বান্দরবান শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২৮ ভাদ্র ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

প্রকাশিত: ১৫:১৭, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মারমা বাজার পরিদর্শন করেন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান

মারমা বাজার পরিদর্শন করেন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান
বান্দরবানের মারমা বাজার পরিদর্শন করেন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থানজামা লুসাই

বান্দরবান শহরের ঐতিহ্যবাহী মারমা বাজার পরিদর্শনের সময় জুমে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিক্রি করতে এসে কাউকে হাসিল (ট্যাক্স) না দেওয়ার অনুরোধ করেছেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান,বাজার ফান্ড প্রশাসক অধ্যাপক থানজামা লুসাই।
আজ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে মারমা বাজার পরিদর্শন কালে তিনি বিক্রেতাদের সঙ্গে আলাপকালে এই আহ্বান জানান। তবে তার এমন নির্দেশনা সত্ত্বেও বাজার ইজারাদারের প্রতিনিধি নির্বিঘ্নে টোল-ট্যাক্স আদায় করে যাচ্ছেন।
জেলা পরিষদের অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে মারমা বাজার থেকে টোল-ট্যাক্স তোলার জন্য টেন্ডার পেয়েছেন মেসার্স মিল্টন ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মাও সেতুং তঞ্চঙ্গ্যা। তিনি আদায়কারী হিসেবে নিয়োগ দেন মো. আব্দুল মাবুদকে। পরে আব্দুল মাবুদ টোল আদায়ের দায়িত্ব দেন চসা মং মারমা (বাবু) নামে আরেকজনকে। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনো বাজার ফান্ড থেকে টোল বা হাসিল আদায়ের কোনো অনুমোদন দেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে চসা মং মারমা জানান, এক গাড়ি কলা ছড়ার জন্য দেড় হাজার টাকা, এক গাড়িতে ৬–৭ শ’ কলার ছড়ি বহন করা যায়। জুমে উৎপাদিত মারফা শসা প্রতি মণ ২০ টাকা, শুকনা হলুদ প্রতি মণ ১২০ টাকা ,বরবটি প্রতি মণ ২০ টাকা, আদা প্রতি মণ ৩০ টাকা এভাবেই কৃষিপণ্যের ওপর টোল ধার্য করে আদায় করা হচ্ছে।

বালাঘাটা থেকে আগত জুমে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিক্রেতা উনুমং বলেন, “প্রতি বাজারবার (রোববার ও বুধবার) আমাকে ৫০ টাকা টোল দিতে হয়।আজও দিয়েছি। তবে চেয়ারম্যান যেহেতু সরাসরি এসে বলেছেন টোল না দিতে, তাই ভবিষ্যতে আর দেব না।
এদিকে মারমা বাজারে পরিদর্শন শেষে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই বলেন, মারমা বাজার বাজার ফান্ডের আওতাভুক্ত নয়। তাই বাজার ফান্ডের ইজারাদারের এখান থেকে টোল আদায়ের কোনো অধিকার নেই। বিক্রেতাদের কাছ থেকে টোল-ট্যাক্স নেওয়া বন্ধ করতে হবে।
মারমা বাজার পরিদর্শনে চেয়ারম্যানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কেএস মং, জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী পরাক্রম চাকমা, ডা. মং উষাথোয়াই, ক্য সা মং মারমা, উছো মং মারমা, চনুমং মারমা, নারী নেত্রী কৃপা ত্রিপুরা প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, মারমা বাজারের অধিকাংশ ব্যবসায়ি নারী। বাজারটিতে পাহাড়ি ও স্থানীয় ফল, শাক-সবজি, বাঁশ কোড়ল, শামুক, ঝিনুকের মাংস, নাপ্পি (মারমাদের অন্যতম প্রধান মসলা) ইত্যাদি বিক্রি হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ভ্রমনপ্রেমীরা এই বাজার দেখতে ছুটে আসে।