ভাষা আন্দোলনের ৬৯ বছর:রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের পেছনের কথা
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১
১৮ ফেব্রুয়ারি ছিল বাংলা সাহিত্য-শিক্ষা ও মননের অনন্য নক্ষত্র অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের ৮৫তম জন্মদিন। জাতির অন্যতম এই অভিভাবক যুক্ত ছিলেন বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের প্রায় সকল ক্ষেত্রে। জন্মদিন উপলক্ষে বায়ান্নর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন নিয়ে তাঁর একটি অগ্রন্থিত রচনা পত্রস্থ হলো। লেখাটি সংগ্রহ করেছেন ভূঁইয়া ইকবাল
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে পূর্ববাংলার তরুণরা যখন দেশের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাকে প্রতিষ্ঠিত করার দাবিতে আত্মাহুতি দেয়, তখন সারা পৃথিবীতে অনেকেই বিস্মিত হয়েছিলেন। ভাষার জন্য এমনি করে প্রাণ দেওয়ার ঘটনা তখন পর্যন্ত আর ঘটেনি। এই বিস্ময়ের প্রকাশ সর্বাধিক হয়েছিল পশ্চিম বাংলায়। সেখানকার শিক্ষিত সমাজ ভাবতেই পারেনি যে, ক'দিন আগে যারা 'লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান' আওয়াজ তুলেছিল, তারাই আজ 'রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই' বলে অকাতরে প্রাণ দিচ্ছে।
যেমন তারা, তেমনি অন্যরাও, লক্ষ্য করেননি যে, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আগেই কিন্তু রাষ্ট্রভাষার প্রশ্নটি দেখা দিয়েছিল। ১৯৪৭ সালের ৩ জুন লর্ড মাউন্টব্যাটেন যখন ভারতবর্ষকে স্বাধীনতাদানের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন অর্থাৎ ভারতবর্ষকে খণ্ডিত করে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা ব্যক্ত করেন, তার সঙ্গে সঙ্গেই কলকাতায় কিছু তরুণ লেখক, প্রবীণ সাংবাদিক ও প্রবীণতর শিক্ষকরা বাংলাকে পাকিস্তানের একটি রাষ্ট্রভাষা করার দাবি তোলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন আবদুল হক, মাহবুব জামাল জাহেদী, ফররুখ আহমদ, আবুল মনসুর আহমদ, কাজী মোতাহার হোসেন ও মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্। কেউ কেউ নিজে থেকেই কথাটা তোলেন। শহীদুল্লাহ্ লিখেছিলেন মূলত আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর জিয়াউদ্দীন আহমদের একটি প্রস্তাবের জবাবে। জিয়াউদ্দীন লেখেন, ভারতে যেহেতু হিন্দি রাষ্ট্রভাষা হতে যাচ্ছে, পাকিস্তানের উচিত উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করা। তার প্রতিবাদ করে শহীদুল্লাহ্ বললেন, উর্দু কেন, ওটা তো পাকিস্তানের কোনো প্রদেশেরই ভাষা নয়; বরং দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভাষা বাংলা, তারই রাষ্ট্রভাষা হওয়া উচিত; একাধিক রাষ্ট্রভাষা করা সম্ভবপর হলে বাংলার সঙ্গে উর্দুর কথা বিবেচনা করা যাবে।
এ সবই ঘটেছিল ১৯৪৭-এর ১৪ আগস্টের আগে। অর্থাৎ রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলার দাবিটা প্রথমে স্বাভাবিকভাবেই উঠেছিল- ইতিবাচকভাবে উঠেছিল। উঠেছিল এই কারণে যে, তখন যারা ভেবেছিলেন, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হলে আমাদের সার্বিক বিকাশ ঘটবে- সেই সার্বিক বিকাশের মধ্যে ভাষা ও সংস্কৃতির বিকাশের কথাটাও ছিল- তারা চেয়েছিলেন বাংলা ভাষার রাষ্ট্রীয় মর্যাদা। পাকিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে এই ভাবনার কোনো বিরোধ ছিল না- যেমন বাঙালি ও মুসলমানে বিরোধ নেই, যদিও 'আপনি বাঙালি না মুসলমান' এ প্রশ্ন শুনতে আমরা অনভ্যস্ত ছিলাম না।
এখানে প্রশ্ন একটাই- বাংলা ভাষা সম্পর্কে, রাষ্ট্রে সেই ভাষার স্থান সম্পর্কে- বাঙালি মুসলমান সমাজে এমন সচেতনতা জাগল কবে থেকে?
এর উত্তর : উনিশ শতকের শেষার্ধে, তবে মূলত বিংশ শতাব্দীর প্রথম কুড়ি-ত্রিশ বছরে।
অবশ্য ইতিহাস ঘাঁটতে চাইলে ষোলো-সতেরো শতকেও চলে যাওয়া যায়। সৈয়দ সুলতানের মতো একাধিক কবি বলে গেছেন, মাতৃভাষা আল্লাহর দান, ওকে ঘৃণা করো না; যার যা ভাষা তার কাছে তা এক অমূল্য রত্ন। তারপর আব্দুল হাকিম তো কুবাক্যই প্রয়োগ করলেন : বাংলাদেশে জন্মে যারা বাংলাকে ঘৃণা করে, তারা কার ঔরসজাত? নিজের ভাষা যার মনে না ধরে, তারা দেশ ছেড়ে বিদেশে চলে যায় না কেন?
অতকাল আগে এই ধরনের ভাষাপ্রীতি আশ্চর্যজনক বললে কম বলা হয়। বোঝা যায়, কিছু লোক ছিলেন যারা বাংলাকে পছন্দ করতেন না- হয়তো আরবি-ফারসির অনুরাগী ছিলেন। তবে বাংলার পক্ষ সমর্থন করে হিতোপদেশ দেওয়ার এবং কড়া কথা বলার লোকেরও অভাব ছিল না।
১৮৬৮তে নবাব আবদুল লতিফ এক সরকারি কমিশনে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে বলেছিলেন, বঙ্গদেশের অভিজাত ও মধ্যশ্রেণির মুসলমানের ভাষা উর্দু আর নিম্নশ্রেণির মুসলমানের ভাষা বাংলা। ফরিদপুরের এই সন্তান লেখাপড়া শিখে, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হয়ে, রাজসরকারে খেতাব পেয়ে, অভিজাত হওয়ার বাসনায় উর্দুকে বানিয়ে নিয়েছিলেন পারিবারিক ভাষা।
আভিজাত্যের দাবিদাররা বলতেন, তাদের পূর্বপুরুষ আরব-ইরান, তুরস্ক-মধ্য এশিয়া থেকে এসেছে, সুতরাং বাংলা বলাটা তাদের ঠিক আসে না। তাই উর্দু। কিন্তু যেই সাধারণ শ্রেণির বাঙালি মুসলমান লেখাপড়া শিখতে আরম্ভ করল, তখন সে বলতে থাকল- আগে যাই থাক না কেন, তখন বাঙালি মুসলমানের ভাষা বাংলা হয়ে গেছে। তার পরের ধাপে বলল, বাংলাই চিরদিন বাঙালি মুসলমানের মাতৃভাষা ছিল, চিরদিন তাই থাকবে। বাংলাদেশে উর্দু চলতে পারে, তবে তা বাংলা ভাষারূপ জমিদারের প্রজাস্বরূপ হয়ে, খাজনা দিয়ে।
তারপর কথা উঠল, বাংলা হিন্দু মুসলমান নির্বিশেষে সকল বাঙালির জাতীয় ভাষা, সকল জাতীয় কর্মে একে স্থান দিতে হবে- বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে।
এই পটভূমিতে ১৯৪৭ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিক ছিল না। ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত যখন ১৯৪৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাকে পাকিস্তান গণপরিষদের দাপ্তরিক ভাষা করতে চাইলেন এবং প্রসঙ্গক্রমে পাকিস্তানের একটি রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলার স্থান হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করলেন, তখন সে প্রস্তাবও আকাশ থেকে পড়েনি। তার প্রস্তাব বাতিল হলো, প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি তাকে ধমকে দিয়ে বললেন, পাকিস্তান হয়েছে মুসলমানদের জন্য, মুসলমানের ভাষা উর্দু, সেটাই হবে রাষ্ট্রভাষা। সেদিন ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেও পূর্ববাংলার প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমউদ্দীন বলেছিলেন যে, পূর্ববাংলায় বাংলা ভাষা সম্পর্কে বড় রকম আবেগ আছে- সকলে চায় বাংলা হোক পূর্ব-পাকিস্তানের সরকারি ভাষা ও শিক্ষার মাধ্যম, তবে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার বিষয়ে সেখানে যে দ্বিমত আছে, তা তিনি মনে করেন না।
বাংলা ভাষার প্রতি পূর্ববাংলার মানুষের প্রীতি সম্পর্কে নাজিমউদ্দীন যে অতটা বুঝেছিলেন, তাও কম নয়। তিনি সবটা বোঝেননি। বুঝলে ১৯৫২ সালের ৩০ জানুয়ারিতে বলতেন না যে, উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা।
নাজিমউদ্দীনের এই বক্তৃতার সূত্র ধরেই একুশে ফেব্রুয়ারির রক্তদান ঘটেছিল।
- কেএনএফ মানে বম নই
- লামায় ছাত্রলীগের প্রতিবাদ সমাবেশ
- বান্দরবানে যৌথ অভিযানে তিন কেএনএফ সদস্য নিহত
- আজ জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- স্বাধীনতাবিরোধীদের পদচিহ্নও থাকবে না: রাষ্ট্রপতি
- ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা দূর ৫০০ একর খাসজমি বরাদ্দ
- এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি সুবিধা উঠে যাচ্ছে
- অস্বস্তি কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মোড়
- তথ্য দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে ৩ জন মুখপাত্র নিয়োগ দেওয়া হয়েছে
- বাংলাদেশে নতুন জলবায়ু স্মার্ট প্রাণিসম্পদ প্রকল্প চালু যুক্তরাষ্ট্রের
- বদলে যাবে হাওরের কৃষি
- মূল্যস্ফীতি হ্রাসে ব্যাংক থেকে ঋণ কমাতে চায় সরকার
- ডিসেম্বরে ঘুরবে ট্রেনের চাকা
- আশা জাগাচ্ছে বায়ুবিদ্যুৎ
- ড্রামভর্তি অস্ত্র-বোমার সরঞ্জাম উদ্ধার
- র্যাবের হাতে আটক কেএনএফ এর ২ সদস্য কারাগারে
- জনগণ ও বাস্তবতা বিবেচনায় পরিকল্পনা প্রণয়ন করুন
- ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে: শেখ হাসিনা
- সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক শেখ হাসিনা :কাদের
- আম নিতে চায় রাশিয়া-চীন
- মূল্যস্ফীতি হ্রাসই লক্ষ্য
- সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হলেই সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার: নির্বাচন কমিশনার
- স্মার্ট দেশ গড়ার মাধ্যমে এসডিজির অভীষ্ট অর্জন
- যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
- কর আদায়ে বহুতল ভবন নির্মাণে আগ্রহী এনবিআর
- সবাই নিশ্চিত থাকেন ভোট সুষ্ঠু হবে- নাইক্ষ্যংছড়িতে বান্দরবান পুলিশ সুপার
- কেএনএফ এর জন্য নতুন নারী সদস্য রিক্রুট করতো র্যাবের হাতে আটক আকিম বম
- কেএনএফ এর নারী শাখার অন্যতম সমন্বয়ক আটক
- থানচি উপজেলার দুর্গম থুইসা পাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড
- শূন্য পদ ৪২ টি! চিকিৎসা সংকটে থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বান্দরবানে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত ৩ জন
- অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে- জেলা প্রশাসক
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলে কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হবে - বান্দরবান জেলা প্রশাসক
- নাথান বম এখন কোথায়, কেএনএফের শক্তির উৎস কী
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরছেন
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- বান্দরবান সদরে আব্দুল কুদ্দুছ আলীকদমে জামাল উদ্দীন চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- শূন্য পদ ৪২ টি! চিকিৎসা সংকটে থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
- আর্তমানবতার সেবায় রেডক্রিসেন্ট সর্বদাই নিয়োজিত - বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি
- বান্দরবানে জিপিএ-৫, ১০০ জন,এগিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজ
- বান্দরবানে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ