নামাজ ও কোরআন পাঠে কেটেছিল বঙ্গবন্ধুর জেলজীবন
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০২২
ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রাম দিয়ে শুরুর পর বাংলাদেশের স্বাধীনতা আনা পর্যন্ত সারা জীবনের এক-চতুর্থাংশ সময় কারাগারেই কাটাতে হয়েছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ৫৪ বছরের জীবনে তিনি চার হাজার ৬৮২ দিন কারাগারে ছিলেন, যা তাঁর মোট জীবনের সিকিভাগ।
এর মধ্যে স্কুলের ছাত্র অবস্থায় ব্রিটিশ আমলে সাত দিন কারাভোগ করেছিলেন। বাকি চার হাজার ৬৭৫ দিন তাঁর জেলে কাটে পাকিস্তান আমলে। (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম : ০৩-০৭-২০১৭)
তাঁর বড় মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায়ই বলেন, কারাগারে থাকার কারণে তাঁর ছোট ভাই-বোনরা বাবার সংস্পর্শ খুব কমই পেয়েছিল।
ভাই শেখ কামালের একটি ঘটনা শেখ হাসিনা লিখেছেন (তাঁর ভাষায়), 'শেখ কামাল আব্বাকে কখনও দেখে নাই, চেনেও না। আমি যখন বারবার আব্বার কাছে ছুটে যাচ্ছি, আব্বা আব্বা বলে ডাকছি, ও শুধু অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখছে। ও হঠাৎ আমায় জিজ্ঞেস করল, হাসু আপা, তোমার আব্বাকে আমি একটু আব্বা বলে ডাকি। ' (শেখ হাসিনা, শেখ মুজিব আমার পিতা, আগামী প্রকাশনী, ঢাকা, বইমেলা-২০১৫, পৃষ্ঠা-৩০)
কিন্তু বঙ্গবন্ধুর জেলজীবন কিভাবে কাটত, এটা নিয়ে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিও লিখিত আছে ইতিহাসের পাতায়। বঙ্গবন্ধু ১৯৪৯ সালের জেলজীবন নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন এভাবে, 'মওলানা (ভাসানী) সাহেবের সঙ্গে আমরা তিনজনই নামাজ পড়তাম। মওলানা সাহেব মাগরিবের নামাজের পরে কোরআন মজিদের অর্থ করে আমাদের বোঝাতেন। রোজই এটা আমাদের বাঁধা নিয়ম ছিল। ' (অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পৃষ্ঠা ১৬৯)
কারাগারের সঙ্গে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের প্রথম পরিচয় ১৯৩৮ সালে, যখন তিনি গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলের ছাত্র, তাও আবার হত্যা মামলার আসামি হিসেবে।
শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক গোপালগঞ্জ সফরে আসবেন, সঙ্গে শ্রমমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তাঁদের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য একটি স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন করা হবে। দায়িত্ব পড়ল শেখ মুজিবের ওপর। তিনি তাঁর সমবয়সী হিন্দু, মুসলমান সবাইকে নিয়ে গঠন করলেন বেশ বড় একটি স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী। কদিন পরে দেখা গেল স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী থেকে হিন্দু স্বেচ্ছাসেবকরা কেটে পড়ছে। জানা গেল, তাদের কংগ্রেস থেকে নিষেধ করা হয়েছে, কারণ শেরেবাংলা ও সোহরাওয়ার্দী মুসলিম লীগ মন্ত্রিসভার মন্ত্রী, সুতরাং তাঁদের সংবর্ধনা দেওয়া যাবে না। এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয় এবং রমাপদ দত্ত নামের একজন ছুরিকাহত হন। শেখ মুজিব ও অন্য মুসলমান ছাত্রদের নামে হত্যা মামলা হয় এবং শেখ মুজিবসহ অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সেই মামলা থেকে শেখ মুজিব খালাস পান। বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থের শুরুতেই এই ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা আছে।
১৯৫০ সালে ফরিদপুর জেলার জেলখানার স্মৃতিচারণা করে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, ‘রাজনৈতিক বন্দিদের সাথে আমার দেখা হবার উপায় নেই। জেল বেশি বড় না হলেও তারা যেখানে থাকে সেখান থেকে দেখাশোনা হওয়ার উপায় নাই। আমি তখন নামাজ পড়তাম এবং কোরআন তেলাওয়াত করতাম রোজ। কোরআন শরীফের বাংলা তরজমাও কয়েক খণ্ড ছিল আমার কাছে। ঢাকা জেলে শামসুল হক সাহেবের কাছ থেকে নিয়ে মওলানা মোহাম্মদ আলীর ইংরেজি তরজমাও পড়েছি। ’ (অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পৃষ্ঠা-১৮০)
জেলজীবন সম্পর্কিত একটি ঘটনায় বঙ্গবন্ধুর মহান আল্লাহর ওপর অগাধ আস্থার বিষয়টি ফুটে উঠেছে। তিনি লিখেছেন, “রেণু আমাকে যখন একাকী পেল, বলল, ‘জেলে থাক আপত্তি নাই, তবে স্থাস্থ্যের দিকে নজর রেখ। তোমাকে দেখে আমার মন খুব খারাপ হয়ে গেছে। তোমার বোঝা উচিত আমার দুনিয়ায় কেউ নাই। ছোটবেলায় বাবা-মা মারা গেছেন, আমার কেউ নাই। তোমার কিছু হলে বাঁচব কি করে?’ কেঁদেই ফেলল। আমি রেণুকে বোঝাতে চেষ্টা করলাম, তাতে ফল হল উল্টা। আরও কাঁদতে শুরু করল, হাচু ও কামাল ওদের মা’র কাঁদা দেখে ছুটে যেয়ে গলা ধরে আদর করতে লাগল। আমি বললাম, ‘খোদা যা করে তাই হবে, চিন্তা করে লাভ কি?’ (অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পৃষ্ঠা ১৯১)। এভাবেই কোরআন পাঠ ও নামাজ আদায়ের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জেলজীবন কাটে।
- সবাই নিশ্চিত থাকেন ভোট সুষ্ঠু হবে- নাইক্ষ্যংছড়িতে বান্দরবান পুলিশ সুপার
- কেএনএফ এর জন্য নতুন নারী সদস্য রিক্রুট করতো র্যাবের হাতে আটক আকিম বম
- কেএনএফ এর নারী শাখার অন্যতম সমন্বয়ক আটক
- থানচি উপজেলার দুর্গম থুইসা পাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড
- শূন্য পদ ৪২ টি! চিকিৎসা সংকটে থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
- নাইক্ষ্যংছড়ি ৮টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ সরঞ্জাম উদ্ধার
- জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নিহত ১
- কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনার ওপর জোর প্রধানমন্ত্রীর
- নারীবান্ধব শিক্ষানীতির কারণে মেয়েরা এগিয়ে: প্রধানমন্ত্রী
- সেমিকন্ডাক্টর খাতে ১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের সম্ভাবনা
- রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না
- বিপিসির এলপি গ্যাস বটলিং প্ল্যান্ট আধুনিকায়ন, জুনে চালু
- প্রত্যাশা নতুন অধ্যায়ের
- ২-৩ বছরের মধ্যে মহাকাশে যাবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট
- রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ১১০ বিলিয়ন ডলার
- একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ
- একক গ্রাহকের ঋণসীমা অতিক্রম না করতে নির্দেশ ব্যাংকগুলোকে
- দেশি শিং মাছের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচনে সফলতা
- বান্দরবানে ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- বান্দরবানে মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কার্যক্রম উদ্বোধন
- সম্পর্ক পুনর্গঠনের বার্তা যুক্তরাষ্ট্রের
- ভারতের নির্বাচনের পর ভিসা সহজ করা নিয়ে আলোচনা
- আনন্দের ঢেউ কর্ণফুলীতে
- বদলাচ্ছে ধর্ষণের সংজ্ঞা প্রস্তাবে যুক্ত তৃতীয় লিঙ্গ
- অসহনীয় মামলা জটে বিচার বিভাগ ন্যুব্জ: প্রধান বিচারপতি
- সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে উপকারভোগী বাড়ছে
- ১৫ শতাংশ কর দিলে কালোটাকা সাদা
- ঋণ পাবেন না খেলাপিরা
- প্লাস্টিক বর্জ্যে সড়ক
- হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আসছে ভারতের পেঁয়াজ
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বান্দরবানে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত ৩ জন
- অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে- জেলা প্রশাসক
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলে কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হবে - বান্দরবান জেলা প্রশাসক
- নাথান বম এখন কোথায়, কেএনএফের শক্তির উৎস কী
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরছেন
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- বান্দরবান সদরে আব্দুল কুদ্দুছ আলীকদমে জামাল উদ্দীন চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- আর্তমানবতার সেবায় রেডক্রিসেন্ট সর্বদাই নিয়োজিত - বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি
- শূন্য পদ ৪২ টি! চিকিৎসা সংকটে থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
- বান্দরবানে জিপিএ-৫, ১০০ জন,এগিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজ
- বান্দরবানে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ