দুর্নীতি বন্ধে চালু হচ্ছে ডিজিটাল পদ্ধতি
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
ধান-চাল সংগ্রহ ও বিতরণে দুর্নীতি বন্ধে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করছে সরকার। এ জন্য মিল মালিকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা সিদ্ধ ও আতপ চালের বস্তায় দেওয়া হবে ডিজিটাল সিল। একইভাবে এখন থেকে ওএমএস, খাদ্যবান্ধব টিআর, কাবিখা, ভিজিডি, ভিজিএফ, জিআর, ইপি-ওপিসহ বিভিন্ন খাতে খাদ্য অধিদপ্তরের চালের বস্তার গায়ে দেওয়া হবে বিতরণকৃত স্টেনসিল মার্ক। আগামী বুধবার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণের মাধ্যমে দেশব্যাপী ডিজিটাল এ পদ্ধতি চালু করা হবে। আগামী আমন মৌসুম থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে শুরু হবে সংগ্রহ কার্যক্রম। সংশ্নিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, খাদ্য অধিদপ্তরের বিতরণ করা চালের বস্তায় অমোচনীয় লাল কালির এই স্টেনসিলই বলে দেবে ওই চাল কোন জেলা, উপজেলা, খাত, মাস, সন, এলএসডি ও সিএসডি বা কোন প্রতিষ্ঠানের। ফলে কোথাও চুরির চাল ধরা পড়লে ডিজিটাল সিল দেখেই বোঝা যাবে কারা এর সঙ্গে জড়িত। বর্তমানে বস্তার গায়ে 'শুধু খাদ্য অধিদপ্তরের জন্য তৈরি' লেখা থাকে। ফলে চুরির চাল কোন জেলা-উপজেলার বা কোন গুদামের, তা কেউ স্বীকার করে না। ধরা পড়ে না মূল অপরাধী। একই সঙ্গে মিল মালিকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা সিদ্ধ ও আতপ চালের বস্তায় দেওয়া হবে স্পষ্ট ডিজিটাল সিল। এ সিলে থাকবে মিলের নাম-ঠিকানা, সংগ্রহের মৌসুম, খাদ্যগুদাম, জেলার নাম ও উৎপাদনের সময়। তথ্যবহুল ও স্পষ্ট ডিজিটাল এই সিল দেখে সহজেই বোঝা যাবে, কোন বস্তার চাল কোন মিল মালিকের। ফলে কোনো মিল মালিক খারাপ বা পচা চাল সরকারের কাছে বিক্রি করলে পরবর্তী সময়ে সহজে তা চিহ্নিত করা যাবে। বর্তমানে চাল সংগ্রহের বস্তায় অস্পষ্ট ছোট একটি সিল দেওয়া হয় এবং অল্প দিনের মধ্যে মুছে যায়। তাই সরবরাহকৃত চাল খারাপ বা পচা হলে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারাও সঠিক অপরাধীকে শনাক্ত করতে পারেন না। মিল মালিকরাও স্বীকার করেন না।
এ বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সমকালকে বলেন, প্রায় সময়েই দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরকারি চাল চোর ধরা পড়ছে। করোনাকালের মহাদুর্যোগের সময়েও অনেক চাল চুরি হয়েছে। অনেক মিল মালিক গুদামে পচা চাল দিচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত অপরাধীদের ধরার কোনো উপায় ছিল না। চাল-ধান সংগ্রহ ও বিতরণে দুর্নীতি বন্ধ করতে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্য বিভাগের দুর্নীতি বন্ধে পর্যায়ক্রমে সব ক্ষেত্রেই ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করা হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অনুমোদন দিয়েছেন।
খাদ্য বিভাগের সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সরকারি চাল চুরিতে জড়িত অনেকে ধরা পড়ছে। এসব অপরাধের সঙ্গে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি, খাদ্য বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত। চুরির চালের বস্তা ধরা পড়লেও সংশ্নিষ্টরা নানা অজুহাতে বলেন, এটা তার গুদামের চাল নয় অথবা পাশের উপজেলা বা জেলার। নানা ধরনের ফাঁকফোকর দিয়ে আসল অপরাধীরা বেরিয়ে যায়। আবার অনেক চাল ব্যবসায়ী খাদ্যগুদামের বস্তায় চাল রাখায় বা সরকারি অনুদানের চাল সংশ্নিষ্টদের কাছ থেকে কেনার পর হয়রানির শিকার হন। কারণ, ব্যবসায়ীরা কোন ব্যক্তি বা খাতের চাল কিনেছেন তা বস্তা দেখে চিহ্নিত করার উপায় ছিল না। ফলে ভ্রাম্যমাণ আদালত চাল ব্যবসায়ীদের কাছে খাদ্যগুদামের চালের বস্তা পেলে চাল কেনার কাগজপত্র দেখতে চাইতেন। কোনো ব্যবসায়ী চাল কেনার পরও যথাযথ কাগজ দেখাতে না পারলে হয়রানির শিকার হতেন। এখন থেকে দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলা, সিএসডি-এলএসডির সুনির্দিষ্ট কোড নম্বর অমোচনীয় লাল কালিতে চালের বস্তার গায়ে লেখা থাকবে। বস্তা উৎপাদনের মাস, সন এবং খাতের নাম দেখে বোঝা যাবে, ব্যবসায়ীরা চালের বস্তা কোথায় পেয়েছেন।
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ সমকালকে বলেন, এলএসডি ও সিএসডি থেকে খাদ্যশস্য বিতরণকালে খাতভিত্তিক 'বিতরণকৃত' স্টেনসিল না দিলে সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শ্রমিক-ঠিকাদাররা অনেক সময় শ্রমিকদের অতিরিক্ত কাজের বিল পরিশোধ করেন না। এ জন্য সিল দিতে কোনো ধরনের ভুল হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এ খাতে মাস্টাররোলে শ্রমিক নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য অতিরিক্ত বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে স্টেনসিল মার্ক দেওয়ার জন্য মাস্টাররোলে শ্রমিক নিয়োগ করা হবে।
জানা গেছে, স্টেনসিল দেওয়ার কাজ শ্রম হস্তার্পণ ঠিকাদার দ্বারা নিয়োজিত শ্রমিকদের দ্বারা পূর্বনির্ধারিত কাজের অতিরিক্ত হিসেবে সংযুক্ত করে সম্পাদনের ব্যবস্থা করতে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের চিঠি দিয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর। শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ-সংক্রান্ত বিল সংশ্নিষ্ট বিষয় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা মনিটর করবেন। এ কাজে নিয়োজিত শ্রমিককে অবশ্যই অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে।
খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (চলাচল, সংরক্ষণ ও সাইলো) আব্দুল্লাহ আল মামুন সমকালকে বলেন, এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি চূড়ান্ত হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের বস্তার গায়ে ডিজিটাল স্টেনসিল দেওয়ার মাধ্যমে ডিজিটাল এ পদ্ধতি দেশব্যাপী শুরু হবে। এর পর আগামী আমন মৌসুমে মিল মালিকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা চালের বস্তায় দেওয়া হবে ডিজিটাল সিল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী সমকালকে বলেন, গত বছরের ডিসেম্বরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খাতভিত্তিক চালের বস্তায় বিতরণকৃত স্টেনসিলের পাইলটিং শুরু হয়। ছয় মাস পাইলটিং শেষে এখন পুরোদেশে শুরু হচ্ছে। ইতোমধ্যে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংগ্রহের পাইলটিংও সফলভাবে শেষ হয়েছে।
জানা গেছে, বিতরণ করা স্টেনসিলটি অবশ্যই কম্পিউটার কম্পোজ করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই অমোচনীয় রং ছাড়া অন্য রং ব্যবহার করা যাবে না। সিলটির হাতলওয়ালা কাঠের ফ্রেম (৮ দশমিক ২৫ ও ৪ দশমিক ২৫ ইঞ্চি) ও রাবার স্ট্যাম্প (৮ ও ৪ ইঞ্চি) দিয়ে তৈরি করতে হবে। আধা লিটার শতভাগ লাল রঙের সঙ্গে ২ লিটার ফ্লেক্সো থিনার মিশিয়ে লাল রঙের মিশ্রণ তৈরি করতে হবে এবং ট্রের মধ্যে রাখা ফোমে রঙের মিশ্রণ ঢেলে রাবারস্ট্যাম্পে ছাপ দিয়ে বিতরণকৃত খাদ্যশস্যের বস্তায় স্টেনসিল মার্ক দিতে হবে। আর সংগ্রহের ডিজিটাল স্টেনসিলের স্ট্ক্রিনপ্রিন্টের ভেতরের সীমানার মাপ হবে ১৬ ু ১৪ ইঞ্চি। মূল অক্ষর ও সংখ্যার আকার ১ দশমিক ২৫ থেকে ১ থেকে দশমিক ৫ ইঞ্চি হবে। স্ট্ক্রিনপ্রিন্টের ওপর রং ঢেলে দেওয়ার জন্য কাঠের সঙ্গে রাবার যুক্ত করে একটি কাঠের হ্যান্ডল তৈরি করতে হবে। বালতিতে ৫ লিটার পানি দিয়ে তার মধ্যে ৩০ গ্রাম বা দুই চা চামচ সবুজ রং মেশাতে হবে। এর পর ১৫০ মিলি সাদা গাম ঢেলে ৮ থেকে ১০ মিনিট ভালোভাবে নাড়তে হবে, যাতে সবুজ রঙের গাড় মিশ্রণ তৈরি হয়। এর পর বস্তার ওপর ডিজিটাল সিল দেওয়া যাবে
- ড্রামভর্তি অস্ত্র-বোমার সরঞ্জাম উদ্ধার
- র্যাবের হাতে আটক কেএনএফ এর ২ সদস্য কারাগারে
- জনগণ ও বাস্তবতা বিবেচনায় পরিকল্পনা প্রণয়ন করুন
- ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে: শেখ হাসিনা
- সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক শেখ হাসিনা :কাদের
- আম নিতে চায় রাশিয়া-চীন
- মূল্যস্ফীতি হ্রাসই লক্ষ্য
- সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হলেই সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার: নির্বাচন কমিশনার
- স্মার্ট দেশ গড়ার মাধ্যমে এসডিজির অভীষ্ট অর্জন
- যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
- কর আদায়ে বহুতল ভবন নির্মাণে আগ্রহী এনবিআর
- সবাই নিশ্চিত থাকেন ভোট সুষ্ঠু হবে- নাইক্ষ্যংছড়িতে বান্দরবান পুলিশ সুপার
- কেএনএফ এর জন্য নতুন নারী সদস্য রিক্রুট করতো র্যাবের হাতে আটক আকিম বম
- কেএনএফ এর নারী শাখার অন্যতম সমন্বয়ক আটক
- থানচি উপজেলার দুর্গম থুইসা পাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড
- শূন্য পদ ৪২ টি! চিকিৎসা সংকটে থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
- নাইক্ষ্যংছড়ি ৮টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ সরঞ্জাম উদ্ধার
- জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নিহত ১
- কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনার ওপর জোর প্রধানমন্ত্রীর
- নারীবান্ধব শিক্ষানীতির কারণে মেয়েরা এগিয়ে: প্রধানমন্ত্রী
- সেমিকন্ডাক্টর খাতে ১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের সম্ভাবনা
- রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না
- বিপিসির এলপি গ্যাস বটলিং প্ল্যান্ট আধুনিকায়ন, জুনে চালু
- প্রত্যাশা নতুন অধ্যায়ের
- ২-৩ বছরের মধ্যে মহাকাশে যাবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট
- রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ১১০ বিলিয়ন ডলার
- একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ
- একক গ্রাহকের ঋণসীমা অতিক্রম না করতে নির্দেশ ব্যাংকগুলোকে
- দেশি শিং মাছের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচনে সফলতা
- বান্দরবানে ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বান্দরবানে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত ৩ জন
- অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে- জেলা প্রশাসক
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলে কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হবে - বান্দরবান জেলা প্রশাসক
- নাথান বম এখন কোথায়, কেএনএফের শক্তির উৎস কী
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরছেন
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- বান্দরবান সদরে আব্দুল কুদ্দুছ আলীকদমে জামাল উদ্দীন চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- শূন্য পদ ৪২ টি! চিকিৎসা সংকটে থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
- আর্তমানবতার সেবায় রেডক্রিসেন্ট সর্বদাই নিয়োজিত - বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি
- বান্দরবানে জিপিএ-৫, ১০০ জন,এগিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজ
- বান্দরবানে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ