জনতার মাঝে জনতার নেত্রীঃ ১১ জুন ২০০৮ যেদিন মুক্তি পেয়েছিল অবরুদ্ধ গণতন্ত্র
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১২ জুন ২০২২
---
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা, যার হাতে হাত রেখে দুর্ভাগ্যের পথ পেছনে ফেলে এসেছে বাঙালি জাতি। তার হাত ধরেই 'তলাবিহীন ঝুড়ি'র বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে উন্নয়নের প্রতীক। কিন্তু এই পথ সহজ ছিল না। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর ছয় বছর নির্বাসিত জীবন। এরপর প্রাণ হারানোর আশঙ্কা উপেক্ষা করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে তার হাত ধরেই ফিরে আসে সংসদীয় গণতন্ত্র। ১৯৯৬ সালে, প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হয়েই দেশকে করে তোলেন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কিন্তু তারপরও বারবার তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। বন্দি করা হয়েছে নির্জন কারাগারে। কেন তাকে বারবার জনগণ থেকে দূরে সরানোর অপচেষ্টা করেছে কুচক্রীরা?
বিশেষ করে, ২০০৭ সালে, এক-এগারোর কুশীলবরা কীভাবে সবকিছু লণ্ডভণ্ড করে দিতে চেয়েছিল? জেনে নিন ইতিহাসের সেই সব অজানা ঘটনা।
মূলত, দুর্নীতি ও অপশাসনের ঘোরের মধ্যে শেষ হয়ে যায় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মেয়াদ। এরপর, খালেদা জিয়ার পরামর্শে, ২০০৬ সালের ২৯ অক্টোবর রাতে, সংবিধান লঙ্ঘন করে, নিজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন বিএনপি সমর্থিত রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ। ফলে সৃষ্টি হয় সাংবিধানিক সংকট।
এই উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে, ১১ জানুয়ারি ২০০৭, সরকারের ক্ষমতা দখলের উদ্যোগ নেয় সামরিক বাহিনীর কিছু সদস্য। ইয়াজউদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি রেখে, ফখরুদ্দীন আহমদকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা করেন তারা। এরপর দেশে জারি করা হয় জরুরি অবস্থা।
বেসামরিক ছদ্মবেশে এবং সামরিক শাসন শুরু হয় দেশে। এমনকি দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখার জন্য রাজনৈতিক দলগুলো ভাঙার চেষ্টা করা হয়। নির্বাসনে পাঠানোর ষড়যন্ত্র হয় সর্ববৃহৎ দল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে।
এর আগে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিএনপি-জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতায় গ্রেনেড হামলায় শিকার হয়ে মারাত্মক আহত হন তিনি। তাই দীর্ঘমেয়াদে চিকিৎসার চলছিল তার। ক্ষতিগ্রস্ত কান ও চোখের চিকিৎসার জন্য, ২০০৭ সালের ১৫ মার্চ, যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন নেত্রী। চিকিৎসা শেষে, ২৩ এপ্রিল দেশে ফেরার কথা ছিল তার।
কিন্তু, ২০০৭ সালের ১৮ এপ্রিল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেসনোটের মাধ্যমে শেখ হাসিনার দেশে ফেরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তাকে হুমকি দিয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য রাখেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা।
তবে বিতর্কিত সরকারের নিষেধাজ্ঞা ও হুমকি অগ্রাহ্য করে, দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন জননেত্রী। সামরিক সদস্য নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হুমকি ও রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে, ২০০৭ সালের ৭ মে, ফিরে আসেন তিনি। দেশে ফিরেই সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি তোলেন। তাই তার অকুতোভয় কণ্ঠকে দাবিয়ে রাখতে, ১৬ জুলাই, একটি সাজানো মামলায় গ্রেফতার করা হয় তাকে।
শ্রাবণের বৃষ্টিমুখর ভোরে সুধাসদনে প্রবেশ করে যৌথবাহিনী। এরপর সংসদ ভবন এলাকার এক নির্জন সাবজেলে বন্দি করা হয় বঙ্গবন্ধুকন্যাকে। শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের পর প্রতিদিনই আন্দোলন-সংগ্রাম-প্রতিবাদ চলতে থাকে। ২৩ জুন, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের সামনে তার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ হয়। সেই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।
এভাবেই নির্জন কারাগারে ৩৩১ দিন বন্দি করে রাখা হয় তাকে। কিন্তু একটুও বিচলিত হননি তিনি। বরং পিতার মতোই, জেলখানায় বসে ডায়েরিতে লিখে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গড়ার রূপকল্প তৈরি করেছেন।
অবশেষে জননেত্রীর জনপ্রিয়তা ও ব্যক্তিত্বের সামনে কুচক্রীদের সব রকমের ষড়যন্ত্র ও অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। ২০০৮ সালের ১১ জুন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কুশীলবরা মুক্তি দিতে বাধ্য হয় তাকে। এরপর দেশের মানুষের ভাগ্য বদলের জন্য 'দিন বদলের সনদ' ঘোষণা করেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা। জনদাবির মুখে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়।
বঙ্গবন্ধুকন্যার দূরদর্শিতা ও দুঃসাহসী নেতৃত্বের ওপর ভর করে, সেই নির্বাচনে ২৬৭ আসনে একচেটিয়া জয় লাভ করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের জোট। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ একাই পায় ২৩০টি আসন।
শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশ এখন উন্নত বিশ্বের তালিকায় নাম লেখানোর স্বপ্নময় পথ অতিক্রম করছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্নের গণ্ডি ছড়িয়ে বিশ্বের বিস্ময় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
- চাকরি দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে
- বঙ্গবন্ধু ‘জুলিও কুরি’ পদক নীতিমালা মন্ত্রিসভায় উঠছে
- বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তিনজন নিহত
- সাগরে মাছ ধরা ৬৫ দিন বন্ধ
- ২৫ মে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজের উদ্ভোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- মেট্রোরেলে ভ্যাট এনবিআরের ভুল সিদ্ধান্ত
- বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে আগ্রহী কানাডা
- সরকার ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে কাজ করছে: পরিবেশমন্ত্রী
- এমপিও শিক্ষকদের জন্য আসছে আচরণবিধি
- উত্তরা থেকে টঙ্গী মেট্রোরেলে হবে নতুন ৫ স্টেশন
- কেএনএফ মানে বম নই
- লামায় ছাত্রলীগের প্রতিবাদ সমাবেশ
- বান্দরবানে যৌথ অভিযানে তিন কেএনএফ সদস্য নিহত
- আজ জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- স্বাধীনতাবিরোধীদের পদচিহ্নও থাকবে না: রাষ্ট্রপতি
- ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা দূর ৫০০ একর খাসজমি বরাদ্দ
- এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি সুবিধা উঠে যাচ্ছে
- অস্বস্তি কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মোড়
- তথ্য দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে ৩ জন মুখপাত্র নিয়োগ দেওয়া হয়েছে
- বাংলাদেশে নতুন জলবায়ু স্মার্ট প্রাণিসম্পদ প্রকল্প চালু যুক্তরাষ্ট্রের
- বদলে যাবে হাওরের কৃষি
- মূল্যস্ফীতি হ্রাসে ব্যাংক থেকে ঋণ কমাতে চায় সরকার
- ডিসেম্বরে ঘুরবে ট্রেনের চাকা
- আশা জাগাচ্ছে বায়ুবিদ্যুৎ
- ড্রামভর্তি অস্ত্র-বোমার সরঞ্জাম উদ্ধার
- র্যাবের হাতে আটক কেএনএফ এর ২ সদস্য কারাগারে
- জনগণ ও বাস্তবতা বিবেচনায় পরিকল্পনা প্রণয়ন করুন
- ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে: শেখ হাসিনা
- সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক শেখ হাসিনা :কাদের
- আম নিতে চায় রাশিয়া-চীন
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বান্দরবানে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত ৩ জন
- অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে- জেলা প্রশাসক
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলে কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হবে - বান্দরবান জেলা প্রশাসক
- নাথান বম এখন কোথায়, কেএনএফের শক্তির উৎস কী
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরছেন
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- বান্দরবান সদরে আব্দুল কুদ্দুছ আলীকদমে জামাল উদ্দীন চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- শূন্য পদ ৪২ টি! চিকিৎসা সংকটে থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
- আর্তমানবতার সেবায় রেডক্রিসেন্ট সর্বদাই নিয়োজিত - বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি
- বান্দরবানে জিপিএ-৫, ১০০ জন,এগিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজ
- বান্দরবানে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ