মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ ||
বৈশাখ ৩০ ১৪৩১
|| ০৫ জ্বিলকদ ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০২২
রাজনৈতিক ক্ষেত্রে শেখ কামালের নেতৃত্ব ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ৬-দফা, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ১১-দফা এবং অসহযোগ আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। ’৬৬-এর ৬-দফা আন্দোলনের সময় যখন বঙ্গবন্ধুকে খান সেনাদের হাতে গ্রেফতার হতে হয়েছিল, তখন জেল থেকে বঙ্গবন্ধুর গোপন নির্দেশনা অনুযায়ী শেখ কামাল জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তৎকালীন ঢাকা শহরের ৪৪টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে সংগঠিত করেছিলেন। শেখ কামালের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের কর্মীরা ১৯৬৮ সালে ঢাকা কলেজে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র সম্মেলনের প্রধান অতিথি তৎকালীন পাকিস্তানের গভর্নর মোনায়েম খানকে কালো পতাকা প্রদর্শন করেছিল। ১৯৬৯ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারি রাতে পাকিস্তানিদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ঢাকা কলেজের নর্থ হোস্টেলের সামনে একটি শহিদ মিনার প্রস্তুত করেন। সেখানে সকল ছাত্ররা মিলে খুব সকালে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন এবং প্রভাত ফেরিতে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭০-এর অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে শেখ কামাল গোপন অস্ত্র-প্রশিক্ষণের নেতৃত্ব দিতেন। শেখ কামাল তার বড় বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে ১৯৭০-এর নির্বাচনে মুসলিম লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত সূত্রাপুর-কোতোয়ালিতে আওয়ামী লীগ তথা বঙ্গবন্ধুর পক্ষে প্রতিনিয়তই নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন। যার ফলে মুসলিম লীগের খাজা খায়রুদ্দিনকে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন। শেখ কামাল ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য। সদ্য স্বাধীন দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে অস্থিতিশীল করবার উদ্দেশ্যে ছাত্রলীগের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করা হয়। সে সময় শেখ কামালের সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতার কারণে তিনি ছাত্রলীগকে পুনর্গঠিত করতে সমর্থ হন এবং সংগঠনকে আগের চেয়ে আরো শক্তিশালী করেন।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়