শেখ রাসেল এক অবিকশিত সম্ভাবনার ইতিহাস
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৪ নভেম্বর ২০২১
১৮ অক্টোবর, শেখ রাসেলের জন্মদিন। ১৯৬৪ সালের এমন এক হেমন্তের মৃদু শিশিরস্নাত রাতে মুজিব দম্পতির ঘরে জন্ম হয়েছিল এক শিশুর। তার নাম রাখা হয়েছিল রাসেল। বঙ্গবন্ধু ছিলেন পৃথিবীবিখ্যাত দার্শনিক-চিন্তাবিদ-শান্তি আন্দোলনের সক্রিয় সংগঠক রার্ট্রান্ড রাসেলের ভক্ত। রাসেলের লেখা তিনি পড়তেন। রাসেলকে নিয়ে বেগম মুজিবের সঙ্গে আলোচনাও করতেন। বেগম মুজিব গৃহবধূ হয়েও যে প্রখর রাজনৈতিক প্রজ্ঞাসম্পন্ন হয়ে উঠেছিলেন, তার পেছনেও ছিল বঙ্গবন্ধুরই অবদান। বঙ্গবন্ধুর কাছে শুনে শুনে বেগম মুজিবও হয়ে উঠেছিলেন রাসেলভক্ত। আর সে কারণেই হয়তো কনিষ্ঠ সন্তানের নাম রেখেছিলেন রাসেল। মনে হয়তো প্রচ্ছন্ন আশা ছিল তাদের ছোট ছেলেটিও যদি বার্ট্রান্ড রাসেলের মতো যশস্বী-মনস্বী হয়ে ওঠে।
বঙ্গবন্ধুর পরিবারের বাগান শোভিত করে যে পুষ্পকলি মেলেছিল, তা প্রস্ফূটিত হওয়ার আগেই একদল পাষণ্ড সব তছনছ করে দিল। ফুলটি ফুটতে পারল না। সৌরভ ছড়াতে পারল না। শেখ রাসেলের জন্মগ্রহণের সময়টি বাংলাদেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ ইতিহাসের জন্য এবং বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের জন্যও এক গুরুত্বপূর্ণ কাল। বঙ্গবন্ধুর বয়স তখন ৪০। তিনি তখন রাজনৈতিক মঞ্চে আরোহনের জন্য একটির পর একটি সিঁড়ি ভাঙছেন। তাঁর সময়ের অন্য সব বাঙালি নেতার আপসকামিতা-ভীরুতার বিপরীতে তিনি এক আপসহীন সাহসী মানুষ হিসেবে জনগণের কাছে পরিচিত হয়ে উঠছেন। শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু তাকে পরাভূত করতে পারছে না। রাসেলের জন্মের পরের বছরগুলোই বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের প্রকৃত উত্থানপর্ব।
১৯৬৬ সালে ছয় দফা কর্মসূচি ঘোষণা, ১৯৬৮ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, পরের বছর ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান, কারামুক্তি, বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত, ১৯৭০-এর নির্বাচনে ঐতিহাসিক গণরায় লাভ এবং সবশেষে মুক্তিযুদ্ধ। স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়। এই তোলপাড় করা সময়েই শিশু রাসেলের হাঁটি হাঁটি পা পা করে বেড়ে ওঠা। পিতার স্নেহ-সান্নিধ্য তেমন না পেলেও পিতার জনগণ অধিনায়ক হয়ে ওঠা দেখেছে শিশু রাসেল। তার মানস গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখছিল ওই টালমাটাল সময়কাল।
পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্য হওয়ায় রাসেল স্বাভাবিকভাবেই সবার চোখের মণি হয়ে উঠেছিল। বঙ্গবন্ধু সরকারপ্রধান হওয়ার পরও শিশু রাসেল তাঁর সঙ্গলাভ থেকে বঞ্চিত হয়নি। দেশে কিংবা দেশের বাইরে বঙ্গবন্ধু রাসেলকে সঙ্গী করে আনন্দ পেতেন। এই ছোট ছেলেটিকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর মনে এবং চোখে ছিল অন্যরকম স্বপ্ন-কল্পনা। রাসেলকে বঙ্গবন্ধু গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন তার হৃদয় উজাড় করা ভালোবাসা দিয়ে। কিন্তু হায়েনার দল তাঁর স্বপ্নপূরণ করতে দিল না। ঘাতকরা সপরিবারে মুজিব পরিবারকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথও আইন করে বন্ধ করা হয়েছিল। ঘাতকদের দায়মুক্তি দেয়া হয়েছিল। হত্যা, শিশু ও নারী হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ করার পরও যাদের বিচারের আওতায় আনা যায়নি, তারা একটা সময় পর্যন্ত সদম্ভে আস্ফালন করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। রাসেলের বড় বোন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়ে পঁচাত্তরের খুনিদের বিচারের আওতায় এনেছেন। শিশুদের সুরক্ষা দেয়া যে রাষ্ট্রের কর্তব্য সেটা প্রতিষ্ঠিত করার পথে দেশ অগ্রসর হচ্ছে।
শেখ রাসেল পৃথিবীর আলো দেখার সময় সম্ভবত আগে দেখেছিল ‘হাসু আপু’র মুখ। শেখ হাসিনার আদর-স্নেহেই বড় হয়ে উঠছিল রাসেল। এটা বুঝতে কষ্ট হয় না যে, রাসেল হয়ে উঠেছিল শেখ হাসিনার ‘কলিজার টুকরা’। এই ভাইটিকে হারানোর দুঃসহ বেদনা যে ভোলার নয়! এই দুঃখভার বুকে নিয়ে, উদ্গত কান্না চেপে দেশ পরিচালনার গুরুদায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে তাকে। আজ যারা বিচারহীনতার কথা বলে, যারা আইনের শাসন নিয়ে কুম্ভীরাশ্রু বর্ষণ করে তারা কিন্তু রাসেল হত্যার বিচার বন্ধের বিরুদ্ধে টুঁ শব্দ করেননি। আমরা এখন কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে চিন্তা করছি, কাজ করতে পারছি। শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে হয়তো তিনিও সামিল হতেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে। ভিশন ২০২১, ২০৩০, ২০৪১, ডেল্টা প্ল্যান, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব নিয়ে তার বোন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয় এখন যেমন দেশের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন, বেঁচে থাকলে তিনিও নিঃসন্দেহে নিজেকে দেশের জন্য নিয়োজিত রাখতেন।
তিনি হয়তো বিজ্ঞানী অথবা জাতির পিতার মতো বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার কাণ্ডারী হতেন। কিংবা হতে পারতেন বার্ট্রান্ড রাসেলের মতোই স্বমহিমায় উজ্জ্বল বিশ্বমানবতার প্রতীক। শিশু রাসেল-কে হত্যা করার মধ্য দিয়ে ঘাতকরা মানব সভ্যতার ইতিহাসে জঘন্যতম অপরাধ করেছে। এ ধরনের নিষ্ঠুর ‘মার্সি কিলিং’ শুধু রাসেলের জীবনকেই কেড়ে নেয়নি, সেই সঙ্গে ধ্বংস করেছে তার সব অবিকশিত সম্ভাবনাও।
মানবাধিকার রক্ষার নামে যারা বিভিন্ন সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে আঙুল তোলেন। সমালোচনায় তুলেন বিতর্কের ঝড়। আজ পর্যন্ত সেই সুশীল সমাজের কয়জন শিশু রাসেল হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে কথা বলছেন? বিচার চেয়েছেন সেই হত্যাকান্ডের?
ইতিহাসের খলনায়ক জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা করে বিভিন্ন দূতাবাসে পদায়ন করেছেন খুনিদের। সেই জিয়াউর রহমানের বিচার দাবি করেছেন বা সমালোচনা করেছেন ক’জন মানবাধিকার নেতা? সেই দিন মানবাধিকার ছিলো প্রশ্নবিদ্ধ। বঙ্গবন্ধুর হত্যার নীল নকশাকারী ও নেপথ্য কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচন আজ সময়ের দাবি, ঠিক তেমনি শিশু রাসেলের হত্যাকারীদের মুখোশ উন্মোচন করা হোক।
শিশু রাসেল আজ শিশু অধিকার আদায়ের প্রতীক। যখনই গণমাধ্যমে শিশু নির্যাতন বা হত্যার খবর প্রকাশিত হয়, আমাদের চোখে ভেসে ওঠে রাসেলের প্রতিচ্ছবি। আমরা চাই শিশুর অধিকার, তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য ও বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিত করার পাশাপাশি শিশু নির্যাতন বন্ধের কার্যকরী পদক্ষেপ নেবেন সরকার । শিশুদের অধিকার আদায়ের প্রতীক হয়ে সবার মাঝে বেঁচে থাক শেখ রাসেল। শেখ রাসেলের শুভ জন্মদিনে এমন প্রত্যাশা সকলের।
লেখকঃ মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ
- বান্দরবানে জিপিএ-৫, ১০০ জন,এগিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজ
- দেশের কল্যানে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই-বীর বাহাদুর
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আরকান বিদ্রোহীর গুলিতে বাংলাদেশী নিহত
- জলাধার ঠিক রেখে স্থাপনা নির্মাণ করতে হবে
- হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
- ডেঙ্গু ঠেকাতে এবার মাস্টারপ্ল্যান
- বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হতে হবে পারস্পরিক কল্যাণের ভিত্তিতে স্থায়ী বন্ধন
- ইউরোপে নতুন শ্রমবাজার সার্বিয়া
- ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন এবার চলবে পদ্মা সেতু দিয়ে
- নাগরিকত্ব সনদ ছাড়াই এনআইডি করতে পারবে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশিরা
- লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি বোরো উৎপাদন
- মাদকপাচার রোধে আসছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ভাতা বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু
- সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতা বাড়ছে বাজেটে
- অবৈধ অভিবাসী প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে ‘নিরাপদ’ ঘোষণা ইতালির
- নাথান বম এখন কোথায়, কেএনএফের শক্তির উৎস কী
- কেএনএফের বিরুদ্ধে বম সম্প্রদায়ের নেতাদের কঠোর হুঁশিয়ারি
- জনগণের জন্য কাজ করবো - বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি
- অনাবাদি জমি সমবায়ের মাধ্যমে চাষ করুন
- নতুন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- বন্যা নিয়ন্ত্রণে ব্রহ্মপুত্রের পূর্বাভাস জানাবে চীন
- সম্পর্ক জোরদার করতে আসছেন ডোনাল্ড লু
- অনুমোদনহীন ক্যানটিন-ফার্মেসি বন্ধের নির্দেশ
- স্বাধীন ফিলিস্তিন গঠনের পক্ষে বাংলাদেশসহ ১৪৩ দেশের ভোট, জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস
- মালয়েশিয়ায় বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পাসপোর্ট পাবেন বাংলাদেশিরা
- বর্জ্য দিয়ে উৎপাদন হবে বিদ্যুৎ পরিচ্ছন্ন হবে ঢাকা নগরী
- এমভি আবদুল্লাহ বঙ্গোপসাগরে, সোমবার পৌঁছাবে কক্সবাজারে
- নতুন অর্থবছরে সব ধরনের কর হিসাব হবে স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে
- আর্তমানবতার সেবায় রেডক্রিসেন্ট সর্বদাই নিয়োজিত - বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি
- কোনো শক্তি আমাকে জনগণ থেকে দূরে সরাতে পারবে না
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বান্দরবানে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত ৩ জন
- অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে- জেলা প্রশাসক
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলে কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হবে - বান্দরবান জেলা প্রশাসক
- নাথান বম এখন কোথায়, কেএনএফের শক্তির উৎস কী
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরছেন
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- বান্দরবান সদরে আব্দুল কুদ্দুছ আলীকদমে জামাল উদ্দীন চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- আর্তমানবতার সেবায় রেডক্রিসেন্ট সর্বদাই নিয়োজিত - বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি
- বান্দরবানে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ
- ড. ওয়াজেদ কর্মের জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন : প্রেসিডেন্ট
- রুমায় সেনা অভিযানে দুই কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত