১২০ কিলোমিটার গতিতে এবং মিটারগেজ ট্রেন চলতে পারবে ১০০ কিলোমিটার গতিতে। এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সেকশনে দেশীয় ও আন্তঃদেশীয় কন্টেইনার পরিচালনার কার্যক্রম শুরু করা যাবে। তাতে বহুলাংশে বেড়ে যাবে রেলের আয়।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২০২০ সালের ৫ এপ্রিল ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি হয়। এরপর ২০২২ সালের ২ মে প্রকল্পের সিগন্যালিং ও টেলিকমিউনিকেশন ওয়ার্কের প্যাকেজের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয় রেলওয়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর প্রকল্পের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
- বান্দরবানে নিষিদ্ধ আফিমসহ নারী আটক
- থানচি অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে সহায়তা
- আলীকদমে মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত
- বান্দরবান পৌরসভার বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
- চাকরি দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে
- বঙ্গবন্ধু ‘জুলিও কুরি’ পদক নীতিমালা মন্ত্রিসভায় উঠছে
- বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তিনজন নিহত
- সাগরে মাছ ধরা ৬৫ দিন বন্ধ
- ২৫ মে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজের উদ্ভোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- মেট্রোরেলে ভ্যাট এনবিআরের ভুল সিদ্ধান্ত
- বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে আগ্রহী কানাডা
- সরকার ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে কাজ করছে: পরিবেশমন্ত্রী
- এমপিও শিক্ষকদের জন্য আসছে আচরণবিধি
- উত্তরা থেকে টঙ্গী মেট্রোরেলে হবে নতুন ৫ স্টেশন
- কেএনএফ মানে বম নই
- লামায় ছাত্রলীগের প্রতিবাদ সমাবেশ
- বান্দরবানে যৌথ অভিযানে তিন কেএনএফ সদস্য নিহত
- আজ জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- স্বাধীনতাবিরোধীদের পদচিহ্নও থাকবে না: রাষ্ট্রপতি
- ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা দূর ৫০০ একর খাসজমি বরাদ্দ
- এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি সুবিধা উঠে যাচ্ছে
- অস্বস্তি কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মোড়
- তথ্য দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে ৩ জন মুখপাত্র নিয়োগ দেওয়া হয়েছে
- বাংলাদেশে নতুন জলবায়ু স্মার্ট প্রাণিসম্পদ প্রকল্প চালু যুক্তরাষ্ট্রের
- বদলে যাবে হাওরের কৃষি
- মূল্যস্ফীতি হ্রাসে ব্যাংক থেকে ঋণ কমাতে চায় সরকার
- ডিসেম্বরে ঘুরবে ট্রেনের চাকা
- আশা জাগাচ্ছে বায়ুবিদ্যুৎ
- ড্রামভর্তি অস্ত্র-বোমার সরঞ্জাম উদ্ধার
- র্যাবের হাতে আটক কেএনএফ এর ২ সদস্য কারাগারে
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বান্দরবানে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত ৩ জন
- অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে- জেলা প্রশাসক
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- নাথান বম এখন কোথায়, কেএনএফের শক্তির উৎস কী
- ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলে কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হবে - বান্দরবান জেলা প্রশাসক
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরছেন
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- বান্দরবান সদরে আব্দুল কুদ্দুছ আলীকদমে জামাল উদ্দীন চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- শূন্য পদ ৪২ টি! চিকিৎসা সংকটে থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
- আর্তমানবতার সেবায় রেডক্রিসেন্ট সর্বদাই নিয়োজিত - বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি
- বান্দরবানে জিপিএ-৫, ১০০ জন,এগিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজ
- বান্দরবানে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ