স্বাধীনতা সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২১
ড. মিল্টন বিশ্বাসঃ
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা সম্পর্কে ভাবনার চুম্বক অংশসমূহ বিবেচনায় নিলে ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠনে রাজনীতিবিদদের পথ অন্বেষণে সুবিধা হবে। ২৬শে মার্চ ১৯৭৫ সাল। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত জনসভায় জাতির পিতা রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ দুনিয়ায় এসেছে, বাংলাদেশ থাকবে, কেউ একে ধ্বংস করতে পারবে না।’ স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে এদেশের জনগণ বঙ্গবন্ধুর এই কথার সত্যতা খুঁজে পেয়েছে।
১৯৭৫ সালের ১৯শে জুন বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম বৈঠকে দলীয় চেয়ারম্যান হিসেবে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, সবাইকে এক হয়ে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। এই ঐক্যচেতনা এসেছে গভীর উপলব্ধি থেকে। তার মতে, রক্তের বিনিময়ে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু সাড়ে সাত কোটি মানুষ ও ৫৪ হাজার স্কয়ার মাইল ভূখণ্ড ছাড়া আমাদের আর কোনো সম্পদ নেই। তার মতে, ‘আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। আমাদের স্বজন হারানোর অর্থ হলো, আমাদের অর্থনীতির মালিক আমরা এবং আমাদের দেশ সেই সম্পদ ভোগ করব।’ অথচ তার শাসনামলে বিদেশি চক্র এদেশে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিল। তারা এদেশের স্বাধীনতা বানচাল করবার জন্য ষড়যন্ত্র শুরু করে। আর লক্ষ্য সিদ্ধির জন্য বাংলাদেশে চোরাপথে অর্থ আসতে আরম্ভ করে। দেশের মধ্যে শুরু হয় ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ।
স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমরা দুনিয়ার নির্যাতিত পিপলের সঙ্গে আছি, আমরা কারো সঙ্গে শত্রুতা করতে চাই না। আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চাই। আমরা আন্ডারডেভেলপড কান্ট্রি, আমরা বিশ্বে শান্তি চাই। আমরা কারো ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। আমাদের ব্যাপারেও কেউ হস্তক্ষেপ করুক এটা আমরা চাই না।’ তার আমল থেকেই বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য। জোটনিরপেক্ষ গোষ্ঠী, কমনওয়েলথ ও ইসলামি সামিটের সদস্য। ইউএনওর চার্টারে বিশ্বাস করা হয় তখন থেকেই। তার আমল থেকেই সবাই এদেশের বন্ধু। তার কাছে স্বাধীনতার মূল মন্ত্র ছিল—মানুষের মঙ্গল করা, দেশকে গড়ে তোলা। এজন্য সাব-কন্টিনেন্টে একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করে এদেশে ডেভেলপমেন্টের কাজ করতে চেয়েছিলেন তিনি।
স্বাধীনতা বলতে তিনি বুঝেছিলেন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশে শোষণহীন সমাজ গড়তে হবে। এমনকি রাষ্ট্রের সার্বভৌম রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত সেনাবাহিনীকে বসিয়ে রাখার পক্ষপাতী ছিলেন না। তার মতে, ‘আই ওয়ান্ট মাই আর্মি পিপলস্ আর্মি। আই ডু নট ওয়ান্ট মাই আর্মি টু ফাইট অ্যগেইনস্ট এনিবডি। বাট আই ওয়ান্ট মাই আর্মি টু ডিফেন্ড মাইসেলফ অ্যান্ড অ্যাট দি সেম টাইম টু ওয়ার্ক।’ স্বাধীন দেশে তিনি করাপশন-এর অবসান চেয়েছিলেন। তিনি জানতেন, পাবলিক ওপিনিয়ন মবিলাইজ না করলে শুধু আইন দিয়ে করাপশন বন্ধ করা যাবে না। এবং সেই সঙ্গে সিস্টেমই পরিবর্তন করতে হবে। ঘুণে ধরা সিস্টেম দিয়ে করাপশন বন্ধ করা যায় না। গত ৫০ বছরে এদেশের মানুষের সেই সচেতনতা গড়ে ওঠেনি। এজন্য করাপশনও মুক্ত হয়নি এদেশ থেকে। স্বাধীন দেশের শিক্ষাব্যবস্থা কেমন হবে তা নিয়ে তিনি চিন্তা করে গেছেন। তিনি মনে করতেন, নতুন এডুকেশন সিস্টেম কেরানি পয়দা করার জন্য হবে না বরং মানুষ পয়দা করবে। তবে এটা তিনি জানতেন, তিন বছর, সাড়ে তিন বছর একটা দেশের জীবনে কিছুই না। দেশের সার্বিক অবস্থা ইমপ্রুভ করতে সময় লাগবে।
পশ্চিমা দুনিয়া থেকে পাওয়া তত্ত্ব নয় বরং যে শোষণহীন সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কথা বলেছিলেন তা ছিল এদেশের মাটি-মানুষের সঙ্গে অনেক বেশি সম্পৃক্ত। আসলে বঙ্গবন্ধুর শোষণহীন সমাজব্যবস্থায় মানুষ সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে বাস করার স্বপ্ন দেখেছিল। আর তিনি চেয়েছিলেন, বাংলাদেশকে স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ইজ্জত সহকারে দুনিয়াতে বাঁচিয়ে রাখা, বাংলার দুঃখী মানুষকে পেট ভরে খাবার দিয়ে শোষণমুক্ত সমাজ গঠন করা, যেখানে অত্যাচার-অবিচার জুলুম থাকবে না, দুর্নীতি থাকবে না।
ক্ষমতা বন্দুকের নলে—এ বিশ্বাস বঙ্গবন্ধুর ছিল না। তিনি বিশ্বাস করতেন, ক্ষমতা বাংলার জনগণের কাছে। জনগণ যেদিন বলবে, ‘বঙ্গবন্ধু ছেড়ে দাও, বঙ্গবন্ধু তারপর এক দিনও রাষ্ট্রপতি, এক দিনও প্রধানমন্ত্রী থাকবে না। ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত থাকার সময় কিংবা তারপর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এসেও বঙ্গবন্ধু ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করেননি। বঙ্গবন্ধু রাজনীতি করেছেন দুঃখী মানুষকে ভালোবেসে, তিনি রাজনীতি করেছেন শোষণহীন সমাজ কায়েম করার জন্য। এ কারণে স্বাধীনতা তার কাছে এভাবেই ধরা দিয়েছে—‘আমি চেয়েছিলাম স্বাধীনতা। কী স্বাধীনতা? আপনাদের মনে আছে, আমার কথার মধ্যে দুটি কথা ছিল। রাজনৈতিক স্বাধীনতা ব্যর্থ হয়ে যায়, যদি অর্থনৈতিক স্বাধীনতা না আসে। যদি দুঃখী মানুষ পেট ভরে ভাত খেতে না পারে, কাপড় পরতে না পারে, বেকার সমস্যা দূর হয়, তা হলে মানুষের জীবনে শান্তি ফিরে আসতে পারে না।’
অর্থাত্ বঙ্গবন্ধুর কাছে স্বাধীনতার মানে ছিল শোষিতের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষে দাঁড়িয়ে বলতে হয়, তাঁর আত্মত্যাগের জন্যই স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা আজ দুনিয়ায় ওড়ে।
লেখক : অধ্যাপক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
- বান্দরবানে নিষিদ্ধ আফিমসহ নারী আটক
- থানচি অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে সহায়তা
- আলীকদমে মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত
- বান্দরবান পৌরসভার বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
- চাকরি দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে
- বঙ্গবন্ধু ‘জুলিও কুরি’ পদক নীতিমালা মন্ত্রিসভায় উঠছে
- বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তিনজন নিহত
- সাগরে মাছ ধরা ৬৫ দিন বন্ধ
- ২৫ মে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজের উদ্ভোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- মেট্রোরেলে ভ্যাট এনবিআরের ভুল সিদ্ধান্ত
- বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে আগ্রহী কানাডা
- সরকার ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে কাজ করছে: পরিবেশমন্ত্রী
- এমপিও শিক্ষকদের জন্য আসছে আচরণবিধি
- উত্তরা থেকে টঙ্গী মেট্রোরেলে হবে নতুন ৫ স্টেশন
- কেএনএফ মানে বম নই
- লামায় ছাত্রলীগের প্রতিবাদ সমাবেশ
- বান্দরবানে যৌথ অভিযানে তিন কেএনএফ সদস্য নিহত
- আজ জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- স্বাধীনতাবিরোধীদের পদচিহ্নও থাকবে না: রাষ্ট্রপতি
- ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা দূর ৫০০ একর খাসজমি বরাদ্দ
- এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি সুবিধা উঠে যাচ্ছে
- অস্বস্তি কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মোড়
- তথ্য দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে ৩ জন মুখপাত্র নিয়োগ দেওয়া হয়েছে
- বাংলাদেশে নতুন জলবায়ু স্মার্ট প্রাণিসম্পদ প্রকল্প চালু যুক্তরাষ্ট্রের
- বদলে যাবে হাওরের কৃষি
- মূল্যস্ফীতি হ্রাসে ব্যাংক থেকে ঋণ কমাতে চায় সরকার
- ডিসেম্বরে ঘুরবে ট্রেনের চাকা
- আশা জাগাচ্ছে বায়ুবিদ্যুৎ
- ড্রামভর্তি অস্ত্র-বোমার সরঞ্জাম উদ্ধার
- র্যাবের হাতে আটক কেএনএফ এর ২ সদস্য কারাগারে
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বান্দরবানে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত ৩ জন
- অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে- জেলা প্রশাসক
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- নাথান বম এখন কোথায়, কেএনএফের শক্তির উৎস কী
- ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলে কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হবে - বান্দরবান জেলা প্রশাসক
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরছেন
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- বান্দরবান সদরে আব্দুল কুদ্দুছ আলীকদমে জামাল উদ্দীন চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- শূন্য পদ ৪২ টি! চিকিৎসা সংকটে থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
- আর্তমানবতার সেবায় রেডক্রিসেন্ট সর্বদাই নিয়োজিত - বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি
- বান্দরবানে জিপিএ-৫, ১০০ জন,এগিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজ
- বান্দরবানে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ