৮ দফা দাবিতে বান্দরবানে হরতাল

বোমাং রাজার সনদ বাতিলসহ ৮ দফা দাবিতে ১৩ অক্টোবর, সোমবার সকাল সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ(পিসিসিপি) ও বান্দরবানের সর্বস্থরের জনগণ।
বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মজিবর রহমান এই দাবিগুলো তুলে ধরেন।
কাজী মজিবর রহমান বলেন, তিন পার্বত্য জেলায় আমরা বাঙ্গালীরা বৈষাম্যের স্বীকার। এখানে জায়গা কিনতে কেনো লাগবে রাজার সনদ লাগবে? শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পেতে কেনো রাজার সনদ লাগবে? আমরা কী বাংলাদেশী নাগরিক না? ৬১ জেলায় একই আইন আবার তিন পার্বত্য জেলায় ভিন্ন আইন, এটা কেন হবে? সুতরাং এক দেশে দুই আইন চলতে পারেনা এবং এই রাজার সনদ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
এই হরতালে জমি ক্রয়-বিক্রয়, চাকুরী, শিক্ষাসহ সর্বক্ষেত্রে রাজার সনদ বাতিল করাসহ মোট আট দফা দাবী পেশ করেন সংগঠনটি যার মধ্যে রয়েছে:
৮ দফা দাবি সমুহ হলো- ১️. ব্রিটিশ আমলে প্রণীত পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি-১৯০০ বাতিল করে সংবিধানের আলোকে তিন পার্বত্য জেলার শাসন ব্যবস্থা চালু করা। ২️. জমি ক্রয়-বিক্রয়, চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে রাজার সনদ ব্যবস্থা বাতিল করা। ৩️. অন্যান্য জেলার মতো রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে জমি ক্রয়-বিক্রয় ও ভূমি ব্যবস্থাপনা চালু করা।
৪️. বাজার ফান্ড পুটের লিজ মেয়াদ ৯৯ বছরে উন্নীত করা এবং বন্ধ থাকা ব্যাংক ঋণ পুনরায় চালু করা। ৫️. উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের স্বার্থে পরিবেশবান্ধব ইটভাটা, কলকারখানা ও ইন্ডাস্ট্রি স্থাপন করা। ৬️. আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তার স্বার্থে প্রত্যাহারকৃত ২৪৬টি সেনা ক্যাম্প পুনঃস্থাপন করা। ৭️. অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে চাঁদাবাজি, গুম, খুন ও ধর্ষণ বন্ধ করে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার এবং স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা ও ৮️. শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা ও চাকরিক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করে সমান অধিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
তবে সরকারি অফিস-আদালত, সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, খাবারের দোকান, ঔষধের দোকান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যানবাহন এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদ পরিবহনের গাড়ি হরতালের আওতার বাইরে থাকবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য নাছির উদ্দিন, মাওলানা আবুল কালাম, শাহ জালাল রানা প্রমুখ।