মেট্রোরেল আর স্বপ্ন নয়
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৫ জুন ২০২২
মেট্রোরেল এখন আর স্বপ্ন নয়। নগরবাসী মেট্রোরেলে চড়বে আগামী ডিসেম্বরে। বাণিজ্যিকভাবে দেশের প্রথম মেট্রোরেল-এমআরটি লাইন সিক্সের প্রথম অংশ উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে চলবে ১৬ ডিসেম্বর। তারপর এক বছর পরেই আগারগাঁও থেকে মতিঝিলের বাকি অংশও চালু হয়ে যাবে। মোট ১৬টি মেট্রো স্টেশনের ৯টি আগারগাঁও থেকে দিয়াবাড়ি অংশে। স্টেশনের মূল ভবনের ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হয়েছে বেশ আগেই।
এ জন্য নেয়া প্রস্তুতি ও সীমাবদ্ধতাসহ প্রকল্পের অগ্রগতি এরই মধ্যে পাঠানো হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিবের কাছে সরকারের অগ্রাধিকার এ প্রকল্পটির অগ্রগতি তুলে ধরা হবে। সেখানে এমআরটি লাইন ৬-এর ভাড়া আদায়ের জন্য অটোমেটিক ফেয়ার কালেকশন সিস্টেম সফটওয়্যার স্থাপন, সরকারি ভূমি প্রাপ্তিতে অসুবিধার কথা বলা হয়। মেট্রোরেলের জন্য বিশেষায়িত স্বতন্ত্র পুলিশ ফোর্স নিয়োগের প্রস্তাব যাচাই শেষে আবার যাচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক বলেছেন, মেট্রোরেল চলাচলের সঙ্গে যারা জড়িত থাকবেন তাদের নিজস্ব একটি যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে বাণিজ্যিক চলাচল শুরু করতে চাই। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে কেন্দ্রীয় মনিটরিং কক্ষের সাথেও। যাকে বলা হচ্ছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিকম ম্যাথড। এ জন্য জন্য বিটিআরসি থেকে অনুমতি নেয়া হয়েছে। প্রধান কাজগুলো আমরা জুনের মধ্যেই শেষ হবে। বাকি কাজ আগস্টের মধ্যে শেষ হবে। আগে মূল সড়ক যেমন ছিল, সেটাই আবার ফিরে আসছে, স্টেশন এলাকা বাদ দিয়ে।
জানা যায়, ডিএমটিসিএলের আওতায় উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার অংশের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন চলছে পারফরম্যান্স টেস্ট। জুন থেকে জুলাই পর্যন্ত ইন্টিগ্রেটেড টেস্টের পর বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী নিয়ে চালু করার আগে আগস্ট মাসে ট্রায়াল রান শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। যা নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। ডিপো থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে ৯টি স্টেশনের নির্মাণকাজের ৯২ শতাংশ শেষ হয়েছে। উড়ালপথ নির্মাণকাজ শতভাগ শেষ হয়েছে অনেক আগে। ডিপো থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ইলেকট্রিক লাইন স্থাপন শেষে ৯টি স্টেশনে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হচ্ছে।
দ্বিতীয় ও তৃতীয়তলায় উঠতে দুটি করে সিঁড়ি, এক্সেলেটর ও লিফট বসানোর কাজও প্রায় শেষ। এক্সিট, এন্ট্রি ও টিকেটিংয়ের সব ধরনের যন্ত্রপাতি বসানোর কাজ চলছে সমানে। উদ্বোধনের জন্য দিয়াবাড়ি স্টেশনে শুরু হয়েছে ব্যাপক তোড়জোড়। সিগন্যালিং ঠিকমতো হচ্ছে কিনা পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এখন দম ফেলার ফুরসত নেই প্রকৌশলীদের। বাণিজ্যিকভাবে প্রথম পর্বে চালু হচ্ছে উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশ। তাই নিয়মিত উত্তরা-আগারগাঁও পরীক্ষামূলক চলাচল করছে মেট্রোরেল।
মেট্রোরেলের ভাড়া পরিশোধে থাকবে র্যাপিড পাস। প্রাথমিক হার অনুযায়ী একজন যাত্রী মেট্রোরেলে ওঠার পর সর্বনিম্ন ২০ টাকা ভাড়া দিয়ে দুই স্টেশন পর্যন্ত যেতে পারবেন। পরবর্তী প্রতি স্টেশনে যেতে বাড়তি ১০ টাকা করে ভাড়া দিতে হবে। উত্তরার তিনটি স্টেশন বাদ দিলে অন্য সব স্টেশনের প্রতিটির মধ্যে দূরত্ব এক কিলোমিটার বা তার কম। ফলে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া হবে প্রায় ১০ টাকা। মোট ৩৫ মিনিটে উত্তরা থেকে মতিঝিল যেতে পারবেন যাত্রীরা। বর্তমানে রাজধানীতে বড় বাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ২ টাকা ১৫ পয়সা। মিনিবাসের ভাড়া ২ টাকা ৫ পয়সা। সর্বনিম্ন ভাড়া বড় বাসে ১০ টাকা এবং মিনিবাসে ৮ টাকা। মেট্রোরেলে উত্তরা থেকে মতিঝিল পথ পাড়ি দিতে লাগবে ৯০ টাকা। ভাড়ার প্রস্তাবে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ খরচ, জনবলের বেতন-ভাতা এবং কোচ ও অন্যান্য স্থাপনার রক্ষণাবেক্ষণ খরচ।
মেট্রোরেল চলাচল শুরু হলে প্রতিদিন ভোর থেকে দুই দিক থেকে যাত্রা করবে। প্রাথমিকভাবে রাত সাড়ে ১১টায় সর্বশেষ ট্রেন ছাড়বে। শুরুতে এসব ট্রেনে দৈনিক ৪ লাখ ৮৩ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। এ জন্য ভাড়া আদায়ে বসবে অটোমেটিক ফেয়ার কালেকশন সিস্টেম সফটওয়্যার। কিন্তু ভাড়া চূড়ান্ত না হওয়ায় এখনই তা কার্যকর হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে মেট্রোরেল চালুর অন্তত তিন-চার মাস আগে ভাড়ার হার অনুমোদন করতে চাইছে সরকার। কারণ ভাড়ার হার অনুযায়ী সফটওয়্যারে ইনপুট দিয়ে টিকিট চূড়ান্ত করতে হবে। তবে যাত্রীদের জন্য অবশ্যই আধুনিক এবং অনলাইনভিত্তিক ভাড়া পরিশোধের ব্যবস্থা থাকবে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, বিদ্যুৎচালিত এই মেট্রোরেল চলবে নিজস্ব স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং সিস্টেমে। এরই মধ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির অনুমোদনও পেয়েছে ডিএমটিসিএল। আগস্টে সমন্বিত টেস্টিং শেষে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে বাণিজ্যিকভাবে ঢাকায় চলবে দেশের প্রথম মেট্রোরেল-এমআরটি লাইন সিক্সের প্রথম অংশ। আর আগামী বছরের ডিসেম্বর মাসে আগারগাঁও থেকে মতিঝিলের বাকি অংশও চালু হবে। মেট্রোরেল প্রকল্পের অধীনে প্রথম ট্রেন চালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন নাসরুল্লাহ ইবনে হাকিম। এমআরটি-৬ এর চূড়ান্ত রুট অ্যালাইনমেন্ট হলো-উত্তরা তৃতীয় ধাপ-পল্লবী-রোকেয়া সরণির পশ্চিম পাশ দিয়ে (চন্দ্রিমা উদ্যান-সংসদ ভবন) খামারবাড়ী হয়ে ফার্মগেট-সোনারগাঁও হোটেল-শাহবাগ-টিএসসি-দোয়েল চত্বর-তোপখানা রোড থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত। এ রুটের ১৬টি স্টেশন হচ্ছে-উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর ১১, মিরপুর ১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সচিবালয়, মতিঝিল ও কমলাপুর। ট্রেন চালানোর জন্য ঘণ্টায় দরকার হবে ১৩ দশমিক ৪৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যা নেয়া হবে জাতীয় গ্রিড থেকে। এর জন্য উত্তরা, পল্লবী, তালতলা, সোনারগাঁ ও বাংলা একাডেমি এলাকায় পাঁচটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র থাকবে।
মেট্রোরেলের কারওয়ান বাজার থেকে মতিঝিল অংশের কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৮৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। কারওয়ান বাজার থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ৪ দশমিক ৯২২ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট ও চারটি স্টেশনের (শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সচিবালয় ও মতিঝিল) নির্মাণ কাজ কন্ট্রাক্ট প্যাকেজ সিপি-৬ এর নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গত ২০১৮ সালের ১ আগস্ট থেকে শুরু করে। বর্তমানে এই কাজের সিংহভাগ অগ্রগতি হয়েছে। কারওয়ান বাজার থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ৪ দশমিক ৯২২ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট ও ৪টি স্টেশনের (শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সচিবালয় ও মতিঝিল) অংশের পরিষেবা স্থানান্তর, চেকবোরিং, ট্রায়াল ট্রেঞ্চ, টেস্ট পাইল, স্থায়ী বোর্ড পাইল, পাইল ক্যাপ, পিয়ার কলাম, পিয়ার হেড, পোর্টাল বিম, স্টেশন কলাম, ভায়াডাক্টের জন্য প্রিকাস্ট সেগমেন্ট নির্মাণ, স্প্যান, স্পেশাল লং স্প্যান নির্মাণ, ভায়াডাক্ট ইরেকশন ও ভায়াডাক্টের ওপর প্যারাপেট ওয়াল স্থাপন শেষ হয়েছে। এছাড়া শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও মতিঝিল স্টেশনে স্টিল রুফ স্ট্রাকচার স্থাপন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে রুফ শিট স্থাপন কাজ চলমান রয়েছে।
এই প্যাকেজের আওতাধীন সব স্টেশনে মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড প্লাম্বিং (এমইপি) ও আর্কিটেকচুয়াল কাজ এখনও চলছে। সেই সঙ্গে শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও মতিঝিল স্টেশনের প্রবেশ-বাহির কাঠামোর নির্মাণ কাজ চলমান আছে। মাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৬-এর উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের হলঘরের ছাদ, প্ল্যাটফর্মের ছাদ, ইস্পাতের ছাদ ও আইকনিক স্টেশনের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের নির্মাণকাজের সার্বিক গড় অগ্রগতি ৭৯ শতাংশ।
প্রথম পর্যায়ে নির্মাণের জন্য নির্ধারিত উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে আগারগাঁও অংশের পূর্তকাজের অগ্রগতি প্রায় ৯২ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণের জন্য নির্ধারিত আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের পূর্তকাজের অগ্রগতি প্রায় ৭৮ দশমিক ১৯ শতাংশ। ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেম এবং রোলিং স্টক (রেলকোচ) ও ডিপো ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ কাজের সমন্বিত অগ্রগতি ৭৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। মতিঝিল থেকে কমলাপুর ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার অংশে সোশ্যাল স্টাডি, হাউসহোল্ড সার্ভে, ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন পরিকল্পনা, পরিবেশের ওপর প্রভাব ও বিস্তারিত নকশা সম্পন্ন হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, তৃতীয়তলার প্ল্যাটফর্মে ওয়েটিং জোন আলাদা করতে আঁকা হয়েছে ইয়েলো বার। নির্দিষ্ট দূরত্বে নির্ধারিত মাপের উচ্চ প্রযুক্তির দরজাও বসানো হচ্ছে। অন্যান্য সাধারণ স্টেশনের অবকাঠামো যেমন মেট্রোরেল স্টেশনের কাঠামো ঠিক এরকম যে, এই অংশে যাত্রীরা অপেক্ষা করবে আর হলুদ লাইনটি তারা কখনই অতিক্রম করবে না। এখানের স্বয়ংক্রিয় দরজাটিও বন্ধ থাকবে। রেল এসে দাঁড়ানোর পরে এই দরজাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে যাবে। তখন যাত্রীরা ট্রেনে ওঠার সুযোগ পাবেন। যখন যাত্রী ওঠা শেষ হবে দরজাটি আবার বন্ধ হয়ে যাবে। চলতি বছরের আগস্টে এই অংশের সব কাজ শেষ করার ডেটলাইনে এগোচ্ছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো।
মেট্রোরেলের নির্মাণের কারণে রাজধানী উত্তরা দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সড়কের মাঝের জায়গা বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। কাজ প্রায় শেষের দিকে আসায় সরিয়ে নেয়া হচ্ছে রোড ব্যারিয়ার। ফলে প্রশস্ত হচ্ছে সড়ক। এতে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছে বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও নগরবাসী। মিরপুর ১১ নম্বর থেকে শুরু করে শাহবাগ পর্যন্ত বেশিরভাগ সড়কই ফাঁকা হয়ে গেছে। মাঝ বরাবর দেয়া হয়েছে ডিভাইডার। ডিভাইডারগুলোর ওপর বালির পরিবর্তে দেয়া হয়েছে মাটি। যেন সিটি করপোরেশন সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করতে পারে। বাসসহ অন্যান্য যানবাহন এক পাশ দিয়ে যাওয়া-আসা করছে। শাহবাগ পর্যন্ত সড়ক থেকে প্লেইন সিটের দেয়া বেড়া তুলে নেয়া হয়েছে। তবে যেসব স্থানে স্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে শুধু সেখানে সড়ক বন্ধ রাখা হয়েছে। সড়কের মাঝখানে মেট্রোরেলের পিলারের পাশঘেঁষে কংক্রিটের ছোট ছোট ওয়াল দেয়া হয়েছে।
ইতোমধ্যে মেট্রোরেলের পিলারগুলোতে পোস্টার লাগনো শুরু হয়ে গেছে। এতে সৌন্দর্য্য নষ্ট হচ্ছে। ওপর-নিচে এভাবে পোস্টার লাগানোর কারণে নগরবাসীর মনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তারা বলছেন নতুন এ মেগা প্রকল্পটি উদ্বোধনের আগেই পোস্টার লাগিয়ে নষ্ট করা হচ্ছে।
আগারগাঁও এলাকার বাসিন্দা বেসরকারি চাকরিজীবী তৌয়বুর রহমান বলেন, মেট্রোরেল চালু হলে নগরবাসীর জন্য অনেক সুবিধা হবে। আশা করছি আমাদের আর ভয়াবহ যানজটে পড়তে হবে না। কারণ সড়কের ওপর দিয়ে যাত্রীদের একটা বিশাল অংশ রাজধানীর এক স্থান থেকে অন্য যাতায়াত করবে। এতে নিচের অংশের সড়কে যানবাহনের চাপ কমবে। আমরা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সহজেই যাতায়াত করতে পারবো।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের প্রফেসর ড. শামসুল হক ইনকিলাবকে বলেন, মেট্রোরেল পুরো অংশ চালু হলে নগরবাসী বেশি সুবিধা পেত। এখন যেহেতু আংশিক চালু হচ্ছে সেক্ষেত্রে নগরীর কিছু এলাকার মানুষ এর সুবিধা পাবেন। একটি নগরীর জনগোষ্ঠীর খণ্ডিত একটি অংশ এই সুবিধা ভোগ করবে। রাজধানীর মিরপুর হলো বসবাসের এলাকা আর মতিঝিল হলো অফিসপাড়া এক্ষেত্রে মেট্রোরেলের পুরো অংশ চালু না হওয়ায় আগারগাঁও এলাকায় আবারও লোকজনের জটলা লেগে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
- ড্রামভর্তি অস্ত্র-বোমার সরঞ্জাম উদ্ধার
- র্যাবের হাতে আটক কেএনএফ এর ২ সদস্য কারাগারে
- জনগণ ও বাস্তবতা বিবেচনায় পরিকল্পনা প্রণয়ন করুন
- ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে: শেখ হাসিনা
- সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক শেখ হাসিনা :কাদের
- আম নিতে চায় রাশিয়া-চীন
- মূল্যস্ফীতি হ্রাসই লক্ষ্য
- সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হলেই সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার: নির্বাচন কমিশনার
- স্মার্ট দেশ গড়ার মাধ্যমে এসডিজির অভীষ্ট অর্জন
- যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
- কর আদায়ে বহুতল ভবন নির্মাণে আগ্রহী এনবিআর
- সবাই নিশ্চিত থাকেন ভোট সুষ্ঠু হবে- নাইক্ষ্যংছড়িতে বান্দরবান পুলিশ সুপার
- কেএনএফ এর জন্য নতুন নারী সদস্য রিক্রুট করতো র্যাবের হাতে আটক আকিম বম
- কেএনএফ এর নারী শাখার অন্যতম সমন্বয়ক আটক
- থানচি উপজেলার দুর্গম থুইসা পাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড
- শূন্য পদ ৪২ টি! চিকিৎসা সংকটে থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
- নাইক্ষ্যংছড়ি ৮টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ সরঞ্জাম উদ্ধার
- জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নিহত ১
- কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনার ওপর জোর প্রধানমন্ত্রীর
- নারীবান্ধব শিক্ষানীতির কারণে মেয়েরা এগিয়ে: প্রধানমন্ত্রী
- সেমিকন্ডাক্টর খাতে ১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের সম্ভাবনা
- রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না
- বিপিসির এলপি গ্যাস বটলিং প্ল্যান্ট আধুনিকায়ন, জুনে চালু
- প্রত্যাশা নতুন অধ্যায়ের
- ২-৩ বছরের মধ্যে মহাকাশে যাবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট
- রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ১১০ বিলিয়ন ডলার
- একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ
- একক গ্রাহকের ঋণসীমা অতিক্রম না করতে নির্দেশ ব্যাংকগুলোকে
- দেশি শিং মাছের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচনে সফলতা
- বান্দরবানে ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বান্দরবানে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত ৩ জন
- অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে- জেলা প্রশাসক
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলে কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হবে - বান্দরবান জেলা প্রশাসক
- নাথান বম এখন কোথায়, কেএনএফের শক্তির উৎস কী
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরছেন
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- বান্দরবান সদরে আব্দুল কুদ্দুছ আলীকদমে জামাল উদ্দীন চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- শূন্য পদ ৪২ টি! চিকিৎসা সংকটে থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
- আর্তমানবতার সেবায় রেডক্রিসেন্ট সর্বদাই নিয়োজিত - বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি
- বান্দরবানে জিপিএ-৫, ১০০ জন,এগিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজ
- বান্দরবানে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ