ডলার সরবরাহ বাড়ছে
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৫ মার্চ ২০২৩
রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয় বাড়ায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় টানা তিন মাস ধরে বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ বাড়ছে। গত বছরের ডিসেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ এক শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে এলসি খোলার হার। ফলে অস্থিতিশীল মুদ্রাবাজারে দিন দিন উন্নতি হচ্ছে। তবে সংকট এখনো কাটেনি। ব্যাংকাররা বলেছেন, রপ্তানি ও বৃদ্ধি এবং আমদানি কমার ফলে বৈদেশিক মুদ্রাবাজার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে ব্যাংকগুলোকে যেভাবে ডলার সরবরাহ বেড়েছে, তা বাজারের চলমান ডলার সংকটের উন্নতির জন্য যথেষ্ট নয়। কারণ ডলারের ধারণক্ষমতা যা বেড়েছে, তা মাত্র কয়েকটি ব্যাংকের কাছে। এখনো অনেক ব্যাংকের ডলারের সংকট রয়েছে। ফলে এসব ব্যাংক আমদানি বিল পরিশোধের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর বেড়ে যায় জ্বালানি তেলের দাম। এর সঙ্গে বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের দামও বেড়ে যায়। ফলে গত বছরের এপ্রিলে দেশে যে পরিমাণ রপ্তানি ও প্রবাসী আয় হয়, আমদানি খরচ হয় তার চেয়ে প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার বেশি। এতেই ডলারের সংকট শুরু হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দাম আটকে রেখে সংকটকে আরও উসকে দেয়; পাশাপাশি সরকার জ্বালানি তেল ও খাদ্য আমদানি দায় মেটানোর জন্য রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে টাকার অবমূল্যায়ন করে ধীরে ধীরে ডলারের দাম বাড়ানো শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। আমদানি কমাতে কিছু পণ্যের ওপর ঋণ বন্ধ করে দেয়া হয়। কিছু পণ্য আমদানিতে শতভাগ মার্জিন দেওয়া হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডও কিছু পণ্য আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্কারোপ করে। ফলে ঋণপত্র খোলা কমে গেছে। তবে ডলারের সংকট পুরোপুরি না কাটলেও দিন দিন পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে। এর মূল কারণ রপ্তানি ও রেমিটেন্স ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে, কমছে আমদানি।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর থেকে রপ্তানি ও রেমিটেন্স ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। নভেম্বরে ৫০৯ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ৫৩৭ কোটি ডলার, চলতি জানুয়ারিতে ৫১৩ কোটি ডলার ও ফেব্রুয়ারি মাসে ৪৬৩ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়। ফলে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) তিন হাজার ৭০৭ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে কমতে থাকা প্রবাসী আয় বাড়তে শুরু করে গত বছরের নভেম্বর মাসে। ওই মাসে ১৫৫ কোটি ডলারের রেমিটেন্স আসে। ডিসেম্বর ১৬৮ কোটি ডলার ও জানুয়ারিতে আসে ১৯৫ কোটি ডলার। ফেব্রুয়ারিতে কিছুটা কমে রেমিটেন্স আসে ১৫৬ কোটি ডলার। এছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে নতুন এলসি খোলা ২৫ শতাংশ কমেছে। ফলে ভোগ্যপণ্য, মূলধনি যন্ত্রপাতি, শিল্পের কাঁচামাল, মধ্যবর্তী পণ্য, পেট্রোলিয়ামসহ বিভিন্ন পণ্যে আমদানির প্রভাব পড়েছে। এসব পণ্য আমদানি কম হওয়ায় জিনিসপত্রের দাম অনেক বেড়ে গেছে। সাত মাসে নতুন এলসি খোলা হয় তিন হাজার ৯৪৬ কোটি ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময় ছিল পাঁচ হাজার ২৪৭ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় গত ডিসেম্বরে ৪৭৯ কোটি ডলার ছিল। জানুয়ারিতে বেড়ে ৪৮৪ কোটি ডলারে উন্নতি হয়েছে। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে ব্যাংকগুলোতে ১ দশমিক ১১ শতাংশ ডলার ধারণ ক্ষমতা বেড়েছে। বিদেশের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশী ব্যাংকগুলোর নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট ও ব্যাংকগুলোর বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে রক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রা (এফসি) হিসাবে এ ডলার জমা থাকে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বলেন, রপ্তানি ও রেমিটেন্স বাড়ার ফলে বৈদেশিক মুদ্রাবাজার পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে, যা ব্যাংকগুলোর ডলার ধারণ পরিস্থিতি দেখলে বোঝা যায়। এজন্য এখন এলসি খোলা বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক এলসি খোলার সংকট না থাকার কথা বললেও ব্যবসায়ীরা এখনো কাক্সিক্ষত এলসি খুলতে না পারার কথা বলছেন। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের এক মতবিনিময় সভায় প্রতিনিধিরা জানান, বিভিন্ন পর্যায়ে ছোটাছুটির পরও এখনো তারা আশানুরূপভাবে এলসি খুলতে পারছেন না। এলসি খোলা গেলেও সময়মতো দায় নিষ্পত্তি না হওয়ায় পণ্য খালাসে দেরি হচ্ছে। এতে তাদের জরিমানা গুনতে হচ্ছে। যদিও পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানান তারা।
ডলার-সংকটের কারণে গত এপ্রিল থেকে নিয়মিতভাবে ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে গত বুধবার পর্যন্ত ৯ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ডলার বিক্রির ফলে রিজার্ভ কমে ৩২ দশমিক ৬০ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। তবে যে পরিমাণ ঘাটতি ছিল, সেই পরিমাণ ডলার বিক্রি করেনি। ফলে ব্যাংকগুলো বেশি দাম দিয়ে বিদেশ থেকে প্রবাসী আয় আনতে শুরু করে। এতে ডলারের দাম হু-হু করে বেড়ে যায়। গত এপ্রিলে ডলারের দাম ছিল ৮৫ টাকা। এখন ব্যাংকগুলোয় সর্বোচ্চ ১০৭ টাকায় ডলার বিক্রি হচ্ছে। ডলারের দামের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব দেয়া হয় ব্যাংকগুলোকে। অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) রপ্তানিতে ডলারের দাম এখন ১০৩ টাকা এবং প্রবাসী আয় ১০৭ টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, যেসব ব্যাংকে ডলারের বড় অংশ রয়েছে, তারা অন্য ব্যাংককে ডলার দিতে নারাজ। ফলে আন্তঃব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার বাজার অকার্যকর হয়ে পড়ে। পরিস্থিতির আরও উন্নতি ছাড়া আন্তঃব্যাংক লেনদেন কার্যকর করা সম্ভব হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে ব্যাংকগুলোর কাছে ৪৮৮ কোটি ডলার ছিল। আগস্টে ৫০১ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বর ৪৯০ কোটি ডলার, অক্টোবরে ৪৫০ কোটি ডলার এবং নভেম্বরে ৪৭০ কোটি ডলার ছিল। চলতি অর্থবছরের সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) যে পরিমাণ ডলার ধারণক্ষমতা ছিল ব্যাংকগুলোর কাছে, তা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১ দশমিক ৫১ শতাংশ কম।
জানতে চাইলে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ব্যাংকগুলোর আমদানির পেমেন্টের বড় একটা চাপ ছিল। এখন সে চাপটা কমে গেছে। এছাড়া রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয় বাড়ছে। তাই বৈদেশিক মুদ্রাবাজার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ফলে ব্যাংকগুলোয় ডলার সরবরাহ পরিস্থিতি দিন দিন বাড়ছে। আশা করছি, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারের পরিস্থিতি ভালো অবস্থানে যাবে।
- সীমান্ত সড়ক পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে
- বান্দরবানে অনূর্ধ্ব ১৫ সাঁতার প্রশিক্ষণের উদ্বোধন
- অন্যের জায়গায় হুমকি দিয়ে পাহাড় কেটে পুকুর খননের অভিযোগ
- দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহবান
- মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত না হলে আসামিকে কনডেম সেলে নয়
- প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রায় বাস্তবতার ছাপ
- শেষ হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ ৩৩৪ প্রকল্প
- বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এগিয়ে নিতে কাজ চলছে
- গেটলক সিস্টেমে যানজটমুক্ত মহাখালী
- সবাইকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু ও তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে
- অবশেষে দেশের মাটিতে নোঙর করেছে এমভি আবদুল্লাহ
- বস্তিবাসীর জন্য ফ্ল্যাট বানাবে সরকার
- সব হাসপাতালের লিফটের সেফটি পরীক্ষার নির্দেশ
- বান্দরবানে উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে মসজিদ ও মন্দিরের সম্প্রসারণ
- রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দুঃসাহসিকতা দেখিয়ে কোন সন্ত্রাসী পার পাবে না- বিজিবি মহাপরিচালক
- কিশোর গ্যাংয়ে জড়ানোর কারণ খুঁজতে হবে
- বাংলাদেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কেন্দ্রীয় বাজার হওয়ার সুযোগ আছে
- ঘরে বসেই হজযাত্রীরা পাবে প্রাক-নিবন্ধন রিফান্ডের টাকা
- দশ দিনে এলো প্রায় ১ হাজার কোটির রেমিট্যান্স
- খেলাপি ঋণের ১% নগদ আদায় করতে হবে
- বাড়তি রাজস্ব সংগ্রহে করছাড় ও অব্যাহতি কমাবে এনবিআর
- কোরবানির চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করবে সরকার
- ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে কৃষক অ্যাপ চালু করা হয়েছে : কৃষিমন্ত্রী
- নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আসছে ৯ টাকা ইউনিটে
- একীভূত হতে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করল বিডিবিএল
- ভোটার বাড়ানোর নির্দেশ ইসির
- বান্দরবানে জিপিএ-৫, ১০০ জন,এগিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজ
- দেশের কল্যানে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই-বীর বাহাদুর
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আরকান বিদ্রোহীর গুলিতে বাংলাদেশী নিহত
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বান্দরবানে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত ৩ জন
- অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে- জেলা প্রশাসক
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলে কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হবে - বান্দরবান জেলা প্রশাসক
- নাথান বম এখন কোথায়, কেএনএফের শক্তির উৎস কী
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরছেন
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- বান্দরবান সদরে আব্দুল কুদ্দুছ আলীকদমে জামাল উদ্দীন চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- আর্তমানবতার সেবায় রেডক্রিসেন্ট সর্বদাই নিয়োজিত - বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি
- বান্দরবানে জিপিএ-৫, ১০০ জন,এগিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজ
- বান্দরবানে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ
- ড. ওয়াজেদ কর্মের জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন : প্রেসিডেন্ট