রিজার্ভ ২৪০০ কোটি ডলারে রাখার চেষ্টা
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২১ মে ২০২৩
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভ ২ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে ধরে রাখতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ লক্ষ্যে তারা বৈদেশিক মুদ্রা আয়-ব্যয়ের পরিকল্পনা নতুনভাবে বিন্যস্ত করেছে।
এর মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করতে আমদানিতে আরও কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ, বিদেশ ভ্রমণ, চিকিৎসা, শিক্ষা, সভা-সেমিনারের মতো কম গুরুত্বপূর্ণ খাতে বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়ে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে।
একই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার আয় বাড়াতে রপ্তানির নতুন বাজার অনুসন্ধান, নতুন বাজারে রপ্তানি বাড়ানো, অপ্রত্যাবাসিত রপ্তানি আয় দেশে ফেরত আনা, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর পদক্ষেপ নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।
পাশাপাশি চড়া সুদের স্বল্পমেয়াদি বৈদেশিক ঋণ কমিয়ে কম সুদের দীর্ঘমেয়াদি ঋণ বেশি নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেখেছে, ডলার সংকট আগামী অর্থবছরেও থাকবে।
তবে সংকট চলতি অর্থবছরের মতো এতটা প্রকট হবে না। যে কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক এখনো ডলার সাশ্রয় করার নীতি অনুসরণ করে যাচ্ছে। যা আগামীতেও অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আইএমএফ জুনের মধ্যে দেশের গ্রস রিজার্ভ ২ হাজার ৯৯৬ কোটি ডলারে নেমে আসতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। যা মোট আমদানি ব্যয়ের সাড়ে ৩ মাসের সমান। একই সঙ্গে ওই সময়ে নিট রিজার্ভ ২ হাজার ৪৪৬ কোটি ২০ লাখ ডলারে নেমে আসতে পারে।
যা দিয়ে ২ দশমিক ৯ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। অর্থাৎ ৩ মাসের আমদানি ব্যয়ের চেয়ে কম। জুনে রিজার্ভ বেড়ে ৩ হাজার ৪২৩ কোটি ডলারে উঠতে পারে। নিট রিজার্ভ ২ হাজার ৮৭৩ কোটি ২০ লাখ ডলারে নামতে পারে। যা দিয়ে ৩ দশমিক ২ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে।
এদিকে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমে যাচ্ছে। ৮ মে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দেনা পরিশোধের পর রিজার্ভ ২ হাজার ৯৭০ কোটি ডলারে নেমে যায়।
৯ মে বিশ্বব্যাংক বাজেট সহায়তা বাবদ ৫০ কোটি ৭০ লাখ ডলার ছাড় করলে রিজার্ভ আবার বেড়ে ৩ হাজার ৯৬ কোটি ডলারে ওঠে। ১১ মে রিজার্ভ আবার কমে ৩ হাজার ৩৫ কোটি ডলারে নেমে যায়।
গত ১৭ মে রিজার্ভ আরও কমে ৩ হাজার ১৮ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে আবার আকুর দেনা বাবদ ১১৮ কোটি ডলারের বেশি পরিশোধ করতে হবে। তখন রিজার্ভ আরও কমে ২ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের ঘরে নেমে আসতে পারে।
এছাড়া মে ও জুনের মধ্যে বৈদেশিক ঋণ ও এলসির দেনা শোধ করতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে আরও ১০০ কোটি ডলারের মতো বিক্রি করতে হবে। ফলে রিজার্ভ আরও কমবে।
তবে রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স থেকে যে ডলার আয় হয় তা দিয়ে এখন আমদানি ব্যয় ও বৈদেশিক ঋণ শোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে হচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী জুনের মধ্যে নিট রিজার্ভ ২ হাজার ৪৪৬ কোটি ২০ লাখ ডলারে ধরে রাখা সম্ভব হবে না। যে কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাচ্ছে নিট রিজার্ভ কমপক্ষে ২ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে ধরে রাখতে।
যা দিয়ে প্রায় ৫ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে। আন্তর্জাতিক নিরাপদ মান অনুযায়ী কমপক্ষে ৩ মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান রিজার্ভ থাকলেই তাকে নিরাপদ ধরা হয়।
বর্তমানে কঠোর নিয়ন্ত্রণের ফলে দেশের মাসিক আমদানি ব্যয় ৫০০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। আগে মাসে ৮৫০ কোটি ডলারও ব্যয় হয়েছে। সে হিসাবে আমদানি কমেছে ৩৫০ কোটি ডলার। আমদানিতে আরও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হচ্ছে। ফলে রিজার্ভ সাশ্রয় করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী বর্তমান রিজার্ভ থেকে বিভিন্ন তহবিলে বিনিয়োগ করা অর্থ বাদ দিতে হবে। বিভিন্ন তহবিলে আগে বিনিয়োগ ছিল ৮০০ কোটি ডলার। এখন কমিয়ে ৫৫০ কোটি ডলারে নামিয়ে আনা হয়েছে।
এ থেকে আরও কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফলে রিজার্ভ থেকে ৪০০ কোটি ডলার বাদ দিতে হবে। এতে নিট রিজার্ভ ২ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে দাঁড়াতে পারে।
সূত্র জানায়, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স ব্যাংক ও কার্ব মার্কেটে ডলারের দামের ব্যবধান কমানো হয়েছে। স্বল্পমেয়াদি ঋণ ছিল প্রায় ২ হাজার কোটি ডলার। এর মধ্য থেকে প্রায় ৮০০ কোটি ডলার ইতোমধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে।
চলতি বছরের মধ্যে আরও ৮০০ কোটি ডলার পরিশোধ করা হবে। স্বল্পমেয়াদি ঋণ এখন কম নেওয়ার নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। আমদানি কমানোর ফলে এ ঋণও কমে যাচ্ছে।
কারণ বেশির ভাগ স্বল্পমেয়াদি ঋণ নেওয়া হয় আমদানির বিপরীতে। এতে রিজার্ভের ওপর চাপ কমবে। অন্যদিকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ বেশি নেওয়া হবে। যা রিজার্ভের জন্য সহায়ক হবে।
এদিকে আইএমএফের পূর্বাভাসে জুনে বৈদেশিক মুদ্রার চলতি হিসাবে ভারসাম্য জিডিপির আকারের হিসাবে ৩ দশমিক ২ শতাংশের মধ্যে থাকবে। আগামী অর্থবছরে তা বেড়ে ৪ দশমিক ২ শতাংশ হবে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে তা কমে সাড়ে ৩ শতাংশ হবে। পরের ২ অর্থবছরে ৩ শতাংশের মধ্যে আসবে। অর্থাৎ আগামী বছর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়ার ফলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়বে। এতে আমদানি বেশি হবে।
এর বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় কম হবে। ফলে ঘাটতি বাড়বে। চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্স ২ শতাংশ বাড়তে পারে। আগামী অর্থবছরে তা ৭ শতাংশ বাড়তে পারে। চলতি অর্থবছরে রপ্তানি আয় ৭ দশমিক ২ শতাংশ কমতে পারে। আগামী অর্থবছরে বেড়ে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে। আমদানি চলতি অর্থবছরে ২২ দশমিক ৬ শতাংশ কমতে পারে। আগামী অর্থবছরে বেড়ে ১৪ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে।
চলতি অর্থবছরে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ৭ হাজার ৯৫২ কোটি ডলারে সীমাবদ্ধ থাকবে। আগামী বছর তা বেড়ে ৮ হাজার ৯০০ কোটি ডলার হবে। ঋণের দিক থেকে বাংলাদেশের ঝুঁকি নিম্নমানের।
এদিকে রপ্তানি আয় বাড়ানোকে বড় চ্যালেঞ্জিং মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কারণ, বাংলাদেশের বড় বাজারগুলোতে এখন অর্থনৈতিক মন্দা প্রকট। এতে রপ্তানির আদেশ কমেছে গড়ে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ।
ফলে কাঁচামাল আমদানিও কমেছে। এতে আগামীতে রপ্তানি আয় আরও কমতে পারে। তবে আগে যেসব পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে, মন্দার কারণে আয় দেশে আসেনি। সেগুলো দেশে আনার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
একই সঙ্গে নতুন বাজার অনুসন্ধান ও নতুন বাজারে রপ্তানি বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে নতুন বাজারে রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ২৩ শতাংশ। এতে আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
- ২৫ মে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজের উদ্ভোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- মেট্রোরেলে ভ্যাট এনবিআরের ভুল সিদ্ধান্ত
- বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে আগ্রহী কানাডা
- সরকার ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে কাজ করছে: পরিবেশমন্ত্রী
- এমপিও শিক্ষকদের জন্য আসছে আচরণবিধি
- উত্তরা থেকে টঙ্গী মেট্রোরেলে হবে নতুন ৫ স্টেশন
- কেএনএফ মানে বম নই
- লামায় ছাত্রলীগের প্রতিবাদ সমাবেশ
- বান্দরবানে যৌথ অভিযানে তিন কেএনএফ সদস্য নিহত
- আজ জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- স্বাধীনতাবিরোধীদের পদচিহ্নও থাকবে না: রাষ্ট্রপতি
- ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা দূর ৫০০ একর খাসজমি বরাদ্দ
- এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি সুবিধা উঠে যাচ্ছে
- অস্বস্তি কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মোড়
- তথ্য দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে ৩ জন মুখপাত্র নিয়োগ দেওয়া হয়েছে
- বাংলাদেশে নতুন জলবায়ু স্মার্ট প্রাণিসম্পদ প্রকল্প চালু যুক্তরাষ্ট্রের
- বদলে যাবে হাওরের কৃষি
- মূল্যস্ফীতি হ্রাসে ব্যাংক থেকে ঋণ কমাতে চায় সরকার
- ডিসেম্বরে ঘুরবে ট্রেনের চাকা
- আশা জাগাচ্ছে বায়ুবিদ্যুৎ
- ড্রামভর্তি অস্ত্র-বোমার সরঞ্জাম উদ্ধার
- র্যাবের হাতে আটক কেএনএফ এর ২ সদস্য কারাগারে
- জনগণ ও বাস্তবতা বিবেচনায় পরিকল্পনা প্রণয়ন করুন
- ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে: শেখ হাসিনা
- সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক শেখ হাসিনা :কাদের
- আম নিতে চায় রাশিয়া-চীন
- মূল্যস্ফীতি হ্রাসই লক্ষ্য
- সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হলেই সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার: নির্বাচন কমিশনার
- স্মার্ট দেশ গড়ার মাধ্যমে এসডিজির অভীষ্ট অর্জন
- যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বান্দরবানে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত ৩ জন
- অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে- জেলা প্রশাসক
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলে কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হবে - বান্দরবান জেলা প্রশাসক
- নাথান বম এখন কোথায়, কেএনএফের শক্তির উৎস কী
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরছেন
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- বান্দরবান সদরে আব্দুল কুদ্দুছ আলীকদমে জামাল উদ্দীন চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- শূন্য পদ ৪২ টি! চিকিৎসা সংকটে থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
- আর্তমানবতার সেবায় রেডক্রিসেন্ট সর্বদাই নিয়োজিত - বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি
- বান্দরবানে জিপিএ-৫, ১০০ জন,এগিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজ
- বান্দরবানে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ