রোববার ১২ মে ২০২৪ ||
বৈশাখ ২৯ ১৪৩১
|| ০৩ জ্বিলকদ ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০২২
শেখ কামাল ক্রীড়াবিদ সুলতানা খুকীকে পছন্দ করতেন। তবে পারিবারিক উদ্যোগে বিয়েটা হয়েছিল। খুকীর বাবা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী। দু’ পরিবারের সম্মতিতে ১৯৭৫ সালের ১৪ জুলাই তারা দু’জন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সেই বিয়েতে আমন্ত্রিত অতিথিদের উপহার সামগ্রী নিয়ে আসা নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল। অত্যন্ত অনাড়ম্বরভাবে বৌ-ভাত অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তাতে আপ্যায়ণ করা হয়েছিল মিষ্টি-বিস্কুট এবং চা-সমুচা দিয়ে।
হৃদয়বিদারক ’৭৫ এর ১৫ই আগস্ট :
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার কথা। সে উপলক্ষ্যে ক্যাম্পাসে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ চলমান ছিল। শেখ কামাল কয়েকদিন ধরে একটি স্বেচ্ছাসেবক ব্রিগেডের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এই ব্রিগেড ১লা আগস্ট থেকে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা মহড়া শুরু করে। ১৪ই আগস্ট নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা লেডিস ক্লাবে নাসিম ওসমানের বিয়ের অনুষ্ঠানে সস্ত্রীক অংশগ্রহণের পর রাতে ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন এবং স্বেচ্ছাসেবক ব্রিগ্রেডের সদস্যদের সঙ্গে মত-বিনিময় করেন। তিনি মধ্যরাতে বাসায় যাওয়ার সময় বলে যান- তিনি খুব সকালেই চলে আসবেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ভোররাতে কিছু বিপথগামী সৈন্য বঙ্গবন্ধুর বাসায় আক্রমণ করলে তাদের গুলিতে দু’জন পুলিশ সদস্য আহত হয় এবং আর্তচিৎকার করতে থাকে। এ সময় পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে শেখ কামাল দ্বিতীয় তলা থেকে নীচ তলার অভ্যর্থনা কক্ষে পৌঁছামাত্র প্রথমেই তাকে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাঙালি জাতির ভাগ্যাকাশে এক মহা-দুর্যোগ নেমে আসে। একে একে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ শেখ কামাল রাজধানীর বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়