বান্দরবান সোমবার, ১৯ মে ২০২৫ , ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

প্রকাশিত: ১০:০৪, ১৯ মে ২০২৫

আপডেট: ১০:০৫, ১৯ মে ২০২৫

বান্দরবানের লামায় মাটি খুঁড়ে ৫১ লাখ টাকা উদ্ধার

বান্দরবানের লামায় মাটি খুঁড়ে ৫১ লাখ টাকা উদ্ধার
বান্দরবানের লামায় মাটি খুঁড়ে ৫১ লাখ টাকা উদ্ধার

বান্দরবানের লামায় আবুল খায়ের টোব্যাকো অফিস থেকে লুট হওয়া ১ কোটি ৭২ লাখ ৭৫ হাজার ৬৩৮ টাকার মধ্যে ৫১ লাখ ৮৭ হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এর আগে আটককৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার (১৬ মে) সন্ধ্যা ৭টায় লামা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড (সাবেক বিলছড়ি সিলেটি পাড়ার ওয়াসির আলীর পাহাড়) এলাকায় মাটি খুঁড়ে ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা, শনিবার (১৭ মে) করিমের বাড়ি থেকে মাটি খুঁড়ে ১৮ লাখ টাকা ও রাতে ডাকাত রুবেলের বাড়ি তল্লাশি করে আরও ৩০ লাখ ৭০ হাজার টাকা, পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুর রহিমের কাছ থেকে ৫০ হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার করেছে লামা থানা পুলিশ। এ নিয়ে ঘটনায় মোট ৫১ লাখ ৮৭ হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের দেওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবদুল করিম।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ৯ মে লামা উপজেলার, লাইনঝিরি এলাকায় আবুল খায়ের টোব্যাকোর অফিসে হামলা চালায় সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতকারী ডাকাত দল। এ সময় তারা অফিস কর্মীদের জিম্মি করে ১ কোটি ৭২ লাখ ৭৫ হাজার ৬৩৮ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনার পরদিন ১০ মে অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামি করে লামা থানায় মামলা করা হয়।

মামলার পর তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন জেলা পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাউছার। পরে জেলা পুলিশের সফল অভিযানে ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৮ জনকে শনাক্ত করে লামা ও পার্শ্ববর্তী কক্সবাজারের চকরিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতার হলেন চকরিয়া উপজেলার পূর্ব ভেউলা ইউনিয়নের পদ্মাছড়া এলাকার মারুফুল ওরফে আরিফ (৩৩), একই উপজেলার লক্ষ্যাচর ইউনিয়নের নাঈমুল ইসলাম ওরফে সাগর (৩১), লামা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুর রহিম (৩৬), একই এলাকার মো. সুজন (২৫) এবং সাবেক বিলছড়ি সিলেটিপাড়ার আনোয়ারা বেগম (৪৫), শাকিলা জান্নাত (২৫), স্বামী করিম এবং মো. করিমের পিতা ওয়াসির আলী। আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানানো হয় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।

এদিকে আটককৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পৃথক অভিযানে বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয় ৫১ লাখ ৮৭ হাজার ২০০ টাকা। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. এনামুল হক জানান, চট্টগ্রামের আন্তঃজেলা ডাকার দলের অন্যতম সদস্য মো. করিম ডাকাতির অন্যতম মাস্টারমাইন্ড। এছাড়া ডাকাতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্য সদস্যদের আটক ও বাকি টাকা উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে।