বনমোরগ-মুরগি খামার করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এক দম্পতি
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০২৩
ঘরের চারপাশে বেড়া দিয় বিভিন্ন গাছগাছালির লাগিয়ে বনের পরিবেশ তৈরী করে অভিনব পদ্ধতিতে বনমোরগ-মুরগি'র খামার করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন হ্লাশোয়ে অং মারমা (৪০) ও শোয়ে মে চিং (৩৬) মারমা নামে এক দম্পতি।বান্দরবান সদর থেকে প্রায় ২২-২৩ কিলোমিটার আঁকাবাঁকা পাহাড়ী পথে যতে হবে রাজবিলা ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডে মেওয়া পাড়ায়। এ পাড়ায় দেখা মিলবে অভিনব কৌশলে বনমোরগ-মুরগি'র খামারের দৃশ্য ।
এলাকাবাসীরা জানান, বনমোরগ-মুরগি একমাত্র গহীন বনে থাকে। পোষ মানার তো দূরের কথা, মানুষের আওয়াজ শুনা মাত্রই উড়াল দেয়। সেই বনের প্রাণীকে ঘরে এনে পোষ মানিয়ে পালন করার দৃশ্য দেখে গ্রামে ও আশেপাশে এলাকার মানুষেরা অবাক হয়েছেন। এই দম্পতির নাম এখন এলাকার সবার মুখে মুখে।
এই দম্পতির সাথে কথা বলে জানা যায় , লেখাপড়া না জানার কারণে বাংলাও বলতে পারেন না এই দম্পতি। হাস্যজ্জ্বল মুখে মারমা ভাষায় বলেন, আজ থেকে ৫বছর আগে গহীন পাহাড়ে জুম কাটতে যাওয়ার সময় ৬-৭টি ডিমসহ একটি বন মুরগির বাসা দেখতে পান । সেখান থেকে তিনটি ডিম নিয়ে এসে ঘরে দেশী মুরগী "তা" দিতে থাকা মায়ের বাসায় রেখে দেন। সেখান থেকে ১টা ডিম পঁচে যায় আর দুটো ডিম থেকে একটি মোরগ-একটি মুরগী বাচ্চা ফুটে। এর পর তারা দেশী মুরগীর মায়ের সাথে সাথে বড় হতে থাকে। একদিন দেখলাম বনের মুরগির বাচ্চা দুটো প্রায় মৃত অবস্থায় ঘাসে পড়ে আছে। বাচ্চা দুটোকে বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টা করেন। পাহাড়ী লতা-পাতা থেকে শুরু করে বনৌষধি প্রয়োগ করেন। কোনভাবে উন্নতি হয়নি। কোন উপায় না পেয়ে ধানের শক্ত দানা খাওয়াতে লাগলেন এবং পাশের জঙ্গলে গিয়ে পিঁপড়ে ডিমসহ হরেক রকম পোকা-মাকড় এনে খাওয়ানোর পর দেখি অনেকটা সুস্থ হয়ে হাটা-চলা করছে। আর ছোট-ছোট পাখা গুলোও নাড়াচাড়া করছে। তখন আর বুঝতে বাকি থাকলো না, দেশি মুরগীর মত নরম ভাতের সাথে ভূষী মিশিয়ে দিয়ে খাদ্য দিলে অসুস্থ হড়ে পড়ে। তখন থেকে তাদের নিয়ে একটু আলাদা যত্ন করা শুরু করেন এই দম্পতি। ঘাসের ফড়িং, পোকা মাকড়, আর ধানের দানা দিলে খুব দ্রুত খেয়ে ফেলে। এর পর তাদেরকে আলাদা ভাবে খাবার দিতে শুরু করেন। এভাবে চলতে চলতে গত পাঁচ বছরে দেড়শোর মত বন মুরগি হয়েছে।
গত পাঁচ বছরে প্রায় দেড়শোর মত বন মুরগি হয়েছে। বর্তমানে ২২টি মুরগী পরিপক্ক (ডিম দেওয়া সম্ভাব্য), ১৩টি পরিপক্ক মোরগ, ২টি শিকারী মোরগ, ১৭টি বাচ্চাসহ তিনটি মা, ৯টি ডিম নিয়ে "তা" দেওয়া মা আছে একটি। পরিপক্ক মোরগ প্রতিটি বিক্রয় করেন আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা, মুরগী এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা করে বিক্রি করেন বলে জানান হ্লা শোয়ে অং মারমা। এবছরে ৮টি মুরগী ও ৫টি মোরগ বিক্রি করেছেন। এখনো বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্ডার করা আছে বলেও জানান।
ওজনের পরিমাণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওজন দেশি মুরগীর মতো নয়। এদের সাইজ দেশী মুরগীর তুলনায় ছোট, ওজনও কম । পরিপক্ক মোরগের ওজন সর্বোচ্চ ৭০০-৮০০গ্রাম হয়। আর মুরগীর ওজন হয় ৬০০-৭০০গ্রাম। তবে মা মুরগীর ক্ষেত্রে ডিম থাকলে ওজন একটু বেশী হতে পারে বলে জানান তিনি।
হ্লা শোয়ে অং মারমা আরো বলেন, এই মুরগি বিক্রি করে বেশ লাভবান হয়েছেন এবং বেশ ভালো দামও পাওয়া যায়। ছোট বাচ্চা, মাঝারি ও বড় মিলে প্রায় ৫৫টি মুরগীর জন্য প্রতিদিন ৬কেজির মত ধানের প্রয়োজন হয়।
এই বনের মুরগিকে মারমা ভাষায় " তহ্ক্রাক" আর যখন পোষ মানিয়ে ঘরে পালন করা হয় তখন সে মুরগিকে "তোয়াইং গ্যাং" বা তইক ক্যাং বলে পোষমানা বনের মোরগের গঠন, আকার-আকৃতি, ডাক সবই এক এবং অভিন্ন। তাই বিশেষ করে পাহাড়ে অন্য বন মোরগকে ফাঁদে ফেলে জীবন্ত শিকার করার জন্য শিকারী হিসেবে তোয়াইং গ্যাং বা তইক ক্যাং কেই ব্যবহার করা হয়।
যেহেতু পাহাড়-জঙ্গলে বন মুরগি অনেক কমে গেছে, আবার এদের চাহিদাও অনেক। তাই দেশি মুরগির মতো কিছুটা হলেও চাহিদা মিটাতে এই বন মুরগির বানিজ্যিক উপায়ে বড় আকারে খামার বানিয়ে চাষ করার স্বপ্ন দেখছেন এই দম্পতি।
বান্দরবান বন বিভাগের বন্যপ্রাণী বিষয়ক, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রফিকুল ইসলাম চৌধুরীর মুঠো ফোনে জানান , কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সরাসরি বন থেকে বন্য প্রাণীকে ধরে নিয়ে এসে বাড়িতে রাখলে বা পোষমানার চেষ্টা করলে সেটা বন্য প্রাণী নিধন আইনে অপরাধী হবেন। যে বন্য মুরগির কথা বলা হয়েছে, সেটির ক্ষেত্রে মুরগিগুলো একপ্রকার গৃহপালিত বলা যেতে পারে। আমার মতে সে নতুন কিছু উদ্ভাবন করেছে। তাঁর ঘরে থাকা ৫০-১০০টা মুরগিগুলো যদি ঘরেই উৎপাদন হয়ে থাকে তাহলে সেটা বন্য আইনে অপরাধী হবেন না । কেন না সে মুরগি গুলোতো একপ্রকার দেশী মুরগী বা ঘরের মুরগি হয়ে গেছে। সে একজন খুবই ভালো উদ্যোক্তা বললেও ভুল হবে না বলেও জানান।
এব্যাপারে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. পলাশ কান্তি চাকমা জানান, দেশী মুরগীর মতো বন মোরগেরও রোগ বালাই কম হয়। মাঝে মধ্যে রানিক্ষেত, কলেরা, ফক্স এই রোগগুলো হয়ে থাকে। তবে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করলে এই রোগ থেকেও প্রতিকার পাওয়া যেতে পারে। খামারি যদি প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ে এসে যোগাযোগ করেন তাহলে চিকিৎসা ও পরিচর্চার ক্ষেত্রে পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগীতা করবেন বলে জানান।
- চাকরি দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে
- বঙ্গবন্ধু ‘জুলিও কুরি’ পদক নীতিমালা মন্ত্রিসভায় উঠছে
- বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তিনজন নিহত
- সাগরে মাছ ধরা ৬৫ দিন বন্ধ
- ২৫ মে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজের উদ্ভোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- মেট্রোরেলে ভ্যাট এনবিআরের ভুল সিদ্ধান্ত
- বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে আগ্রহী কানাডা
- সরকার ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে কাজ করছে: পরিবেশমন্ত্রী
- এমপিও শিক্ষকদের জন্য আসছে আচরণবিধি
- উত্তরা থেকে টঙ্গী মেট্রোরেলে হবে নতুন ৫ স্টেশন
- কেএনএফ মানে বম নই
- লামায় ছাত্রলীগের প্রতিবাদ সমাবেশ
- বান্দরবানে যৌথ অভিযানে তিন কেএনএফ সদস্য নিহত
- আজ জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- স্বাধীনতাবিরোধীদের পদচিহ্নও থাকবে না: রাষ্ট্রপতি
- ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা দূর ৫০০ একর খাসজমি বরাদ্দ
- এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি সুবিধা উঠে যাচ্ছে
- অস্বস্তি কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মোড়
- তথ্য দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে ৩ জন মুখপাত্র নিয়োগ দেওয়া হয়েছে
- বাংলাদেশে নতুন জলবায়ু স্মার্ট প্রাণিসম্পদ প্রকল্প চালু যুক্তরাষ্ট্রের
- বদলে যাবে হাওরের কৃষি
- মূল্যস্ফীতি হ্রাসে ব্যাংক থেকে ঋণ কমাতে চায় সরকার
- ডিসেম্বরে ঘুরবে ট্রেনের চাকা
- আশা জাগাচ্ছে বায়ুবিদ্যুৎ
- ড্রামভর্তি অস্ত্র-বোমার সরঞ্জাম উদ্ধার
- র্যাবের হাতে আটক কেএনএফ এর ২ সদস্য কারাগারে
- জনগণ ও বাস্তবতা বিবেচনায় পরিকল্পনা প্রণয়ন করুন
- ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে: শেখ হাসিনা
- সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক শেখ হাসিনা :কাদের
- আম নিতে চায় রাশিয়া-চীন
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বান্দরবানে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত ৩ জন
- অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে- জেলা প্রশাসক
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলে কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হবে - বান্দরবান জেলা প্রশাসক
- নাথান বম এখন কোথায়, কেএনএফের শক্তির উৎস কী
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরছেন
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- বান্দরবান সদরে আব্দুল কুদ্দুছ আলীকদমে জামাল উদ্দীন চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- শূন্য পদ ৪২ টি! চিকিৎসা সংকটে থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
- আর্তমানবতার সেবায় রেডক্রিসেন্ট সর্বদাই নিয়োজিত - বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি
- বান্দরবানে জিপিএ-৫, ১০০ জন,এগিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজ
- বান্দরবানে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ