লামায় সবুজায়নে "বনায়ন নার্সারি" পাহাড়ে পরিবেশ সুরক্ষায় ভূমিকা রাখছে
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৬ জুন ২০২৩
যে কোন দেশের পরিবেশের উপাদানগুলোর মধ্যে মাটি, পানি, বায়ু ও গাছপালা অন্যতম। যেসব এলাকায় এই চারটি উপাদান দূষণমুক্ত ও সুরক্ষিত থাকে সেসব এলাকার পরিবেশ পরিস্থিতিকে সুন্দর ও সুস্থ পরিবেশ বলা হয়। একটা সময় গোটা বাংলাদেশটাই সুস্থ, সুন্দর ও বৈচিত্র্যেময় পরিবেশে সমৃদ্ধ ছিল কিন্তু কালক্রমে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির উদ্ভব ও আনয়ন এবং উন্নয়নের নামে বিভিন্ন পরিবেশ বান্ধব নয় এমন অবকাঠামো গড়ে ওঠার কারনে আমাদের দেশের প্রাকৃতিকভাবে সমৃদ্ধ পরিবেশ আজ বিপর্যস্ত। কৃষির উন্নয়নের নামে অধিক অধিক লাভের আশায় কৃষকরা তামাক চাষ করছে।
তামাকে ব্যবহার করছে অতিমাত্রায় রাসায়নিক সার, কীটনাশক, হরমোন, আগাছানাশক এবং জমিতে অনেক সেচের প্রয়োজন হচ্ছে। বিগত প্রায় এক দশক ধরে মুনাফা লোভী ব্যবসায়ীরা ব্যাপকভাবে কৃষি জমির মাটি কেটে, ইটভাটা ও অপরিকল্পিত ভবন, হাট-বাজার তৈরির ফলে দেশের জলাশয়, কৃষি জমি ও গাছপালা দিন দিন সংস্কুচিত হয়ে পড়ছে। অতিরিক্ত কীটনাশক ও সার ব্যবহারের ফলে মাটি ধুয়ে মুছে গিয়ে নদীর পানির দূষণ বাড়াচ্ছে এবং নদীর গভীরতাও হারাচ্ছে। জলাশয়ের জীবৈচিত্র্যও নষ্ট হচ্ছে।আজ আমাদের দেশের প্রকৃতি ও পরিবেশ হুমকির সন্মূখীন। যে কারনে বন্যা, খড়া, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড় সহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ হচ্ছে।
লামা পৌর এলাকার হরিণঝিরি এলাকার ব্যবসায়ি ও বনায়ন নার্সারি উদ্যোক্তা মোঃ নুরুজ্জামানের "বনায়ন নার্সারি" নামে একটি নার্সারি রয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, লামা পৌর এলাকার দক্ষিণ দিকে (৯নং ওয়ার্ড) হরিণঝিরি ও শীলেরতোয়া মার্মা পাড়ার মেইন রোড়ের পাশে শ্রমিক জাহেদুল ইসলাম ও হাসিনা বেগম এটির দেখাশুনা ও তদারকির দায়িত্ব পালন করছে। গত ৪ ও ৫ জুন সেখানে তারা চারা গাছের পরিচর্যাসহ পানি দিতে দেখা গেছে। প্রায় এক একর জায়গা বিভিন্ন জাতের বনজ, ফলজ ও ঔষধি গাছের পসরা বা সমাহার সেখানে। ২০০১ সালে ছোট পরিসরে শুরু করে এখন বড় আকারে পরিণত হয়েছে এই নার্সারিটি। এতে কিছু মানুষের কর্মসংস্থানও হয়েছে। নিজের নার্সারী ব্যবসার লাভের পাশাপাশি এলাকায় সবুজ বনায়নে ভূমিকা রাখছে এটি। অনেক বৈচিত্র্যময় সুন্দর ও সুস্থ ও স্বত্বির নির্মল অক্সিজেন উপভোগ্য এখানে।
বর্তমানে এই নার্সারিতে ফলজ চারা বলতে- উন্নত বিভিন্ন জাতের আম, পেয়ারা, জাম্বুরা, আমড়া, কমলা, মালটা, লেবু, বরই আপেল, বেদনা, ডালিম, লকটন, লিচু, কাঠাঁল, সফেদা প্রভৃতি রয়েছে এবং ঔষধি চারা বলতে হরিতকি, কটবেল, বহেরা, আমলকি, জলপাই, তেতুঁল, জাম, বেল, কাঠ বাদামসহ বিভিন্ন ধরনের ফুলের চারা রয়েছে। বনজ চারা বলতে বেলজিয়াম, আকাশমনি, দেশীনিম, রেইট্টি, বকাইন নিম, গর্জন, হাইব্রিড কাঞ্চন প্রভৃতি রয়েছে। পাহাড়ি এলাকা উপযোগি বনজ, ফলদ ও পানি সহনশীল গাছের চারা উৎপাদনের জন্য এলাকায় তিনটি নার্সারি স্থাপনের ফলে পার্বত্যঞ্চলের প্রকৃতি প্রেমিদের নিকট পানি সহনশীল গাছের চারা, বৈচিত্র্যময় ফল ও সবজির চারা অনেকটা সহজলভ্য হয়েছে। এলাকার স্থানীয় মানুষসহ বাইরে লোক ও প্রতিষ্ঠান তাদের পছন্দমত চারা ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে লামা উপজেলা ও আশপাশের এলাকার মানুষকে কাঠের চারা, বৈচিত্র্যময় সবজি ও ফলের চারার জন্য বাজারের উপর নির্ভরই করতে হয় না।
বনায়ন নার্সারির মালিক মোঃ নুরুজ্জামান জানান, "প্রকৃতির প্রতি ভাল লাগায় আমি এটি ২০০১ সালে শুরু করেছি। আমি বৃক্ষ রোপণ মেলায় কয়েকবার জেলা, উপজেলায় পুরস্কার অর্জন করেছি। আর এখানে বনায়নের পাশাপাশি সহজলভ্য উন্নত জাতের ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা পাওয়া যাচ্ছে"।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) লামা উপজেলার সভাপতি ও মানবাধিকার কর্মী মোঃ রুহুল আমিন ও লামা সাংবাদিক ইউনিটির সভাপতি মোঃ নাজমুল হুদা বলেন, "নার্সারিগুলো স্থাপনের পর থেকে এলাকার কৃষক-কৃষাণী, প্রতিষ্ঠান, যুব ও সাধারণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে বৈচিত্র্যময় বনায়ন চাষ, ফলদ ও পানি সহনশীল গাছের চারা রোপণের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে"।
তারা আরও বলেন, "চাহিদা অনুযায়ী হাতের কাছে ফলজ, বনজ ও পানি সহনশীল গাছের চারা পাওয়ায় পাহাড়ি এলাকার জনগোষ্ঠীর মধ্যে চারা রোপণের আগ্রহ আরও পুরোদমে বৃদ্ধি পাবে"।
লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আরিফুল হক বেলাল বলেন, "এ ধরনের ব্যক্তিগত উদ্যোগের নার্সারীকে আমরা স্বাগত জানাই। এতে করে স্থানীয় অধিবাসীরা সুযোগ- সুবিধা পাবে। সর্বোপর, দেশের পরিবেশ- প্রতিবেশ, প্রাণ-প্রকৃতি সুস্থ, সুন্দর ও সমৃদ্ধ রাখায় এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে"।
- লামা ফাসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১২ ইউপি সদস্যদের অনাস্থা
- রুমা ও বিলাইছড়ি উপজেলা সীমান্তে গোলাগুলি
- বান্দরবানে অপহৃত সেই ব্যাংক ম্যানেজারকে চট্টগ্রামে বদলি
- প্রাণী ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাত এগিয়ে আসুক
- মন্ত্রী-এমপির প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ
- চালের বস্তায় জাত, দাম উৎপাদনের তারিখ লিখতেই হবে
- ৫০ বছরে দেশের সাফল্য চোখে পড়ার মতো
- সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আসছেন আরও ৪ লাখ মানুষ
- বঙ্গবন্ধু টানেলে পুলিশ-নৌবাহিনী-ফায়ার সার্ভিসের জরুরি যানবাহনের টোল মওকুফ
- বাংলাদেশে দূতাবাস খুলছে গ্রিস
- রাজস্ব ফাঁকি ঠেকাতে ক্যাশলেস পদ্ধতিতে যাচ্ছে এনবিআর
- কাতারের আমির আসছেন সোমবার
- এবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল যাবে পাইপ লাইনে
- কেএনএফ সদস্যদের আদালতে হাজির-দুই দিন করে চার দিনের রিমান্ড
- মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- মুজিবনগর দিবস : সব অপশক্তিকে প্রতিহত করার অঙ্গীকার
- পর্যটন শিল্পের বিকাশে কুয়াকাটায় বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ
- হাওরে কৃষকের মুখে স্বর্ণালি হাসি
- সর্বজনীন পেনশন প্রসারে ৮ বিভাগে মেলা
- জলবিদ্যুতে বাংলাদেশকে বিনিয়োগের আহ্বান নেপালের
- এক সফটওয়্যারের আওতায় সব সরকারি চাকরিজীবী
- দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- ‘মাই লকারে’ স্মার্টযাত্রা
- মাঠ প্রশাসন সামলাতে হার্ডলাইনে সরকার
- থানচি সাংগ্রাইং মৈত্রী পানি বর্ষন উৎসব
- বাইশারীতে টিসিবির পণ্য পেয়ে মহা খুশি উপকারভোগীরা
- বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কোন সশস্ত্র সংগঠন থাকবে না - র্যাব মহাপরিচালক
- মুজিবনগর দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী
- মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- কেএনএফ সদস্যদের আদালতে হাজির-দুই দিন করে চার দিনের রিমান্ড
- থানচি সাংগ্রাইং মৈত্রী পানি বর্ষন উৎসব
- লামায় ইটভাটায় অভিযান জরিমানা আদায়
- রুমায় যৌথ অভিযানে কেএনএফ এর ৯ সদস্য আটক অস্ত্র উদ্ধার
- বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কোন সশস্ত্র সংগঠন থাকবে না - র্যাব মহাপরিচালক
- বেঁচে গেলেন শতাধিক যাত্রী
- কিস্তির সময় পার হলেই মেয়াদোত্তীর্ণ হবে ঋণ
- প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপি জামায়াত নেতারাও
- অবৈধ অনলাইন পোর্টালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
- জলবিদ্যুতে বাংলাদেশকে বিনিয়োগের আহ্বান নেপালের
- আপাতত মার্জারে যাচ্ছে ১০ ব্যাংক, এর বাইরে নয়: বাংলাদেশ ব্যাংক
- ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ১০.৪৩ শতাংশ
- এক সফটওয়্যারের আওতায় সব সরকারি চাকরিজীবী
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে দুই মিয়ানমার সেনা বাংলাদেশের আশ্রয়ে
- বাইশারীতে টিসিবির পণ্য পেয়ে মহা খুশি উপকারভোগীরা
- বিভেদ মেটাতে মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারা
- মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে লালন করে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে হবে : শ্রিংলা
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও সোয়া লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি
- রেমিট্যান্সে সুবাতাস, ১২ দিনে এলো ৮৭ কোটি ডলার