বুধবার ১৫ মে ২০২৪ ||
জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১
|| ০৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০২২
স্বপ্নপূরণ হলো কাতারের। ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে তাদের যে যুদ্ধ ছিল কয়েক বছর ধরে, সে যুদ্ধে জিতেই গেল তারা। পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিল পরিশীলিত ও পরিচ্ছন্ন এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করে। ফিফা বিশ্বকাপ-২০২২ শুরু হয়ে গেছে। আরব বিশ্বের জন্য এর চেয়ে আনন্দের আর কী হতে পারে। আরবে প্রথম বিশ্বকাপের শুরুটা এমন হতে পারে, সেটি কল্পনার অতীত ছিল। প্রায় ৬০ হাজার ধারণক্ষমতার স্টেডিয়াম। সেখানে ফুল হাউস না হলেও ভালোবাসা দিয়ে বিশ্বকাপকে বরণ করে নিয়েছে বিশ্ব।
জীবন-মৃত্যুর মাঝে মানুষ স্বপ্নের মধ্যে বাঁচে। আর সেই স্বপ্নকে তাড়া করে ফেরে সারাটি জীবন। জীবনে জয়-পরাজয় থাকবে। পরাজয়ের পরও বেঁচে থাকে মানুষ। পরের দিন নতুন স্বপ্ন দেখে। কাতারের দোহায় গতকাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে আল বায়াত স্টেডিয়ামের মাঝে চমৎকার নৃত্যুশৈলী দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন আয়োজকরা। এর পর তাদের আঞ্চলিক সংগীত নাচ-গান দিয়ে মোহিত করেন দর্শকদের।
এর আগে কাতারের প্রিন্স এসে পৌঁছান। তার পাশে ছিলেন ফিফার প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফানটিনো। দৃপ্ত পদক্ষেপে তিনি স্টেডিয়ামে আসেন। চমৎকার একটি বিশ্বকাপের আশা ও স্বপ্ন দেখেছিলেন ইনফানটিনো।
এ বিশ্বকাপে ৩২ দল অংশ নিচ্ছে। বেশ কয়েকটি দেশের জার্সিসমেত একটি শোডাউন করেন নৃত্যশিল্পীরা। আরবে প্রথম বিশ্বকাপ। তাদের চ্যালেঞ্জ ছিল। সেই চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, তাদের হাজার বছরের সংস্কৃতি ফুটিয়ে তোলা। সেই উদ্বোধনী আল বায়াত স্টেডিয়ামটি তাঁবুর আদলে করা। যে তাঁবু, উট, বাজপাখি ও বেদুইনের চলাফেরা, সেসব ছিল আকর্ষণের মূল। আরবের আবহ ও কালচার তারা নিজেরা কতটা ধারণ করে সেটিই বুঝিয়ে দিল।
এই বিশ্বকাপের গানটি ‘হায়া! হায়া!’ তবে ১৯৯৮ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত যেসব থিম সঙ ব্যবহার করা হয়, সেসব উদ্বোধনীতে সেকেন্ডের মতো করে সবাইকে স্মৃতিতে টেনে নিয়ে গেছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাঝেই জুব্বা পরিহিত মাস্কটের দেখা পাওয়া যায়। যে সবার ইচ্ছে পূরণ করে।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়