সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||
জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১
|| ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২
স্বপ্নের পদ্মা সেতু খুলে দেয়া হবে আগামী জুনে। তবে কত তারিখে উদ্বোধন হবে, তা ঠিক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ কথা জানিয়েছে সেতু কতৃর্পক্ষ। উদ্বোধনের জন্য পদ্মা সেতুতে চলছে সমাপ্তি পর্যায়ের কাজ। যা শেষ হবে আগামী মে মাসের মধ্যেই। কুয়াশায় মোড়ানো পদ্মা। নিস্তরঙ্গ শান্ত নদীর বুকে দূর থেকে ভেসে ওঠে কোটি মানুষের স্বপ্ন। দৃশ্যমান ৬ দশমিক এক-পাঁচ কিলোমিটারের পুরো পদ্মা সেতু। যাত্রা শুরু ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে। কথা ছিল উদ্বোধন হবে ২০১৮ সালে। কিন্ত কাজ শুরুর পর একের পর এক প্রতিবন্ধকতা। অবশেষে সব ধাঁধা জয় করে পদ্মা সেতু এখন উদ্বোধনের দ্বারপ্রান্তে। সরকারে ঘোষণা অনুযায়ী জুনেই খুলে দেয়া হবে এই সেতু। প্রকল্প পরিচালক বলছেন, এখন সেতুর কাজে বড় কোনো জটিলতা নেই। তবে, এখনো মূল সেতুতে আটটি এক্সপাংশন জয়েন্টের মধ্যে তিনটির কাজ বাকি রয়েছে, যা শেষ হবে এ মাসেই। বাকি কাজও আগামী তিন মাসের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা সেতু কর্তৃপক্ষের। জানুয়ারি পর্যন্ত এ প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯০.৫, মূল সেতু ৯৬.২৫ এবং নদী শাসনের অগ্রগতি হয়েছে ৮৮ ভাগ। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে পদ্মা সেতু পরিদর্শন করেছেন। এ খবরে উচ্ছ্বসিত দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত সেতুটির উদ্বোধনের অপেক্ষায় এই জনপদের মানুষ। এর আগে, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছিলেন, ৩০ জুন বা এর আশপাশের সময়ে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে বলে আশা করছে সরকার। পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মূল সেতুর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুতে ২ হাজার ৯১৭টি রোড ওয়ে স্ল্যাব এবং ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হয়েছে। বর্তমানে সেতুতে কার্পেটিং, ভায়াডাক্টে কার্পেটিং, ওয়াটারপ্রুফ মেমব্রেন (পানিনিরোধক), মূল সেতুর মুভমেন্ট জয়েন্ট, ভায়াডাক্টের মুভমেন্ট জয়েন্ট, ল্যাম্পপোস্ট, অ্যালুমিনিয়াম রেলিং, গ্যাসের পাইপলাইন, ৪০০ কেভিএ বিদ্যুৎ ও রেললাইনের কাজ চলমান। সেতু নির্মাণের মোট বাজেট ৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যয় করা হয়েছে ২৬ হাজার ৬৫৮ দশমিক ৩১ কোটি টাকা। পদ্মা সেতু দ্বিতলবিশিষ্ট। এর ওপর দিয়ে চলাচল করবে যানবাহন, নিচ দিয়ে চলবে রেল। সেতুটি চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে। দক্ষিণের মানুষ এখন সেতুটি চালুর অপেক্ষায়।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়