শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||
জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১
|| ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০১৮
বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নতি প্রশংসা করতে গিয়ে দ্য ইকোনমিস্ট লিখেছে –
‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় নানা দিক থেকেই বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় রোল মডেলে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। গত এক দশকে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল গড়ে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ হারে। গত বছর তা ভারত ও পাকিস্তানকেও ছাড়িয়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৩ শতাংশে। মোট দেশজ উৎপাদনেও (জিডিপি) বাংলাদেশ অনেকখানি এগিয়ে গেছে। শিশুমৃত্যুর হার কমানো এবং মাধ্যমিকে ভর্তির হার ও গড় আয়ু বৃদ্ধিসহ অনেক দিক দিয়ে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ’।
বাংলাদেশের রাজনীতির প্রশংসা করতে গিয়েও তারা আওয়ামী লীগকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। তারা লিখেছে – ‘এক সপ্তাহ আগেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মানুষের চিন্তাভাবনা অন্যরকম ছিলো। অনেকেই মনে করছিলো, আগামী নির্বাচনে খুব বেশি ভোট পড়বে না। নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠবে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবারও যেভাবেই হোক নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করতে চাইবে। কিন্তু হঠাৎ করেই দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। পরিবর্তিত এই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মানুষ আশা করছে, ডিসেম্বরের নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হতে পারে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মূল বৈশিষ্ট্য হলো ‘পেলে সব পেতে হবে, নইলে মোটেই না।‘ ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক সহিংসতায় শুধু ভোট গ্রহণের দিন নিহত হয় ১৮ জন। একশ’র বেশি ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ করা হয়। তবে এবারের চিত্র ভিন্ন। কঠোর অবস্থানে থাকা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ হঠাৎ করেই নমনীয় হয়। তারা ঐক্যফ্রন্টসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করে। ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে দুই দফায় সংলাপ হয়। এই জোটের দাবিগুলোর অন্যতম হলো দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে থাকা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন এবং নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সংলাপের পর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঐক্যফ্রন্টের দাবিগুলো বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে সংবিধান লঙ্ঘন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা সম্ভব নয়।’
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়