সরকারীকরণ হচ্ছে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৩ মে ২০২৪
জাহানারা ইমাম বাঙালির স্বাধিকার ও আদর্শ প্রতিষ্ঠার লড়াই-সংগ্রামে অনুপ্রেরণার উৎস। তিনি কোনো রাজনীতিবিদ ছিলেন না। তবুও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ দেশের নানা ক্রান্তিলগ্নে তাঁর উপস্থিতি ছিল অগ্রভাগে। একাত্তরের ঘাতক দালালবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী, শিক্ষাবিদ, কথাসাহিত্যিকসহ তাঁর নানা পরিচয় থাকলেও ‘শহীদ জননী জাহানারা ইমাম’ নামেই তিনি সমধিক পরিচিত।
আজ তাঁর ৯৫তম জন্মদিন। ১৯৯৪ সালের ২৬ জুন তিনি মারা যান। মৃত্যুর ৩০ বছর পর সরকারিভাবে শহীদ জননীর স্মৃতি সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ জন্য ২০০৭ সালের জুনে ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডে জাহানারা ইমামের বাড়িতে পারিবারিক উদ্যোগে গড়ে তোলা ‘শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর’ আত্তীকরণ করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার জাতীয় জাদুঘরে বিশেষ অনুষ্ঠান হবে। এতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীসহ বিশিষ্টজন উপস্থিত থাকবেন।
জানা যায়, আত্তীকরণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর’-এর সমুদয় তত্ত্বাবধান গ্রহণ করবে জাতীয় জাদুঘর। ইতোমধ্যে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘরের স্থাবর সম্পত্তির (ফ্ল্যাট ও অন্যান্য স্মৃতিচিহ্ন) দলিল জাতীয় জাদুঘরকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। দলিল হস্তান্তর করবেন জাহানারা ইমামের সন্তান প্রবাসী সাইফ ইমাম জামী।
এ ব্যাপারে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক সমকালকে বলেন, ‘শহীদ জননী জাহানারা ইমামের কর্মময় জীবন তরুণদের অনুপ্রাণিত করে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তাঁর স্মৃতি সংরক্ষণ করা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। সরকার সেই উদ্যোগই বাস্তবায়ন করছে।’
জাহানারা ইমাম ছিলেন ঊনসত্তরের গণআন্দোলনের সক্রিয় কর্মী। মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে তাঁর সন্তান রুমী আর ফেরেননি; স্বামীও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে শহীদ হন। এর পরও তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দিয়েছেন, পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। একটুও দমে যাননি।
১৯৭৫ সালে স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের হাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ হয়ে যায়। এর পর জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ১৯৯২ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি বেগবান হয়ে ওঠে। তরুণ সমাজকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি আদায়ে তিনি ঐক্যবদ্ধ করেন। তখন প্রতীকী গণআদালতে বিচারের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করা হয়। যার ধারাবাহিকতায় দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দ্বার উন্মুক্ত হয় ২০১০ সালে। শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে ২০১৩ সালে তরুণ প্রজন্ম ঢাকার শাহবাগে সমবেত হয়। তখনও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি আদায়ের আন্দোলনে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন জাহানারা ইমাম। তাঁর ছবিসদৃশ বিলবোর্ড ও প্ল্যাকার্ড স্থান পেয়েছিল শাহবাগ চত্বরে।
রাজধানীর পুরোনো এলিফ্যান্ট রোডে ইস্টার্ন মল্লিকা থেকে একটু সামনেই গড়ে উঠেছে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ‘কণিকা’ নামের বাড়িটির নামকরণ জাহানারা ইমামেরই করা। ২০০৩ সালে মূল বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয়। তারপর সেখানে গড়ে ওঠে বহুতল ভবন। ২০০৭ সালে ওই ভবনের দোতলায় জাদুঘরটি গড়ে তোলা হয়েছে। জাহানারা ইমামের ছোট সন্তান সাইফ ইমাম জামী এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক। তিনি শুভানুধ্যায়ীদের নিয়ে জাদুঘরটি সাজিয়েছেন।
বর্তমানে জাদুঘরের তত্ত্বাবধানে আছেন ফরিদা ইয়াছমিন। তিনি বলেন, জাদুঘরে জাহানারা ইমাম-সংশ্লিষ্ট পাঁচ হাজারের বেশি বই-পুস্তক রয়েছে। স্মৃতিচিহ্ন রয়েছে দুই হাজারের বেশি।
জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘শহীদ জননী জাহানারা ইমামের স্মৃতিবিজড়িত জাদুঘরটি জাতীয় জাদুঘরের তত্ত্বাবধানে আত্তীকরণ করা হচ্ছে। ফলে জাতীয় জাদুঘরই এর সব দায়ভার গ্রহণের পাশাপাশি রক্ষণাবেক্ষণ করবে।
- ড্রামভর্তি অস্ত্র-বোমার সরঞ্জাম উদ্ধার
- র্যাবের হাতে আটক কেএনএফ এর ২ সদস্য কারাগারে
- জনগণ ও বাস্তবতা বিবেচনায় পরিকল্পনা প্রণয়ন করুন
- ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে: শেখ হাসিনা
- সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক শেখ হাসিনা :কাদের
- আম নিতে চায় রাশিয়া-চীন
- মূল্যস্ফীতি হ্রাসই লক্ষ্য
- সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হলেই সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার: নির্বাচন কমিশনার
- স্মার্ট দেশ গড়ার মাধ্যমে এসডিজির অভীষ্ট অর্জন
- যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
- কর আদায়ে বহুতল ভবন নির্মাণে আগ্রহী এনবিআর
- সবাই নিশ্চিত থাকেন ভোট সুষ্ঠু হবে- নাইক্ষ্যংছড়িতে বান্দরবান পুলিশ সুপার
- কেএনএফ এর জন্য নতুন নারী সদস্য রিক্রুট করতো র্যাবের হাতে আটক আকিম বম
- কেএনএফ এর নারী শাখার অন্যতম সমন্বয়ক আটক
- থানচি উপজেলার দুর্গম থুইসা পাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড
- শূন্য পদ ৪২ টি! চিকিৎসা সংকটে থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
- নাইক্ষ্যংছড়ি ৮টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ সরঞ্জাম উদ্ধার
- জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নিহত ১
- কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনার ওপর জোর প্রধানমন্ত্রীর
- নারীবান্ধব শিক্ষানীতির কারণে মেয়েরা এগিয়ে: প্রধানমন্ত্রী
- সেমিকন্ডাক্টর খাতে ১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের সম্ভাবনা
- রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না
- বিপিসির এলপি গ্যাস বটলিং প্ল্যান্ট আধুনিকায়ন, জুনে চালু
- প্রত্যাশা নতুন অধ্যায়ের
- ২-৩ বছরের মধ্যে মহাকাশে যাবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট
- রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ১১০ বিলিয়ন ডলার
- একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ
- একক গ্রাহকের ঋণসীমা অতিক্রম না করতে নির্দেশ ব্যাংকগুলোকে
- দেশি শিং মাছের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচনে সফলতা
- বান্দরবানে ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বান্দরবানে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত ৩ জন
- অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে- জেলা প্রশাসক
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলে কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হবে - বান্দরবান জেলা প্রশাসক
- নাথান বম এখন কোথায়, কেএনএফের শক্তির উৎস কী
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরছেন
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- বান্দরবান সদরে আব্দুল কুদ্দুছ আলীকদমে জামাল উদ্দীন চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- শূন্য পদ ৪২ টি! চিকিৎসা সংকটে থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
- আর্তমানবতার সেবায় রেডক্রিসেন্ট সর্বদাই নিয়োজিত - বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি
- বান্দরবানে জিপিএ-৫, ১০০ জন,এগিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজ
- বান্দরবানে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ