বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ ||
জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১
|| ০৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২১ মে ২০২২
বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নে ৩টি পাড়ার জুমচাষের জমি পুড়িয়ে দেওয়া ও পাড়াবাসীর খাদ্য সংকট নিয়ে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ এর সহযোগিতায় এবং অনন্যা কল্যাণ সংগঠন (একেএস) নামে একটি বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনন্যা কল্যাণ সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক ও মানবাধিকার নেত্রী ডনাই প্রু নেলীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের প্রজেক্ট ম্যানেজার সঞ্জয় মজুমদার, বান্দরবান প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিনারুল হক, ক্ষতিগ্রস্থ পাড়া ডলুছড়ি মৌজার হেডম্যানের পক্ষে সচিব যোহন ত্রিপুরা, পাড়া কার্বারী লাংকম ম্রো, রেংয়েন ম্রো এবং জয়চন্দ্র ত্রিপুরাসহ লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসী এবং সংবাদকর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীরা বলেন, ২৬ এপ্রিল সকালে লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড নামে একটি রাবার কোম্পানী বহিরাগত ১০০ থেকে ২০০জন রোহিঙ্গা শ্রমিক নিয়ে এসে তাদেরকে পাড়া থেকে উচ্ছেদ করতে পরিকল্পিতভাবে জুমে আগুন লাগিয়ে দেয়। জুমে আগুন লাগানোর ফলে তাদের ৩পাড়ার ৩৬টি পরিবার তীব্র খাবার সংকটে পড়ে। তারা আরো বলেন, লামার রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড জমি ইজারা নিয়েছে দাবী করলেও প্রকৃতপক্ষে তাদের ইজারা জমির দলিল আছে কিন্তু তাদের জমি নাই। এছাড়াও ইজারার চুক্তি অনুযায়ী লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের ইজারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়েছে। এসময় তারা যারা পরিকল্পিতভাবে আমাদের জুমে আগুন দিয়েছে তাদের সকলের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ ও লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডে এর অবৈধভাবে দখলকৃত জমি দ্রুত ফেরত দেওয়ার দাবী জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে অনন্যা কল্যাণ সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক ও মানবাধিকার নেত্রী ডনাই প্রু নেলী বলেন, গত ২৬ এপ্রিল রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার সরাই ইউনিয়নের দুটি ম্রো ও একটি ত্রিপুরা পাড়া এলাকায় প্রায় সাড়ে তিনশ একর জুম পাহাড়ে লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজের লোকজন আগুন লাগিয়ে বাগান পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় তিন পাড়ার ৩৬ পরিবারের ২৬০জন মানুষ চরম বিপাকে পড়েন, এই ঘটনায় তোলপাড় হয়। পরে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) এর সহযোগিতায় বান্দরবানের এনজিও সংস্থা একেএস এর চার সদস্যের একটি তদন্ত দল গত ১৭মে সরেজমিন তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, তদন্ত দলের তদন্তে প্রতীয়মান হয় যে, সরই এর ৩পাড়ায় পাহাড়ি জমিতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ জড়িত। তারা অন্যায়ভাবে ও কোনো প্রকার অধিকার ছাড়াই ব্যক্তিগত বন্দোবস্তির জমিকে নিজেদের দেখিয়ে দখলের চেষ্টা হিসেবে এ অগ্নিসংযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলন শেষে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পাড়াবাসীদের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ ও অনন্যা কল্যাণ সংগঠন (একেএস)।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়