বান্দরবানে মাহাসাংগ্রাইং পোয়েতে বরণ করে নেওয়া হচ্ছে ১৩৮৭ সালকে

পাহাড় কন্যা বান্দরবানের প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায় চলছে মারমাদের প্রাণের উৎসব মাহাসাংগ্রাইং পোয়ে। ছড়িয়ে রয়েছে ঘরে ঘরে উৎসবের আমেজ। শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সের নারী পুরুষ উৎসবের আনন্দে মেতে উঠেছে। মারমা সম্প্রদায় ১৩৮৬ সালকে বিদায় জানিয়ে একে অপরের গায়ে পানি ছিটিয়ে বরণ করে নিচ্ছে ১৩৮৭ সালকে।
পহেলা বৈশাখ বাঙালি চিরায়িত সংস্কৃতির মতো মারমা সম্প্রদায়ের রয়েছে বর্ষবিদায় ও বরণে আদিসংস্কৃতি। তারা তাদের নিজস্ব বর্ষপঞ্জিকে সামনে রেখে প্রতিবছর উদযাপন করে থাকে মাহাসাংগ্রাইং পোয়ে অনুষ্ঠান। এবার মারমা হিসাব অনুযায়ী ১৩৮৬ সালকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছর ১৩৮৭ সালকে বরণ করে। মারমা সম্প্রদায় বছরের শেষে বৌদ্ধবিহার গুলো থেকে পুরানো বুদ্ধমুর্তি গুলো সূত্রপাঠের মাধ্যমে স্নান করায়। পরেরদিন শুরু হয় পাড়াভিত্তিক নানা আয়োজন।
সাংগ্রাইংপোয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে পানি উৎসব। অতীতের সকল দুঃখ, গ্লানি মুছে দিতে একে অপরের বৈরিতা ভুলে মৈত্রীপানি বর্ষনের মাধ্যমে পবিত্র হওয়াই হচ্ছে পানি উৎসবের মূল তাৎপর্য। আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত পাহাড়ের প্রতিটি পাড়ায় ধারাবাহিকভাবে এই সাংগ্রাই উৎসব চলবে।
এদিকে, বৈসাবির শেষ দিনে রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়ায়ও জল উৎসব করেছে মারমা সম্প্রদায়। মারমা সংস্কৃতি সংস্থার আয়োজনে বাঙ্গালহালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি ও জল উৎসবের উদ্বোধন করেন, কাপ্তাই সেনা জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্ণেল এসএম মাহমুদুল হাসান সোহাগ।