রাজাকারের তালিকা করবেন কমান্ডাররা
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২০
মহান মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডারদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই তৈরি হবে রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর সদস্যদের তালিকা। এর আগে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি দেয়া হলেও তাতে কাঙ্ক্ষিত সাড়া মেলেনি। তাই রাজাকারের তালিকা করতে ডিসিদের নয়, শিগগিরই প্রতিটি উপজেলায় যুদ্ধকালীন কমান্ডারদের চিঠি দেবে সরকার। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ তালিকা প্রণয়ন করবে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। ওই তালিকা চূড়ান্ত করে গেজেট আকারে প্রকাশ করবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ কারণে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০২০-এর খসড়া। তালিকা তৈরির কাজে হাত দেয়ার আগে এ সংক্রান্ত বিধি প্রণয়ন করা হবে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও জামুকার চেয়ারম্যান আ ক ম মোজাম্মেল হক যুগান্তরকে বলেন, ‘রাজাকারের নির্ভুল তালিকা তৈরি করতে জামুকার বিদ্যমান আইন সংশোধন করা হয়েছে। আগের আইনে রাজাকারের তালিকা তৈরি করার কোনো ক্ষমতা ছিল না।’
রাজাকারের তথ্য চেয়ে যুদ্ধকালীন কমান্ডারদের কাছে চিঠি পাঠানো হবে জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ যুগান্তরকে বলেন, ‘গত বছরের ডিসেম্বরে প্রকাশিত রাজাকারের আংশিক তালিকা স্থগিত করার পর এ বিষয়ে তেমন অগ্রগতি নেই। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানের নেতৃত্বে সংসদীয় উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের সুপারিশেই আইন সংশোধন করে রাজাকারের তালিকা করার ক্ষমতা জামুকাকে দেয়া হয়েছে। এর আগে রাজাকারের তথ্য চেয়ে ডিসিদের একাধিক চিঠি দেয়া হলেও কাঙ্ক্ষিত সাড়া মেলেনি। তাই এবার ডিসিদের নয়, রাজাকারের তথ্য চেয়ে প্রতিটি উপজেলার যুদ্ধকালীন কমান্ডারদের চিঠি দেয়া হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই তৈরি করা হবে রাজাকারের তালিকা।’
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলকে রাজাকারের তালিকা করার ক্ষমতা দিয়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০২০’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। পরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর সদস্য হিসেবে কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন বা আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য হিসেবে সশস্ত্র যুদ্ধে নিয়োজিত থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন, তাদের একটা তালিকা প্রণয়ন ও গেজেট প্রকাশের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করবে মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। রাজাকারের তালিকা করার বিষয়টি খসড়া আইনে রাখা হয়েছে। আইনে সব বিষয়ে ডিটেইল করা নেই, এটা রুলস করবে। স্বাধীনতাবিরোধী বলতে কী বোঝাবে, রুলে তা বিস্তারিত বলা থাকবে। আগে আইন হোক, এরপর বিধি করা হবে।’
প্রায় এক দশক আগে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর পর রাজাকারের তালিকা তৈরির দাবি জোরালো হয়ে ওঠে। এর ধারাবাহিকতায় গত বছর বিজয় দিবসের আগের দিন সংবাদ সম্মেলন করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ১০ হাজার ৭৮৯ জন ‘স্বাধীনতাবিরোধীর’ তালিকা প্রকাশ করেন। কিন্তু ওই তালিকায় গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের নাম আসায় ক্ষোভ আর সমালোচনার প্রেক্ষাপটে সংশোধনের জন্য ওই তালিকা স্থগিত করা হয়। এ বছর জানুয়ারিতে সংসদেও এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে। খোদ সরকারি দলের সদস্যরাই এ নিয়ে মন্ত্রী সমালোচনায় মুখর হন। সেসময় মন্ত্রী নতুন করে তালিকা তৈরির কথাও জানান। এরপর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির একটি উপকমিটি ওই তালিকা তৈরির কাজ শুরু করে। তবে জামুকার মাধ্যমে রাজাকারের তালিকা তৈরির বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির। মঙ্গলবার তিনি যুগান্তরকে বলেন, ‘শুধু জামুকার কর্মকর্তাদের মাধ্যমে রাজাকারের তালিকা করলে তা মুক্তিযোদ্ধার তালিকার মতো জগাখিচুড়ি হবে। ১১ বছরেও তারা প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরি করতে পারেনি। রাজাকারের বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষকদের বিভিন্ন বই, সাময়িকী ও লেখা রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন জেলার সুনির্দিষ্ট রাজাকারের তালিকা রয়েছে। সেগুলো জামুকার একটি তথ্যের উৎস হতে পারে। মোট কথা, এই তালিকা প্রণয়নে গবেষকদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। নইলে এর সফলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধে জড়িত চিহ্নিত পাকিস্তানি সেনা ও তাদের দোসরদের বিচার করার উদ্যোগ নেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)। এর প্রাথমিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি পাকসেনা ও তাদের দোসরদের মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের তথ্য চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে ডিসি ও কারা মহাপরিদর্শককে চিঠি দিয়েছিল আইসিটি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কারা মহাপরিদর্শককে দেয়া আইসিটির এক চিঠিতে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ও তাদের সহযোগী শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশের সব এলাকায় যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ, ধর্মান্তরিতকরণ, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধ শেষে দখলদার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদস্যরা আত্মসর্মপণ করে। এ সময় পাকসেনা বাহিনীর কমান্ডার বা অফিসার ও সদস্যদের অনেককেই গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়। সে মোতাবেক তাদের ওই সময় যেসব কারাগারে আটক রাখা হয়েছিল সেখানে তাদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। এমন বিবেচনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এসব পাকসেনার নাম-পরিচয় ও জেলখানার নাম, মামলা নম্বর ও অন্য তথ্যাদি চায় আইসিটি। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সাড়া মেলেনি।
- সীমান্ত সড়ক পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে
- বান্দরবানে অনূর্ধ্ব ১৫ সাঁতার প্রশিক্ষণের উদ্বোধন
- অন্যের জায়গায় হুমকি দিয়ে পাহাড় কেটে পুকুর খননের অভিযোগ
- দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহবান
- মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত না হলে আসামিকে কনডেম সেলে নয়
- প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রায় বাস্তবতার ছাপ
- শেষ হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ ৩৩৪ প্রকল্প
- বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এগিয়ে নিতে কাজ চলছে
- গেটলক সিস্টেমে যানজটমুক্ত মহাখালী
- সবাইকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু ও তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে
- অবশেষে দেশের মাটিতে নোঙর করেছে এমভি আবদুল্লাহ
- বস্তিবাসীর জন্য ফ্ল্যাট বানাবে সরকার
- সব হাসপাতালের লিফটের সেফটি পরীক্ষার নির্দেশ
- বান্দরবানে উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে মসজিদ ও মন্দিরের সম্প্রসারণ
- রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দুঃসাহসিকতা দেখিয়ে কোন সন্ত্রাসী পার পাবে না- বিজিবি মহাপরিচালক
- কিশোর গ্যাংয়ে জড়ানোর কারণ খুঁজতে হবে
- বাংলাদেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কেন্দ্রীয় বাজার হওয়ার সুযোগ আছে
- ঘরে বসেই হজযাত্রীরা পাবে প্রাক-নিবন্ধন রিফান্ডের টাকা
- দশ দিনে এলো প্রায় ১ হাজার কোটির রেমিট্যান্স
- খেলাপি ঋণের ১% নগদ আদায় করতে হবে
- বাড়তি রাজস্ব সংগ্রহে করছাড় ও অব্যাহতি কমাবে এনবিআর
- কোরবানির চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করবে সরকার
- ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে কৃষক অ্যাপ চালু করা হয়েছে : কৃষিমন্ত্রী
- নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আসছে ৯ টাকা ইউনিটে
- একীভূত হতে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করল বিডিবিএল
- ভোটার বাড়ানোর নির্দেশ ইসির
- বান্দরবানে জিপিএ-৫, ১০০ জন,এগিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজ
- দেশের কল্যানে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই-বীর বাহাদুর
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আরকান বিদ্রোহীর গুলিতে বাংলাদেশী নিহত
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বান্দরবানে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত ৩ জন
- অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে- জেলা প্রশাসক
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলে কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হবে - বান্দরবান জেলা প্রশাসক
- নাথান বম এখন কোথায়, কেএনএফের শক্তির উৎস কী
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরছেন
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- বান্দরবান সদরে আব্দুল কুদ্দুছ আলীকদমে জামাল উদ্দীন চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- আর্তমানবতার সেবায় রেডক্রিসেন্ট সর্বদাই নিয়োজিত - বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি
- বান্দরবানে জিপিএ-৫, ১০০ জন,এগিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজ
- বান্দরবানে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ
- ড. ওয়াজেদ কর্মের জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন : প্রেসিডেন্ট